খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

মোদির ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেনো বিতর্ক ?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৪২ অপরাহ্ণ
মোদির ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেনো বিতর্ক ?

ভারতে ‘এক দেশ, এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট) ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করার পথে একধাপ অগ্রসর হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে বুধবার এ প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা।

কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম দফায় লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলোর নির্বাচন একসঙ্গে হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধান হতে পারে ১০০ দিনের। সব নির্বাচনের জন্য একটি ভোটার তালিকা নির্ধারিত করার সুপারিশ মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।

এই পদক্ষেপ অনুযায়ী ২০২৯ সালে যে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা, তার সঙ্গে রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু ২০২৯ সালে লোকসভার মেয়াদ শেষ হলেও সব রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে না।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে ২০২৬ সালে। পাঁচ বছর পর ২০৩১ সালে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। অন্যান্য অনেক রাজ্যের ক্ষেত্রে একই সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে পাঁচ বছর পর একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন দেশজুড়ে সম্পন্ন হবে, তা স্পষ্ট করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সরকার দেশ জুড়ে এ বিষয়ে মতৈক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর শুরু হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের আইনি প্রক্রিয়া। তার দায়িত্ব দেয়া হবে একটি বিশেষ কমিটিকে। তবে ২০২৯-এ সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ না ফুরোলে কী একত্রে ভোট হবে, এই প্রশ্নের সদুত্তর বৈষ্ণব দিতে পারেননি।

মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কিছু পরেই এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি এক দেশ এক ভোট নীতির উদ্দেশ্য সম্পর্কেও বলেন। লেখেন, দেশের গণতন্ত্রকে আরো জোরালো ও সকলের অংশগ্রহণের পক্ষে অনুকূল করে তোলার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সাবেক রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি ৪৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছিল। এ নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছে ১৫টি দল। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ সংবিধান, গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। দেশের জনতা একে সমর্থন করবে না। এর মাধ্যমে আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তৃণমূলের সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনের বলেন, এটা গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির একটা চমক। এর আগে বিজেপি যেমন ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এটাও সেরকমই একটা উদ্যোগ।

বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শরিকরাও কেন্দ্রের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, বিজেপি আগে তাদের নিজেদের সাংগঠনিক স্তরে সব নির্বাচন একসঙ্গে করুক। তারপর দেশের কথা ভাবা যাবে।

বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্র যেখানে একযোগে ভোট করানোর কথা বলছে, সেখানে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে কেন উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা আসনগুলোর উপনির্বাচন করা হচ্ছে না?

প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পক্ষে ইতিবাচক বললেও বিরোধীরা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর)-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সঞ্চালক উজ্জয়িনী হালিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর এটা পরোক্ষ আঘাত। আঞ্চলিক দলগুলোর জন্য খারাপ খবর। মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনের সময়, ভিন্ন ইস্যুতে ও ভিন্ন নিরিখে ভোট দেয়, এটা নানা গবেষণা থেকে প্রমাণিত। একসঙ্গে নির্বাচন হলে ভোটারদের একটা দলকে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে, তাদের ভোটদান একপ্রকার প্রভাবিত হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র বলেন, সরকার সবসময় পাঁচ বছর থাকে না, মাঝপথে ভেঙে যায়। অনাস্থা এলে সরকারের পতন হতে পারে। নতুন নীতিতে মাঝেমধ্যে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র নিরুৎসাহিত করছে। এটা গণতন্ত্রের পরিসরকে কমিয়ে আনতে পারে বলে বিরোধীরা মনে করছেন।

এদিকে শাসক-শিবিরের পক্ষ থেকে দুটি যুক্তি জোরালোভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রথমত, সারা দেশে একযোগে নির্বাচন হলে খরচ অনেকটাই কমবে। আলাদা আলাদা নির্বাচন করার ব্যয় বেশি।

উজ্জয়িনী হালিম বলেন, বড় দলগুলো নির্বাচনে যেভাবে সারা দেশে খরচ করতে পারবে, ছোট দল তাদের সামনে কোথায় দাঁড়াবে! নির্বাচনের খরচ কমানোর জন্য দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর লাগাম টানা। খরচ কমানোর জন্য আরো অনেক পথ অবলম্বন করা যায়, এক দেশ এক নির্বাচনে তা হবে না।

শাসক শিবিরের দ্বিতীয় জোরালো যুক্তি, একযোগে নির্বাচন উন্নয়নের কাজকে মসৃণ করবে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে ভোট হলে উন্নয়নের গতি থমকে যেতে পারে নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মইদুল ইসলাম ডয়চে ভেলে’কে বলেন, আলাদা ভোট হলে উন্নয়ন থমকে থাকবে না। ১৯৬৮-২০২৪ পর্যন্ত তো উন্নয়ন হয়েছে, যে সময়ে একসঙ্গে নির্বাচন হয়নি। নতুন নিয়মের ফলে জাতীয় দল বা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী এবং আঞ্চলিক দলগুলির তুলনায় বেশি সুবিধা পেতে পারে।

হালিমের মতে, আচরণবিধির জন্য উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এই যুক্তি মানা যায় না। যে কোনো রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাস দেখুন, পাঁচ বছরে কতবার ভোট হয়েছে আর তার জন্য উন্নয়নের কাজ কতটা থেমেছে? অন্য সময় উন্নয়নের গতি কি খুব সাবলীল?

দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

0-0x0-0-0#

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কেউ যদি দেশকে ভালোবাসে, দেশের জনগণকে ভালোবাসে, তাহলে সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাওলানা আবদুস সুবহান (রহ.) তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দলের সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, তিনি আমেরিকায় ছিলেন। তার কিছু বন্ধু তাকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে গেলে কী হবে? তার বন্ধুরা বলেছিলেন, আপনারও একই অবস্থা হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মীর কাসেম আলী দেশকে ভালোবাসতেন। দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। আর দেশকে ভালোবাসতেন বলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাওলানা সুবহানরা কখনো হারিয়ে যান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার যারা সহকর্মী রাজনৈতিক মাঠে আছেন, তাদের বলব তাদের (সুবহানদের) কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের মাওলানা আবদুস সুবহানের মতো উদারতা ও সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।

জামায়াত আমিরের সঙ্গে প্যাট্রিক শ্রোয়েডার সাক্ষাৎ: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে চ্যাথাম হাউস, যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ফেলো প্যাট্রিক শ্রোয়েডার এবং তার স্থানীয় গবেষণা সহযোগী মামুনুর রহমান এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বৈঠকে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃত্তাকার অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতে ইউকের সঙ্গে ব্যবসা বজায় রাখার জন্য দলের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের ও সাসেক্স এলুমনাইয়ের আলী আহমেদ তাহকিক।

মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

ইতালিয়ান এই কোচ ইতোমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–এর সঙ্গে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও ঘোষণা বাকি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবরে বলা হয়েছে, আনচেলত্তির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ মে মাসের শেষ দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন। এতে করে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ডাগআউটে থাকবেন না—এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিদায়ের আগে ক্লাব ও কোচের মধ্যে একটি সম্মানজনক সমঝোতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

লক্ষ্য একটাই—ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ
আনচেলত্তির সামনে এবার আরেকটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব— ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাস্তব করা। এই চ্যালেঞ্জকে ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে গর্বের প্রকল্প হিসেবে দেখছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সাফল্যগাঁথা এবার তিনি নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

পরিচিত মুখের সঙ্গে নতুন দল
ব্রাজিলের বর্তমান দলে রয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মিলিতাও এবং উঠতি প্রতিভা এন্দ্রিকের মতো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা—যারা আনচেলত্তির অধীনে নিয়মিত খেলছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে লা লিগার আরও ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন রাফিনহা, যাদের সঙ্গে আনচেলত্তির পরিচয় ও বোঝাপড়া ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

সম্মান ও কৌশলের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সমঝোতা
সিবিএফ-এর বিশেষ দূত দিয়েগো ফার্নান্দেস-এর নেতৃত্বে আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে, সাবধানতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে দুপক্ষ একমত হয়েছে।

ফার্নান্দেস গত কয়েক মাসে ইউরোপে একাধিকবার আনচেলত্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন। ১৬ এপ্রিল রিয়াল-আর্সেনালের ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক বিদায়ের প্রস্তুতি রিয়ালেও
রিয়াল মাদ্রিদও ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আনচেলত্তির অবদান স্বীকার করে, তাকে ভবিষ্যতে ক্লাবের উচ্চপর্যায়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। সব পক্ষই চাইছে—এই অধ্যায় শেষ হোক সম্মান আর সৌহার্দ্যের আবহে।

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

গাজীপুরের জয়দেবপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তাসলিমা আক্তার (৩০) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জয়দেবপুর এলাকায় শিশুসহ দগ্ধ পাঁচজনকে আমাদের এখানে আনা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসলিমার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে সীমা নামের আরেক নারীর মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে পারভীন ৩২ শতাংশ, তানজিলা ৯০ শতাংশ ও শিশু আয়ান ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশাঙ্কাজনক।

নিহতের তাসলিমার স্বামী আলী হোসেন জানান, তিনি পোশাক শ্রমিক। তার স্ত্রীও পোশাক শ্রমিক ছিলেন। তাদের ১১ বছরের একটি ছেলে এবং ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তার স্ত্রী-মেয়ে ও প্রতিবেশী তিন নারী দগ্ধ হন। ওই দিন রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাসলিমা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা এলাকার কাসেম আলীর কন্যা। তারা জয়দেবপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন।