খুঁজুন
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

রফিকুল হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
রফিকুল হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

সকাল ৮টার আগে নুরুল ইসলাম সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃগাংক শেখর তালুকদারের আগে থেকেই দাখিল করা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়। অন্যদিকে সুজনের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যাত্রাবাড়ী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আসাদ রিমান্ডের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলাম সুজনকে যাত্রাবাড়ী থানার গোপীবাগের রাইয়ান কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মালিক রফিকুল ইসলামকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আজ (২২ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

গত ২৮ আগস্ট রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৯৫ জনকে আসামি করা হয়।

গত ১৮ জুলাই রাত ৯টার সময় যাত্রাবাড়ীর মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে সুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় ইমরান হোসেন নামের এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওই মামলায় সকালে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর বিকেলে আবার রিমান্ড বাতিল করা হয়। হাইকোর্ট থেকে ইমরান হোসেন হত্যা মামলায় আগাম জামিন পাওয়ার বিষয়টি নুরুল ইসলাম সুজনের আইনজীবী আদালতকে জানানোর পর বিকেলে রিমান্ড বাতিল হয়। পরে আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

এস,এম কাশেম: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ বংশ ও সর্দার বংশের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

এ সময় উত্তেজিত অবস্থায় সর্দার বংশের একজন শেখ বংশের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

এ ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

আটককৃতরা হলেন, কালিয়া পৌর এলাকার কুলসুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সরদারের ছেলে কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে শুভ সরদার।

অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে সাইমুন সরদার, মৃত আকরাম সরদারের ছেলে নান্নু সরদার ও হবিবর সরদারের ছেলে দীপ সরদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে গত বুধবার আসর নামাজের পর মারধর করে সরদার বংশের রশিদ সরদার।

মারামারির ঘটনায় আজ জুমার নামাজের পর মসজিদের ভিতর ওই বিষয়ে কথা কাটির একপর্যায়ে সরদার এবং শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি টেটা, ১টি হকিস্টিক,৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি উদ্ধার করে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।