খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

বাংলাদেশে সরকার বদলালে সম্পর্কে পরিবর্তন আসতে পারে: ভারতীয় সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে সরকার বদলালে সম্পর্কে পরিবর্তন আসতে পারে: ভারতীয় সেনাপ্রধান

বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলে ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করে থাকে।

এছাড়া পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধানের মন্তব্য, উভয় দেশের মধ্যে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। শনিবার (৮ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার চীন ও পাকিস্তানের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন— (দেশ দুটির মধ্যে) “উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ” রয়েছে, যা মেনে নিতে হবে। নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এক ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নৈকট্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এর অর্থ কী, আমার মতে, দুটি ফ্রন্টের হুমকি এখন বাস্তবতা।”

অধিবেশন চলাকালীন ভারতীয় সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘাত থেকে শিক্ষা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে নানা প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, “এখন আপনি যে দ্বিতীয় জিনিসটি তুলে ধরেছেন তা হলো— সহযোগিতা বা আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক।”

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, “যেহেতু আমি বলেছি— সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল একটি নির্দিষ্ট দেশে, তাদের আবার আমার যেকোনও প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তাই আমার চিন্তিত হওয়া উচিত, কারণ যতদূর আমি জানি, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা আজ আমাদের প্রধান উদ্বেগ।”

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া “অনেক তাড়াতাড়ি” হতে পারে। সেখানে (বাংলাদেশে) সরকার পরিবর্তনের ফলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিবর্তন আসতে পারে।

ভারতীয় এই সেনাপ্রধান বলেন, “কারণ আমার মতে, আমি খুব স্পষ্ট করেই বলব, (বাংলাদেশ ও ভারতের) বর্তমান সামরিক-সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। এবং আমরা নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করি, যাতে যেকোনও ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহ এড়ানো যায়।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-চীন সমীকরণকে কীভাবে দেখে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমাদের যা বুঝতে হবে তা হলো… আমাদের খুব স্পষ্ট হতে হবে যে— এখানে উচ্চ মাত্রার যোগসাজশ রয়েছে, যা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১০০ শতাংশ; আর ভৌত ক্ষেত্রে, আমি বলব যে বেশিরভাগ সরঞ্জাম চীনা উৎপত্তি।”

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “সুতরাং, আজকের পরিস্থিতিতে এই যোগসাজশ উদ্বেগের। এর অর্থ, আমার মতে— দুই-ফ্রন্টের হুমকি … আমার কাছে (এখন একটি) বাস্তবতা।”

তবে ভারতীয় এই সেনাপ্রধান “সহাবস্থান, সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের” আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধে জড়ানো (এই অঞ্চলের) দেশগুলোর জন্য ভালো নয়। তিনি বলেন, “যুদ্ধ কি উভয় দেশের স্বার্থে ভালো? উত্তর হলো— না। তাই, আমরা যা দেখছি তা হলো— কীভাবে আমরা আজকের পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারি এবং কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা না করা পর্যন্ত তা কীভাবে পরিচালনা করতে পারি।”

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টাার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২, এর দিকনির্দেশনায় গত ০৮ মে,সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন ১০নং শাহবন্দেগী ইউপির অন্তর্গত রাজবাড়ি মুকুন্দ গ্রামস্থ জনৈক মওলানা মোঃ আল-আমিন এর পুকুরের দক্ষিন পাশের্^ অবস্থিত মাছের খাবারের টিনের ঘরে ভিতর’’ একটি অভিযান পরিচালনা করে মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার সহ ০৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ  নাসিম উদ্দিন (২৮), পিতা- মোঃ আঃ সালাম, ২। মোঃ ফরিদ প্রামানিক (৩৫), পিতা- মৃত আলিমুদ্দিন প্রামানিক, উভয় সাং- রাজবাড়ি মুকুন্দ, ৩। মোঃ বুলবুল আহাম্মেদ (৪০), পিতা- মৃত রইস উদ্দিন, সাং- আড়ং শাইল, সর্ব থানা- শেরপুর, জেলা- বগুড়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামিগণ মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি নিজ হেফাজতে রেখে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন জতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতাকর্মীরা। তবে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলার মাঠ থেকে দায়িত্ব পালন করতে জার্সি পরেই যমুনার সামনে ছুটে আসেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

এরই মধ্যে জার্সি পরা এই কর্মকর্তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা দেখে প্রশংসা করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন।

ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ডিসি মাসুদ আলম সবুজ-হলুদ রঙের জার্সি ও লাল রঙের হাফ প্যান্ট পড়ে যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

ডিসির ছবিটি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, রমনা জোনের ডিসি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করলে বেচারা খেলার মাঠ থেকে সরাসরি ডিউটিতে!

এর আগে, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে যমুনার সামনে ডিউটিরত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

যমুনার সামনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও এপিবিনের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।