খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ণ
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না: ফখরুল

দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে চান। স্থানীয় নির্বাচন আগে করলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গর্তের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে। তারা পাড়া মহল্লায় সন্ত্রাস করবে। দেশে অরাজকতা তৈরি হবে। তাই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। জাতীয় নির্বাচন যতদ্রুত দিবেন, দেশে তত দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে। আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার চেষ্টা করা হলে এদেশের জনগণ মেনে নিবে না।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ও দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সবাই ভাল আছি, বলতে পারলে খুব ভালো লাগত। কিন্তু আমরা সবাই ভাল নেই। চাল, ডাল, তেল, লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আমরা এখনো নিরাপদ নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী খুন ও ৭ শতাধিক গুমের শিকার হয়েছেন। যশোর জেলার অন্তত ৮৪ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। হাসিনা আয়নাঘর করে সেখানে নেতাকর্মীদের আটকে রেখে নির্যাতন, খুন, গুম করেছে। জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। অনেক ছেলে শহিদ হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের আকাঙখা ছিল আমরা গণতান্ত্রি রাষ্ট্র পাবো। ভোটের অধিকার ফিরে পাবো। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পাবো। দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।

ছাত্রদের নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতায় থাকার খায়েশ থাকলে পদত্যাগ করুন। নতুন দল গঠন করছেন, এতে আমরা খুশি। ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করবেন, এটা দেশের জনগণ মেনে নিবে না। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দল গঠন করুন। নির্বাচন দিন। জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসেন। আমাদেরকে জনগণের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমাদের সাথে জনগণ আছে। আপনারা সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করবেন, জনগণ মানবে না।

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপি ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে। অন্তর্বতীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বিএনপির ৩১ দফা প্রস্তাবের সঙ্গে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোর অনেক মিল রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। কিন্তু সংস্কারের নামে অন্য গন্ধ পাচ্ছি। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এদেশে ওয়ান ইলেভেন সফল হয়নি।

মুহম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন, আমরা আশাবাদী হয়েছিলাম। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উপহার দিবেন। জনগণ তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। কিন্তু আপনারা স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে চান। স্থানীয় নির্বাচন আগে জনগণ মেনে নিবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের নেত্রী চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে আছেন। আন্দোলন, সংগ্রামে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমাদের দল ভাঙার বহু চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি।

আগামিতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খুলনা অঞ্চলের বন্ধ হওয়া পাটকল চালু ও যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।

সমাবেশ উপলক্ষে বেলা ১২ টার দিক থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মনিরামপুর কেশবপুর, বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা দুইটার আগেই বিশাল ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। ময়দানের বাইরের সড়কেও হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে বক্তব্য শোনেন। সমাবেশ জনসভায় রূপ নেয়।

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে দেয়া হবে না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে দেয়া হবে না’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে দেয়া যাবেনা।

তিনি জামায়াত ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একদিকে তারা নির্বাচন পিছানোর কথা বলছেন অন্যদিকে আবার সারাদেশে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন। ফ্যাসিবাদি সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো কিন্তু তাতেও তাদের হুশ হয়নি। জামায়াতের কাজই হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা।

আজ শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, মোদি সরকার এখন শেখ হাসিনার হাত ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরেছেন।

বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, তারা নির্বাবাচন নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছে। আমরা অবিলম্বে তাদের এই তালবাহানা বন্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমটিরি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিল ও জীবা আমিনা আল গাজীসহ ছাত্রদল যুবদল, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সকাল থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত করেন।

নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা যেন আগের (বৃদ্ধদের) অবদানের কথা ভুলে না যাই। কারণ এদের কাজের ওপরই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা আশাবাদী, ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছে।

ঐক্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলবো। সবাই এই কথাটা বলছে। সবার এ কথাটায় আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করতে পারি। তখনই তার প্রতি সম্মান দেখানো সফল হবে।

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর (মরণোত্তর) একুশে পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছে। অথচ এখন, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন সাংবাদিকরা। অনেক সাংবাদিক, সবার কথা বলি না। কথাটা ভালো না হলেও বলতে হলো। বাড়িঘর, প্লট সব জোগাড় করে।

স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচনের পরে, ২০১৮ নির্বাচনের আগের সময়টায় সে অনেক কাজ করেছে। তখন সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল। একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।

ফখরুল বলেন, জীবনে আমরা বেশিরভাগই বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, আমরা সেদিন শ্রেণি শত্রু খতম করার স্লোগানও দিয়েছি। সেই ব্যাপারটা যে সঠিক ছিল, এরপরে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার যে পরিবর্তন এসেছে, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সচিব ইসামাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমসহ অনেকে।

‘নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
‘নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না’

নৈতিকতাবিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ শনিবার রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘রোল অব ইসলামিক সোশ্যাল ফাইন্যান্স ইন ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সমাজ ব্যবস্থায় যাকাতের সৌন্দর্য ও প্রভাব রয়েছে।

তিনি বলেন, সম্পদ বণ্টনের যে প্রক্রিয়াগুলো সবচেয়ে বেশি অনুসরণীয় তার অন্যতম সঠিক পদ্ধতি যাকাত। যাকাত প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সমাজে যাকাতের প্রভাব দৃশ্যমান করতে হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, যাকাত দারিদ্র্যবিমোচনের একটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। নৈতিকতা-বিহীন নেতৃত্ব তৈরি হলে সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না।আমরা সুষম সমাজ চাই, নৈতিক নেতৃত্ব চাই।

তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ট্যাক্সেশন সিস্টেম যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাবে না। এখন মানুষের সাফল্যকে বিচার করা হয় তার ভোগ সক্ষমতাকে দিয়ে; তার আত্মসন্মান, শ্রদ্ধা ও সামাজিক দায়কে বিচার করা হয় না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে অনেক তাঁজা প্রাণ দিতে হয়েছে। অথচ বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে। এর মূলোৎপাটন করতে হলে আমাদের সম্পদের সুষম বণ্টন অবশ্যম্ভাবীভাবে প্রয়োজন। এর নিয়ামক হিসেবে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায় সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তৃতা করেন ওয়ার্ল্ড যাকাত অ্যান্ড ওয়াকফের সেক্রেটারি জেনারেল দাতুক ড. মোহাম্মদ গাজালি নূর।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক, তারবিয়াহ এডুকেশন নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোখতার হোসেন, সিজেডএমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিষদের কনভেনার এবং রহিম-আফরোজ গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মুনওয়ার মিসবাহ মঈন।

এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ত্রয়োদশ যাকাত ফেয়ার ২০২৫ এর উদ্বোধন করেন। সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) ২ দিনব্যাপী যাকাত ফেয়ার আয়োজন করে। এখানে বিভিন্ন আর্থিক ও যাকাত প্রতিষ্ঠানের স্টল, যাকাতের হিসাব নিরূপণ ও যাকাত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দানের জন্য কনসালটেশন ডেস্ক ও ইসলামি বইয়ের স্টল রয়েছে।