খুঁজুন
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৫ মাঘ, ১৪৩১

মোদির ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেনো বিতর্ক ?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৪২ অপরাহ্ণ
মোদির ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেনো বিতর্ক ?

ভারতে ‘এক দেশ, এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট) ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করার পথে একধাপ অগ্রসর হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে বুধবার এ প্রস্তাব পাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা।

কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম দফায় লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলোর নির্বাচন একসঙ্গে হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে পুরসভা ও পঞ্চায়েতে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মধ্যে সর্বাধিক ব্যবধান হতে পারে ১০০ দিনের। সব নির্বাচনের জন্য একটি ভোটার তালিকা নির্ধারিত করার সুপারিশ মেনে নিয়েছে কেন্দ্র।

এই পদক্ষেপ অনুযায়ী ২০২৯ সালে যে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা, তার সঙ্গে রাজ্যগুলোর বিধানসভা নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু ২০২৯ সালে লোকসভার মেয়াদ শেষ হলেও সব রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে না।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে ২০২৬ সালে। পাঁচ বছর পর ২০৩১ সালে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। অন্যান্য অনেক রাজ্যের ক্ষেত্রে একই সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে পাঁচ বছর পর একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন দেশজুড়ে সম্পন্ন হবে, তা স্পষ্ট করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সরকার দেশ জুড়ে এ বিষয়ে মতৈক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর শুরু হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের আইনি প্রক্রিয়া। তার দায়িত্ব দেয়া হবে একটি বিশেষ কমিটিকে। তবে ২০২৯-এ সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ না ফুরোলে কী একত্রে ভোট হবে, এই প্রশ্নের সদুত্তর বৈষ্ণব দিতে পারেননি।

মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কিছু পরেই এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি এক দেশ এক ভোট নীতির উদ্দেশ্য সম্পর্কেও বলেন। লেখেন, দেশের গণতন্ত্রকে আরো জোরালো ও সকলের অংশগ্রহণের পক্ষে অনুকূল করে তোলার লক্ষ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সাবেক রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি ৪৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছিল। এ নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছে ১৫টি দল। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ সংবিধান, গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। দেশের জনতা একে সমর্থন করবে না। এর মাধ্যমে আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

তৃণমূলের সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনের বলেন, এটা গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির একটা চমক। এর আগে বিজেপি যেমন ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এটাও সেরকমই একটা উদ্যোগ।

বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শরিকরাও কেন্দ্রের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, বিজেপি আগে তাদের নিজেদের সাংগঠনিক স্তরে সব নির্বাচন একসঙ্গে করুক। তারপর দেশের কথা ভাবা যাবে।

বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন্দ্র যেখানে একযোগে ভোট করানোর কথা বলছে, সেখানে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে কেন উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা আসনগুলোর উপনির্বাচন করা হচ্ছে না?

প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পক্ষে ইতিবাচক বললেও বিরোধীরা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর)-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সঞ্চালক উজ্জয়িনী হালিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর এটা পরোক্ষ আঘাত। আঞ্চলিক দলগুলোর জন্য খারাপ খবর। মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনের সময়, ভিন্ন ইস্যুতে ও ভিন্ন নিরিখে ভোট দেয়, এটা নানা গবেষণা থেকে প্রমাণিত। একসঙ্গে নির্বাচন হলে ভোটারদের একটা দলকে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে, তাদের ভোটদান একপ্রকার প্রভাবিত হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভময় মৈত্র বলেন, সরকার সবসময় পাঁচ বছর থাকে না, মাঝপথে ভেঙে যায়। অনাস্থা এলে সরকারের পতন হতে পারে। নতুন নীতিতে মাঝেমধ্যে নির্বাচন হওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র নিরুৎসাহিত করছে। এটা গণতন্ত্রের পরিসরকে কমিয়ে আনতে পারে বলে বিরোধীরা মনে করছেন।

এদিকে শাসক-শিবিরের পক্ষ থেকে দুটি যুক্তি জোরালোভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রথমত, সারা দেশে একযোগে নির্বাচন হলে খরচ অনেকটাই কমবে। আলাদা আলাদা নির্বাচন করার ব্যয় বেশি।

