সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ ফখরুলের
সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আয়োজনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের আন্দোলনে নিহত ও আহত লোকজনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্য তিনি এ অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
‘দ্য কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এ ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্টেরিয়াল পাওয়ার দেয়া হয়েছে (বিচারিক ক্ষমতা)। তার মানে এই যে প্রশাসন ল’ অ্যান্ড অর্ডার (আইনশৃঙ্খলা) মেন্টেইন করতে পারছে না। আমি মনে করে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেই সব এলাকাতে দেয়া দরকার, যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, কিন্তু যেসব এলাকাগুলো শান্তিপূর্ণ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সমস্ত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেইসব এলাকাতে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না; বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নেবেন এবং তারা কখনোই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষের জন্য অসুবিধা হবে। আমি কথাটা স্পষ্ট করে বলছি। কারণ এটা বলা দায়িত্ব আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৫/১৬ বছর ধরে ত্যাগ স্বীকার করছি, মার খাচ্ছি, জেলে যাচ্ছি, শুধুমাত্র এ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন সবাই আশাবাদী হয়ে উঠেছি নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যারা এই জঞ্জালকে দূর করে দেশে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণের একটি পার্লামেন্ট তৈরি হবে।’
আপনার মতামত লিখুন