খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

এবার কি চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করলো জাতিসংঘ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ণ
এবার কি চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করলো জাতিসংঘ!

সম্প্রতি দিল্লিতে চলমান তীব্র বায়ুদূষণ পরিস্থিতি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সবার জন্যই উদ্বেগজনক, বিশেষত দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্য। তার জন্য দিল্লির পরিবেশ এক অজুহাতের মতো কাজ করছে, কারণ তাকে এখন ঘরের বাইরে বের হতে বলা হচ্ছে না। আর হাসিনার পরিস্থিতিও ঠিক তেমন, যেমন দিল্লির আকাশ—গুমোট এবং অস্বচ্ছ।

শেখ হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এখন তার ভবিষ্যতও খুবই অন্ধকার। একসময় যেখানে তিনি টিভির এয়ারটাইমের অর্ধেকটা দখল করতেন, এখন সেই হাসিনার নামও ফেসবুক লাইভে গোপন রাখা হয়। এমনকি, তার রাজনৈতিক জীবনেও পরিবর্তন এসেছে, এবং বেশ কিছু নেত্রী যারা একসময় তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন—যদিও তাদের বেশিরভাগই হাসিনার সুবিধা নেওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবার নতুন একটি দুঃখজনক খবর সামনে এসেছে। যা শেখ হাসিনার জন্য মোটেও শুভকর নয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন দমন করার সময় সরকারের সহিংস পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্ক জানিয়েছেন, এই সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, এবং এই প্রতিবেদন বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক ভবিষ্যতের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, হাসিনা সরকার সহিংস উপায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন চিরকাল অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মত- তিনি হয়তো এখন হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই সংলাপের মতো বলবেন: “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।”

জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন জতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতাকর্মীরা। তবে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলার মাঠ থেকে দায়িত্ব পালন করতে জার্সি পরেই যমুনার সামনে ছুটে আসেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

এরই মধ্যে জার্সি পরা এই কর্মকর্তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা দেখে প্রশংসা করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন।

ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ডিসি মাসুদ আলম সবুজ-হলুদ রঙের জার্সি ও লাল রঙের হাফ প্যান্ট পড়ে যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

ডিসির ছবিটি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, রমনা জোনের ডিসি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করলে বেচারা খেলার মাঠ থেকে সরাসরি ডিউটিতে!

এর আগে, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে যমুনার সামনে ডিউটিরত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

যমুনার সামনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও এপিবিনের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।

পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় পৌরসভা বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

খুলনার পাইকগাছায় পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত। আজ (৮ মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাইকগাছা হাসপাতাল মোড়ে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভা মোঃ মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক মোঃ আসলাম পারভেজ।

বিশেষ অতিথি পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, সাবেক কাউন্সিলর কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ, মোস্তফা মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান,সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান, মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব, ডাঃ শাহাবুদ্দিন, উপজেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম তারিখ, পৌর বিএনপির নেতা গাজী মোহাম্মদ আলী, মনিরুজ্জামান মন্টু,শেখ রুহুল কুদ্দুস পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জি এম রুম্তম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম সানা, জামিলুর রহমান রানা, আব্দুর রহমান জনি, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ সবুজ সানা,জাকির হোসেন মিন্টু, আবদুল কাদের, সেলিম মোড়ল, মোশাররফ হোসেন বাবুল, শাহাজাহান গাজী,তুষার সরদার, নূর ইসলাম,