খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র, ১৪৩১

ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ

নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধর্ষকের সহযোগীরা ভিডিও ধারণ ও ঘটনা কাউকে জানালে গলাকেটে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরা।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর কাছে এই অভিযোগ করেন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এর আগে রোববার (১৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে জেলার রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ জানান, রাকিব মিয়া (৩২)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশের তথ্য বলছে, রাকিব একজন মাদক কারবারি। তিনি একাধিক মাদক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার রাতে রাকিব ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত রাকিবের দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে নেয়। রাকিব ও তার তার সহযোগীরা নির্যাতনের শিকার নারীর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালঙ্কারও ছিনিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে চলে যাবার সময় ঘটনাটি কাউকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে গলাকেটে করে হত্যার হুমকি দেয়।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা গ্রেপ্তার হবে।

র‍্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৩:১২ অপরাহ্ণ
র‍্যাব-১২’র অভিযানে সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে ১৭ মার্চ সোমবার রাতে র‌্যাব-১২’র সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন পূর্নবাসন সায়দাবাদ এলাকার মোঃ আলী আশরাফ এর বাড়িতে” অবস্থান করে একদল ডাকাত ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন পূর্নবাসন সায়দাবাদ এলাকায় তার বাড়িতে পৌঁছা মাত্র কয়েকজন ডাকাত র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ০১ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাকী অজ্ঞাত ৭/৮ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। ধৃত ০১নং আসামী মোঃ আলী আশরাফ (৩৭)‘কে ডাকাতির প্রস্তুতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়িতে সাক্ষীদের উপস্থিতে তল্লাশিকালে তার বাড়ির শয়ন কক্ষ হতে ১। ২টি গ্যাস গানের ব্যবহৃত সেল, ২। সিলিং ফ্যান ৭টি, ৩। মোটোরলা নষ্ট ওয়াকিটকি ১টি, ৪। ২টি ছোড়া ৫। ২টি হাসুয়া  ৬। ২টি র‌্যাদ ৭। ২টি স্কু ডাইভার ৮। ১টি টেষ্টার ৯। ২টি কাটিং প্লায়াস ১০। ০১টি খুর, ১১। ০১টি মোটরসাইকেল চুরির মাস্টার কি, ১২। ০১ হর্সের মোটর, ১৩। ০১ টি ০২ হর্স পাওয়ারের সাব মার্সেবল পাম্প, ১৪। লোহাকাটা গ্রান্ডিং মেশিন ০১টি, ১৫। ০৮ পিচ এসডিএম আই ক্যাবল বক্সসহ, ১৬। ০৮ পোর্ট সুইচ ০১ টি, ১৭। ক্যাবল ৫০ গজ, ১৮। ওয়েব ক্যামেরা ০১টি, ১৯। ০৪টি স্মার্ট ফোন ২০। ০১টি মোটরসাইকেলসহ র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ এর আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত ০১নং আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, অজ্ঞাত ৭/৮ জনসহ তারা প্রত্যেকেই আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ আলী আশরাফ (৩৭), পিতা- মৃত আবুল হোসেন, সাং- পুর্নবাসন সায়দাবাদ, থানা ও জেলা সিরাজগঞ্জ।
 প্রাথমিকভাবে  জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ডাকাতি করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ নিয়ে ঠিক কী বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড ?

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন গভীর উদ্বিগ্ন বলে দিল্লিতে এসে জানিয়েছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। খবর বিবিসির।

তিন দিনের ভারত সফরে এসে এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। গতকাল সোমবার সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে তুলসী বলেন, ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা নানা দেশে ‘ইসলামি খেলাফতে’র আদর্শে শাসনক্ষমতা হাতে নিতে চায়– কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এই আদর্শকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে বলে পাশাপাশি বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া দ্বিতীয় আর একটি সাক্ষাৎকারেও মন্তব্য করেন তুলসী গ্যাবার্ড।

এনডিটিভি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমরা যদি ঘরের কাছে, ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখেছি সেখানে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, অনেক সহিংসতা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বহু রিপোর্ট এসেছে।

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন? তারা কি মনে করে না (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা দরকার – শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রে?’

