খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ, ১৪৩১

‘বাংলাদেশের সাথে অন্যায় করলে ভারতকে জবাব দেয়া হবে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ণ
‘বাংলাদেশের সাথে অন্যায় করলে ভারতকে জবাব দেয়া হবে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সব সময় বলতেন না, খেলা হবে, আজ উনি কোথায়? ৫ তারিখ আমাকে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন আমরা পালাবো না। আর বলেছিলেন ফখরুল সাহেব আপনার বাড়িতে কি থাকতে দিবেন? এখন তাকে আমি বলব, কাদের সাহেব আমার বাসায় আসেন থাকার জন্য। কোথায় চলে গেছেন। আপনি কোথায় আছেন দেশবাসী জানে না।

আজ বুধবার দুপুরে হরিপুর ঈদগাহ ময়দানে হরিপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এবং বিকেলে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার সমিরউদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি এই দেশের নেতা, কিন্তু আপনাকে ভারতে পালাতে হয়েছে। কারণ আপনি এই দেশের মানুষের বিপরীতে কাজ করেছেন। আপনারা দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের উপরে অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন। অসংখ্য মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলেন। সেই অবস্থার পরিসমাপ্তি হয়েছে। আপনি যেই হাসিনা একজন প্রতাপশালী নেতা হয়ে গেছিলেন। আজ পরাজিত হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে আপনাকে।

ভারত সম্পর্কে মির্জা আলমগীর বলেন, ভরত আমাদের প্রতিবেশি দেশ, আমাদের দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারে তারা। আমরা ভালোভাবে থাকতে চাই তাদের সঙ্গে। প্রতিবেশি হিসেবে থাকতে চাই। ভালোভাবে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের উপর যদি অন্যায় অত্যাচার হয় তাহলে তার প্রতিবাদ আমরা জানাবো। আমার বাংলাদেশের সাথে অন্যায় করলে ভারতকে কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

মহাসচিব আরো বলেন, বিএনপির পাশাপাশি বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার বলেছে কিছু কিছু জিনিস আওয়ামী লীগ এতো খারাপ করে গেছে যা বলার বাহিরে। তার মধ্যে অন্যতম একটি ভুল হলো দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করা। ভোটের ব্যবস্থাই নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তত্বাবধায় সরকারকে সময় দেবার পাশাপাশি সকলকে তত্বাবধায়ক সরকারের পাশে থাকার আহব্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই তত্বাবধায়ক সরকার কাজ শুরু করেছে। তাদের সময় দিতে হবে। তারা কোন দলের নয় তারা দেশকে ভালোবাসে। তারা দেশের জন্য কিছু কাজ করতে চায়। আমাদের দ্বায়িত্ব তাদের সহযোগতা করা।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন,সকলেই যে আওয়ামী লীগ পন্থি ছিলেন তা নয়। সে সময় তারাও অনেক ঝামেলায় পড়েছিলেন। এখন সেই ঝামেলা থেকে সড়ে দাঁড়ান। জনগনের পাশে থেকে তাদের সাথে কাজ করুন।

পরিশেষে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আপনাদের জন্য, দেশবাসীর জন্য অনেক কাজ করেছেন। অনেক ত্যাগ স্বিকার করেছেন। এই আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচারে তিনি অনেকদিন জেল খেটেছেন। তিনি অসুস্থ,তার জন্য দোয়া করবেন।

এসময় জনসভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন সহ জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শীতার্ত গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে নিজ হাতে শতাধিক শীতবস্ত্র কম্বল উপহার দিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জনদরদী নেতা মির্জা মোস্তফা জামান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌরএলাকার সয়াধানগড়া উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত কম্বল বিতরণকালে জেলা বিএনপি’র সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আবু কায়েস ভূঁইয়া কর্নেল, ফরহাদ সেখ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আকাশ খন্দকার, সদস্য সোহেল রানা হামিদ, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া রোকন, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ন-সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, পৌর ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতা মোঃ বুলবুল, আব্দুল বাছেদ, আবু সামা,আলম সেখ, স্বপন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন, হারুনর রশীদ হারুন, সাবেক ছাত্রনেতা সোহেল রানা ফরহাদ, যুবনেতা মির্জা সুরুজ্জামান, হাসান, তরুণ দলের সহ-সভাপতি বাবু সহ প্রমুখ। শীতার্ত মানুষেরা কম্বল উপহার পেয়ে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সিরাজগঞ্জে আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১২ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, তারুণ্য উৎসব-২০২৫ খ্রিঃ সিরাজগঞ্জে আন্তঃ উপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আন্তঃ কলেজ পর্যায়ে এ ফাইনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতর্ক বিষয় ছিলো- “ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের চেয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ  ” এতে অংশ গ্রহণ করে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ বনাম উল্লাপাড়া উপজেলার আকবর আলী কলেজ। এতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ বিজয়ী হয়।

স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করে  সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ বনাম এইচটি ইমাম গার্লস স্কুল।

বিতর্কের বিষয় ছিলো-“জনস্বার্থ রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোঁয়ার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ” এতে  সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ বিজয়ী হয়। 

স্থানীয় সরকার বিভাগ, আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি-২০২৫) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ শহরের শহিদ এম.মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বকরেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা)  রোজিনা আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রোকনুজ্জামান। 

আন্তঃউপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে’র বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম তালুকদার, জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র কালচারাল অফিসার মোঃ ফারুকুর রহমান ফয়সাল, সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোঃ রবিউল হাসান মন্ডল। অনুষ্ঠানের মডারটের ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জুলিয়া আক্তার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আনিসুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল শাহরিয়ার তূর্য। এসময়ে উক্ত আন্তঃ উপজেলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সনদপত্র ও স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। উক্ত  স্কুল এবং কলেজের  শিক্ষক, অভিভাবক,  শিক্ষার্থী, সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন ।

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৩ অপরাহ্ণ
ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিহত হন।

এইসব কোরিয়ান সৈন্যকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে সে দেশে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পিয়ংইয়ং হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ান সৈন্যকে রাশিয়াতে পাঠিয়েছে। এমনকি কুরস্ক সীমান্তেও উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন আছে। সেখানেই ঘটেছে এই প্রাণহানির ঘটনা।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, মাত্র তিন মাসে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ হতাহতের শিকার হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো আনুমানিক ১১ হাজার সৈন্যের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪ হাজার সৈন্য যুদ্ধে নিহত, আহত, নিখোঁজ বা প্রতিপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই চার হাজার জনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার জনই জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আহতদের কোথায় চিকিৎসা করা হচ্ছে, এমনকি কখন এবং কত সংখ্যক সৈন্য প্রতিস্থাপন করা হবে তাও এখনও স্পষ্ট নয়।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, আনুমানিক ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মোতায়েন হয়েছে কুরস্ক সীমান্তে অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে।

মূলত গত বছরের আগস্টে ইউক্রেইনীয় সেনারা আচমকা কুরস্কে ঢুকে লড়াই শুরুর পর অঞ্চলটির আংশিক নিয়ন্ত্রণ এখনও কিয়েভের এই সেনাদের হাতে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাষাগত সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা গড়ে উঠে। গত বছরের জুনে ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া, যা গত বছরের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই যুদ্ধে জড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করতে চায় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।