খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

অস্কারের মঞ্চে অর্ধনগ্ন হয়ে জেমস বন্ডকে শ্রদ্ধা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
অস্কারের মঞ্চে অর্ধনগ্ন হয়ে জেমস বন্ডকে শ্রদ্ধা

পূর্বাভাস আগেই দেয়া ছিল জমজমাট হতে যাচ্ছে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৭তম আসর। হলোও তাই। বিশ্ব মাতানো তারকারা চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করে বাজিমাত করে দিয়েছেন। কিছিটা অর্ধনগ্ন হয়েই ব্যতিক্রমী অঙ্গভঙ্গিতে অস্কারের মঞ্চে তেমনি এক চমকপ্রদ সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে হলিউডের কিংবদন্তি চরিত্র জেমস বন্ডকে সম্মান জানালেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী লিসা, রে এবং দোজা ক্যাট।

হলিউডের ডলবি থিয়েটারে আয়োজিত এই জমকালো সন্ধ্যায় তিন তারকা মিলে জেমস বন্ড সিরিজের আইকনিক গানগুলোর একটি সংকলন পরিবেশন করেন। উপস্থিত দর্শক মুগ্ধ হয়ে সেই পরিবেশনা উপভোগ করেছেন।

এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে কিংবদন্তি বন্ড প্রযোজক বারবারা ব্রোকলি এবং মাইকেল জি. উইলসন-কে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য দর্শকরা করতালি দিয়ে তাদের প্রশংসা করেন।

লিসা তার শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত পারফরম্যান্স দিয়ে মঞ্চ মাতান, ব্রিটিশ গায়িকা রে তার আবেগঘন কণ্ঠে বন্ড থিমের গানকে নতুন এক মাত্রা দেন, আর দোজা ক্যাট তার অনন্য র‌্যাপ পারফরম্যান্সে সবাইকে মুগ্ধ করেন।

বন্ড সিরিজের সুর ও গান বিশ্বের দর্শকদের হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখেছে। এ বছর অস্কার মঞ্চে এমন এক সংগীত ট্রিবিউট প্রদর্শন করে জেমস বন্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যা অস্কারের দর্শকদের জন্য এক বিশেষ চমক হিসেবে ধরা দেয়।

প্রসঙ্গত, বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিং ১৯৫৩ সালে উপন্যাসে প্রথম জেমস বন্ডকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। এরপর চরিত্রটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায় পৃথিবীজুড়ে। সেই জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে সিনেমা। ১৯৫৪ সালে প্রথমবারের মতো জেমস বন্ডকে নিয়ে টিভিতে এক ঘণ্টার চলচ্চিত্রে জেমস বন্ড হয়ে আসেন ব্যারী নেলসন। তবে বড় পর্দার জন্য ১৯৬২ সালে ‘ড. নো’ চলচ্চিত্রে স্যার শন কনারি প্রথমবারের মতো জেমস বন্ডের নাম ভূমিকায় অংশ নেন।

পরবর্তীতে জেমস বন্ড সিরিজে তিনি আরো চারটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ধারাবাহিকতায় অনেকেই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এই চরিত্রে অভিনয় করেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। ২৫টি জেমস বন্ড সিনেমার মধ্যে অনেকে তাকেই সেরা হিসেবে মানেন। তবে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আর কখনো জেমস বন্ড চরিত্রে কাজ করবেন না। এরপর থেকেই বেশ কয়েকজন অভিনেতা বন্ড চরিত্রে ফিরছেন বলে খবর এসেছে। তবে সবই গুজব-গুঞ্জনেই আটকে আছে।

ভারত নিয়ে ব্রিগে. আমান আযমীর পোস্ট ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
ভারত নিয়ে ব্রিগে. আমান আযমীর পোস্ট ভাইরাল

পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের সেনাপ্রধান প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন নজির নেই: ব্রিগেডিয়ার আমান আযমী।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ভারতের গোলামদের অব্যাহত গোলামীর ফলে শকুনদের ধৃষ্টতা এত বেড়েছে যে, শকুন সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সম্পর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার সাহস দেখায়। বদমায়েশটা এই কথা বলার সাহস পায় কিভাবে যে, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে’?

তিনি লিখেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের সেনাপ্রধান প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন নজির নেই।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার পোস্ট মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে ভারতকে তুলোধুনো করে কমেন্ট করছেন হাজার হাজার ফেইসবুক ব্যবহারকারী।

বিজিবির সাবেক প্রধান সাফিনুলের সস্ত্রীক বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
বিজিবির সাবেক প্রধান সাফিনুলের সস্ত্রীক বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে বিচারক তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

প্রচলিত আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন, পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বলা আছে, (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হয়েছে এরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তদ্‌সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। (২) উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হলে ওই লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

‘কিন্তু আইনে স্পষ্ট বিধান সত্ত্বেও স্পর্শকাতর এই ঘটনায় মাগুররা ভিকটিম শিশুর ছবি, ভিডিও ও তার পরিচয় শনাক্তকরণের তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশকিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা নিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।

আদালত এ সময় মন্তব্য করেন, শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪ ধারা অমান্যে যে শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। তাই আদালত তার অপর আদেশে, ভুক্তভোগী শিশু ও তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এজন্য ঢাকা ও মাগুর জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ’

‘অথচ আইনের বিধি-নিষেধ এবং হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও যশোরের এক নারী বাইকার কর্তৃক পরিচালিত ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিতামূলক ভিডিওধারণ করা হয়। ওই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিওধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ’

তাই ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়, এমন সব ভিডিও-পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’ পেজে-চ্যানেল থেকে প্রচারিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।