উজ্জয়িনী হালিম বলেন, বড় দলগুলো নির্বাচনে যেভাবে সারা দেশে খরচ করতে পারবে, ছোট দল তাদের সামনে কোথায় দাঁড়াবে! নির্বাচনের খরচ কমানোর জন্য দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর লাগাম টানা। খরচ কমানোর জন্য আরো অনেক পথ অবলম্বন করা যায়, এক দেশ এক নির্বাচনে তা হবে না।

শাসক শিবিরের দ্বিতীয় জোরালো যুক্তি, একযোগে নির্বাচন উন্নয়নের কাজকে মসৃণ করবে। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে ভোট হলে উন্নয়নের গতি থমকে যেতে পারে নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মইদুল ইসলাম ডয়চে ভেলে’কে বলেন, আলাদা ভোট হলে উন্নয়ন থমকে থাকবে না। ১৯৬৮-২০২৪ পর্যন্ত তো উন্নয়ন হয়েছে, যে সময়ে একসঙ্গে নির্বাচন হয়নি। নতুন নিয়মের ফলে জাতীয় দল বা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিরোধী এবং আঞ্চলিক দলগুলির তুলনায় বেশি সুবিধা পেতে পারে।

হালিমের মতে, আচরণবিধির জন্য উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এই যুক্তি মানা যায় না। যে কোনো রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাস দেখুন, পাঁচ বছরে কতবার ভোট হয়েছে আর তার জন্য উন্নয়নের কাজ কতটা থেমেছে? অন্য সময় উন্নয়নের গতি কি খুব সাবলীল?

রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত কাভার্ডভ্যান চালক

রাজধানীর হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় লিটন দাস (৪০) কাভার্ডভ্যান চালক নিহত।

শনিবার(০৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

তাকে নিয়ে আসা রবিউল বলেন,
নিহত লিটন দাস রিয়া পরিবহন কোম্পানির কাভার্ডভ্যান চালক,সকালে হাজারীবাগ শেখ রাসেল স্কুলের পার্শে একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি অন্য একটি কাভার্ডভ্যান পেছনে গাড়ি ব্যাক গিয়ারে দিয়ে যাওয়ার সময় চাঁপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিকদার মেডিকেলে নিয়ে যায় পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেন,
নিহতের বাসা ঢাকেশ্বরী অরফারেন্স রোডের১৩/২ নম্বর বাসা ভরত লাল ঘোষের সন্তান। নিহত দুই মেয়ে এক ছেলের জনক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আব্দুল্লহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীর নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

ঢাকার নবাবগঞ্জ বেরি বাঁধে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলে ধাক্কায় পরান শাঁখারি(৮০)বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত পরান শাখারী ঢাকার নবাবগঞ্জ
উপজেলার নবগঞ্জ থানার ঢাকার নবাবগঞ্জের কল্যান শ্রী গ্রামের গ্রামের মৃত রায় মোহন শাখারীর ছেলে।

শনিবার(৮ ফেব্রুঃ)সকালের দিকে নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধ দিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় ৯টাই এই ঘটনাটি ঘটে।পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে কৃষ্ণ পদ্মা শাখারী বলেন,
আজ সকালের দিকে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় নবাবগঞ্জের বেরিবাঁধে দ্রুত গতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয় আমার বাবা।পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক বলে,
আজ দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, আহত ১৫

গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আখম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা করার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১:৪০মিনিট থেকে রাত ২টার দিকে তাদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। আহতরা হলেন- শুভ শাহরিয়া(১৬), ইয়াকুব(২৪), সৌরভ (২২), কাশেম(১৭),ও হাসান(২২) অজ্ঞাত নামে আরও তিনজন রয়েছে।

হাসপাতলে আহতদের মধ্যে সৌরভের বন্ধু পিয়াস বলেন,
রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের উপরে হামলা চালায়। এতে তার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। এদের মধ্যে ৮ জনকে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুভ শাহরিয়া গাজীপুরের সাইন বোর্ডের কামারজুরি এলাকার ফজলুর ছেলে। ইয়াকুবের বাড়ি গাজীপুর গাছা থানার শরিপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।সৌরভের বাড়ি টঙ্গি পূর্ব থানার মধুমিতা রোডের গণেশ ঘোষের ছেলে। কাশেমের বাড়ি গাছা থানার আলহেরা পেট্রোল পাম্প এলাকার মৃত হাজী জামালের ছেলে এবং এবং হাসানের বাড়ি জয়দেবপুর থানার জোড়পুকুর এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো: ফারুক বলে, গাজীপুর থেকে আহত অবস্থায় ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।জরুরী বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।