খুঁজুন
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঢাবি ছাত্র সাম্য ও আবু বকরের মৃত্যু

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার সাম্য (২৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক ও মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন ঘটন, প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ই-মেইলে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও
র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র‍‍্যাবের ডিজিকে ইমেইলে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশদাতারা হলেন- সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, এডভোকেট নাইম সরদার (অয়ন) ও অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী।

নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সুপ্রিম কাের্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়- বিবাদীদের ব্যর্থতার কারণেই ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়য়ের মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার সাম্য (২৫), ২০১০ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক ও ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। বিবাদীরা এ দায়ভার এড়াতে পারেন না। এসব মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কাের্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোঃ সোলায়মান (তুষার)।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে একেরপর এক হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক। বিবাদীরা ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যথা রয়েছে। এসব মৃত্যুর পেছনে বিবাদীদের ব্যর্থতা রয়েছে। নােটিশ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হলে সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।

নিউজ ১৮'র প্রতিবেদন

ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ
ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মধ্যে শিগগিরই সাক্ষাৎ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম নিউজ ১৮ জানিয়েছে, শিগগির ভারত সফরে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এটিই হবে মা-ছেলের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এই সফরে মায়ের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে সাক্ষাৎ ছাড়াও কলকাতা যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তার। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়নও এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।

নিউজ ১৮ জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন জয়। সূত্র জানায়, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর তিনি আমেরিকার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতাদের মধ্যে জয়ের এই সম্ভাব্য সফর নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার ভারত সফরের প্রেক্ষাপট এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

গত ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে, যা দলটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব পথ বন্ধ করে দেয়।

এর আগে, ১০ মে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সব অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিচার ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা, সেমিনার, গণমাধ্যমে প্রকাশনা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করা হয়েছে।

একজন সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জয় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং নির্বাসিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সরকার যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এটি আগামী নির্বাচনে দলটিকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে নেওয়া কৌশলের অংশ।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশত্যাগ করেন এবং তখন থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাকে সামনাসামনি দেখেননি। এতদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সম্প্রতি পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্স ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ড এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ মে) কমিশন থেকে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে। এর আগে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। যা আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

অন্যদিকে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও ওই তলবের বিপরীতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা মেলেনি।

কানে বর্ষা, বললেন নারীর ক্ষমতায়নের কথা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
কানে বর্ষা, বললেন নারীর ক্ষমতায়নের কথা

দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বর অন্যতম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা, প্রযোজক আফিয়া নুসরাত বর্ষা। গেল ১৩ মে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রশিল্পের অন্যতম বড় এ প্রদর্শনীর।

৭৮তম আসরের দ্বিতীয় দিনে ওয়ার্ল্ড উইমেন কানস অ্যাজেন্ডা ডিসকাশন পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশি এই নায়িকা।

‘নিউ এরা অব আইডেন্টি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড গ্লোবাল সিনেমা’ শীর্ষক এই সেমিনারে অংশ নিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন বর্ষা।

এদিন সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তব্যের শুরুতে বর্ষা জানিয়ে দেন তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, অভিনেত্রী পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন ব্যবসায়ী। কাজ করেন মানুষের উন্নয়নে।

এ সময় বর্ষা বলেন, অভিনয় জীবনের বাইরে ব্যবসায়িক জীবনেও আমি আমার ইচ্ছা, মেধা এবং লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট থাকি। আমার ব্যবসায় সব সময় নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্যই একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমার এই অংশগ্রহণ।

সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী (সিনেমার) স্টোরি টেলিং বিষয়টির এক অসাধারণ ক্ষমতা ও শক্তি আছে, যা মানুষকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বাস্তবসম্মত গল্পগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং অধিকারের বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

ওই সেমিনারে আরও অংশ নেন পর্তুগিজ অভিনেত্রী ইসাবেল জুয়া, ফরাসি অভিনেত্রী মারিয়ানি বোরগো এবং হলিউড অভিনেত্রী ও নির্মাতা নোরা আরমানি।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে উৎসবের ৭৫তম আসরে যোগ দিয়েছিলেন বর্ষা। সে সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।