এর জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই (আমরা উদ্বিগ্ন)।

তিনি বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে খুব লম্বা সময় ধরে সেখানে হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক ও অন্যদের ওপর যে ধর্মীয় নির্যাতন, হত্যা ও অত্যাচার চালানো হচ্ছে সেটা আমেরিকার সরকার তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য খুব বড় একটা উদ্বেগের জায়গা।

সেই সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ড যোগ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কথাবার্তা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। তবে এটা আমি বলতেই পারি এই বিষয়টা, উদ্বেগের যে জায়গাগুলোতে আমাদের ফোকাস রয়েছে, তার মধ্যে এটা অন্যতম প্রধান।

এর পর থেকে তিনি খানিকটা নিজে থেকেই টেনে আনেন ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদে’র প্রসঙ্গ।

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, আরও একবার ইসলামি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বলব, সার্বিকভাবে তারা বিশ্ব জুড়ে যে চেষ্টাটা চালাচ্ছে… এক এক জায়গায় এক এক গোষ্ঠী, কিন্তু তাদের আদর্শ ও লক্ষ্যটা অভিন্ন … আর সেটা হল ইসলামি খেলাফতের আদর্শে দেশ শাসন করা।

তুলসী বলেছেন, এটা অবশ্যই অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে যে ধর্মগুলো (এই জঙ্গীদের কাছে) গ্রহণযোগ্য নয়। এবং তারা অত্যন্ত সহিংস ও সন্ত্রাসবাদী পন্থায় নিজেদের আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে এই তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিবাদকে পরাজিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এরপরই সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যে আদর্শ থেকে এই ইসলামি সন্ত্রাসবাদের জন্ম, তাকে চিহ্নিত করে পরাস্ত করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অঙ্গীকারে অবিচল।

তুলসী বলেছেন, এই আদর্শ যাতে তারা আমেরিকার জনগণ বা বিশ্বের অন্যত্র প্রয়োগ করতে না পারে, সেটাই ট্রাম্প প্রশাসন দেখবে।

বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া তার দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারেও ‘ইসলামি জঙ্গিবাদ’ নিয়ে কথা বলেন তিনি, আর সেখানেও অবতারণা করেন বাংলাদেশের প্রসঙ্গ।

ওই সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যে একের পর এক জঙ্গি হামলা চালানো হয়, সেটাকে ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে দেখে?

জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শাসনকাল থেকেই ইসলামি জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং নতুন মেয়াদেও সেই ধারাবাহিকতাই অব্যাহত আছে।

তুলসী বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ইসলামি জঙ্গিবাদের সরাসরি প্রভাব পড়েছে ও এখনও পড়ে চলেছে আমেরিকার মানুষের ওপর।

তিনি আরও বলেছেন, আমরা আরও দেখছি এর জন্য কীভাবে ভুগতে হচ্ছে ভারতকে, কীভাবে তা প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে। এখন তা সিরিয়াতে, ইসরায়েলে ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও নানা দেশেই প্রভাব ফেলছে।

আমি জানি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদিও এই বিপদকে খুবই গুরুত্ব দেন এবং আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের নেতারা একযোগে এই বিপদের মোকাবিলায় কাজ করবেন এবং একে নির্মূল করবেন, বলেচন মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বাংলাদেশ যে ইসলামি জঙ্গিবাদের শিকার বলেই তিনি মনে করেন– সে কথা জানাতে তুলসী গ্যাবার্ড কোনও রাখঢাক করেননি।

এদিকে বাংলাদেশ নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ভারতের কারণে বাঁচল বাংলাদেশের সেনাপ্রধান!

ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার ডাহা মিথ্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার ডাহা মিথ্যাচার

স্বাধীনতার শুরু থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে চরম এক অস্বস্তিতে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশকে তাদের করায়ত্বে নিতে, নানাভাবে খন্ডিত করতে ভারতের ষড়যন্ত্রের কোনো কমতি নেই। এমনকি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ভারত। ভারতীয় “র” এর এজেন্ট দিয়ে বুদ করে রেখেছে বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর। আর সেই আগুনে ঘি ঢালে ভারতীয় কিছু বাটপার মিডিয়া, কিছু ভুঁইফোড় মিডিয়া। সম্প্রতি তেমনি একটি ভুয়া, মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন করেছে ভারতের কথিত একটি অনলাইন পোর্টাল India Hood. সবাইকে সচেতন করার স্বার্থে প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করেছিলেন ওপার বাংলার সেনাবাহিনীর অসাধুরা। তবে ভারত (India) সেই চেষ্টা নস্যাৎ করেছে। সূত্রের খবর, ওপার বাংলার সেনাপ্রধান বারংবার মৌলবাদীদের সতর্ক করে এসেছেন। কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাড়াবাড়ি করলে বাংলাদেশি সেনা ল অ্যান্ড অর্ডারে হস্তক্ষেপ করবে।

এরই মধ্যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI-র সাথে পরিকল্পনা করে জামানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন সেদেশের সেনা বাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। তবে ভারত সেই চেষ্টায় জল ঢেলেছে। কীভাবে? রইল বিস্তারিত।

জামানকে উৎসখাতের পরিকল্পনা বাঞ্চাল করে ভারত?

দীর্ঘদিন ধরে ওপার বাংলার রাজনীতিতে বিদ্বেষের হাওয়া বইছে। পারস্পরিক রেষারেষি থেকে শুরু করে ক্ষমতা দখলের লোভ সবই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিয়মিত। এবার সেই রেশ ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতেও। দীর্ঘ সময় ধরে ওপার বাংলার সেনাপ্রধান জামানকে উৎখাতের চেষ্টা করে চলেছেন কিছু অসাধু সেনা সদস্য।

যাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা তথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান। অভিযোগ, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রেখেই গভীর পরিকল্পনার পর জামানকে সরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ফয়জুর। যেই খবর কোনও ভাবে পেয়ে যান ভারতীয় গোয়েন্দারা।

আর এরপরই ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সতর্ক করতে থাকেন ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। সূত্রের খবর, জামানের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে বিষয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলিকেও জানানো হয়। পরবর্তীতে পশ্চিমী দুনিয়া থেকে মহম্মদ ইউনূসের কাছে বার্তা আসে আপনার আর্মি চিফের বিরুদ্ধে ক্যু হতে চলেছে।

শোনা যায় ভারতীয় গোয়েন্দারাই নাকি ঢাকা থেকে জামানের সাথে আমেরিকান সেনা অফিসারদের কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন। সূত্র বলছে, ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসাররা প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার পরই বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের কমিউনিকেশন ডিভাইস ট্যাপ করার কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের পরামর্শে 13 মার্চ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে গিয়েছিলেন জামান।

দেখানো হয়েছিল তিনি সেখানে মোতায়েন হওয়া বাংলাদেশের শান্তিসেনার সাথে কথা বলতে যাচ্ছেন। কিন্তু গোটা বিষয়টা ছিল রিপাবলিকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন আমেরিকান আর্মির শীর্ষ অফিসাররা। সেখানে মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের নাগালের বাইরে না যায় সে বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছিলেন জামান। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পাকপন্থী আর্মি অফিসাররা সেই খবর জেনে গিয়েছিলেন।

আর এরপরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল তৈরি হয়। শোনা যায়, জামান দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করার ছক করছিলেন বাংলাদেশের সেনা অফিসাররা। সূত্র বলছে, এই খবরও নাকি পেয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি ভারতের পরামর্শে ঢাকার বদলে তেজগাঁও এয়ারবেসে নামানো হয় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে।

পরবর্তীতে বিরাট সিকিউরিটি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান জামান। তবে ওপার বাংলার বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে জামানের। আগামী দিনে তাঁর সাথে কী হবে সে ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তিত ভারত থেকে শুরু করে অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষী দেশগুলি।”

মন্তব্য: ভারতীয় ভুঁইফোড় মিডিয়ার গুজবময় কথিত সংবাদ থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।