খুঁজুন
শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ডিআইজি সাইফুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
ডিআইজি সাইফুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত

রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (২৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির সই করা প্রজ্ঞাপনে এমন আদেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত ডিআইজি, সিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে ওএসডির আদেশপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলামকে সিএমপির চান্দগাঁও থানার মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছেন।

এতে আরো বলা হয়, সাইফুল ইসলামকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর বিধান অনুযায়ী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।

এর আগে, তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জুলকারনাইন সায়েরের পোস্ট

সুব্রতকে লন্ডনে বড় টার্গেট দিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান-জিয়াউল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
সুব্রতকে লন্ডনে বড় টার্গেট দিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান-জিয়াউল

কুষ্টিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে সম্প্রতি ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করা শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। কুষ্টিয়া জেলা শহরের কালিশঙ্করপুর এলাকার সোনার বাংলা রোডের বাংলা মসজিদের পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের অপর দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও শরীফকেও গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড অ্যামুনিশন এবং ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।

এদিকে তাদের গ্রেপ্তারের পর থেকে তাদের নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেতে শুরু করে। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লন্ডনে অবস্থানরত আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

জুলকারনাইন স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

‘২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাংলাদেশের ২৩ জন কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করা হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শীর্ষ ২৩ জন অপরাধীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করে। ওই তালিকার প্রথমেই ছিল ত্রিমোথি সুব্রত বাইন।

তার নামে তখন ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সুব্রত বাইন উপায়ন্তর না দেখে তার সবচেয়ে আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদকে নিয়ে যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যায়। কিন্তু সুব্রত প্রায়ই অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে আসত চাঁদার টাকা সংগ্রহ করতে এবং বসবাসের জন্যে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় স্থানীয় লাল্টুর মাধ্যমে একটি বাসাও তখন ভাড়া নেয়। সুব্রতর দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি, সন্তান নূর, বিথি ও রিপন এখানেই অবস্থান করত, এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে মাসিক চাঁদার টাকা আদায়ের পর আবার সীমান্ত পার হয়ে কোলকাতা চলে যেত। এরই মাঝে কোলকাতা পুলিশ সুব্রতকে কালিঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আটক সুব্রতকে ছাড়াতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভিরুল ইসলাম জয়, এবং তার যোগাযোগ ব্যবহার করে সুব্রতকে জেল থেকে মুক্ত করে। তানভীর জয় ছোটবেলায় দার্জিলিংয়ে পড়াশোনার সুবাদে ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টে তার কিছু বন্ধু ছিল যারা দেশটির সামরিক বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারী বিভিন্ন কার্যালয় কর্মরত ছিল।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘এ ঘটনার পর জয়, সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে ডেকে পাঠান তৎকালীন কোলকাতার পুলিশ কমিশনার এস. কে. চক্রবর্তী। তখন থেকে মূলত এই তিনজনের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র এবং সেনা গোয়েন্দা এম আই (Military Intelligence)-এর সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়।

জয় শারীরিকভাবে ফিট না হওয়ায় ‘র এর গোয়েন্দা অফিসাররা সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ ও তাদের সহযোগী গোলাম মর্তুজা বাবু ওরফে মধু বাবুকে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রদান করে নেয়। পরবর্তীতে ‘র এর সিনিয়র কর্মকর্তা এস. মাথুর সুব্রতদের দিল্লি ডেকে নেন এবং বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা ভারতের উলফা, ইউনাইটেড লিবারেশন অফ নাগাল্যান্ডসহ যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন আছে সেসব সংগঠনের কিছু নেতাদের ছবি ও ঠিকানা দিয়ে; অস্ত্র অর্থসহ মিশন কার্যকরী করতে যা যা প্রয়োজন সেসবের ব্যবস্থা করে দেয়।’

২০০৩ সালে সব প্রস্তুতি নিয়ে সুব্রত ঢাকায় আসে এবং মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাড়িতে হামলা করে নাগাল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব দাবি করা বম সম্প্রদায়ের এক নেতার স্ত্রী ও তার ৭ বছরের সন্তানকে হত্যা করে। এ ছাড়াও পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের মোস্তাকিম কাবাবের মালিক মোস্তাকিমকে গুলি করে হত্যা করে। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) নামের পাকিস্তান ভিত্তিক একটি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মোস্তাকিম। এ ছাড়াও বহুবার উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়াকে হত্যার চেষ্টা করে সুব্রত বাইন।

২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ অনুরোধে কোলকাতায় থাকা সন্ত্রাসীদের আটকের অভিযান শুরু হয়। তখন কোলকাতার সিআইডি কর্মকর্তা রাজিব কুমার, সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের জন্যে বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সুব্রত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরামর্শে ও সহায়তায় আলী মোহাম্মদ নামে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে প্রথমে সিঙ্গাপুর, এবং পরে চীনে গিয়ে থিতু হয়। সেখানেও সুব্রত বাইন ‘র এর তত্ত্বাবধানেই ছিল।’

স্ট্যাটাসে আলজাজিরার এ সাংবাদিক আরও লিখেন, ‘‘চীনে ‘র খুব বেশি তৎপর না থাকায় সুব্রত বাইন দুবাই পাড়ি জমায়। সেখানে তাকে বিলাসবহুল ভিলায় থাকার ব‍্যবস্থা করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকেও তখন দুবাই পাঠানো হয়। ‘র সুব্রত ও মোল্লা মাসুদকে দুবাইতে পলাতক ভারতীয় মোস্ট ওয়ান্টেড টাইগার মেমনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপনের পরামর্শ দেয়, তাদের লক্ষ‍্য ছিল টাইগার মেমনের মাধ্যমে কোনোভাবে মাফিয়া সর্দার দাউদ ইব্রাহীমের নেটওয়ার্কে প্রবেশের। কিন্তু এই মিশনে সফল হতে পারেনি সুব্রত বাইন। পরবর্তীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র এর পরামর্শে সুব্রত বাইন নেপাল হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং পরিকল্পনা মাফিক কোলকাতায় তার বালিগঞ্জের বাড়ি থেকে STF (Special Task Force) তাকে গ্রেপ্তার করে।

২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি মাসে কোলকাতা এসটিএফ (STF) সুব্রতকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে র‍্যাব (RAB) এর কাছে হস্তান্তর করে। তাকে নিয়ে আসা হয় র‍্যাব সদর দপ্তরে এবং তার সঙ্গে দেখা করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। সুব্রতকে নতুন লক্ষ্য দেওয়া হয় এবং বলা হয় এই কাজ সফলভাবে করতে পারলে তাকে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী ভাবে থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। সুব্রত প্রস্তাবে রাজী হলে তাকে কুখ‍্যাত জিয়াউল আহসানের তত্ত্বাবধায়নে র‍্যাব কার্যালয়ের ভেতরেই একটি কক্ষে রাখা হয় এবং তার মেয়ে বিতুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়।

এ সময় সুব্রত বাইনকে জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা দূরবর্তী টার্গেটকে লক্ষ্য করে আঘাতের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তাকে স্নাইপার রাইফেল এর ব্যবহার, মুভিং টার্গেটকে গুলি করার আগে বাতাসের গতি, আর্দ্রতা, দূরত্ব এসব খুঁটিনাটি বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া চলতে থাকে।’

তিনি লিখেন, ‘২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সুব্রতর সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জিয়াউল আহসান, মনিরুল ইসলাম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা দেখা করে এবং টার্গেট যুক্তরাজ্যে বসবাসরত একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা বলে অবহিত করে। তারা সুব্রতকে পাকিস্তানী পাসপোর্টে লন্ডন পাঠানোর কথা বলে এবং লন্ডনে মিশনটি সম্পন্ন করার জন্যে যা যা সহায়তা লাগবে তা কূটনৈতিক চ‍্যানেলে প্রদান করা হবে বলে সুব্রতকে নিশ্চিত করে।

কাজ হবার পর সুব্রত ও তার পরিবারকে ভারতীয় পাসপোর্টে (আলী মোহাম্মদ নামে) কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে—এ বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। তারা এটাও জানায় এই কাজের ব্যাপারে সরকারের (তৎকালীন) সর্বোচ্চ পর্যায়ের আগ্রহ আছে এবং সর্বোচ্চ মহলের গ্রিন সিগন্যাল পেলেই পাঠানো হবে এবং তার বেশভূষায় যেন পাকিস্তানী বলে মনে হয় এ ব্যাপারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

কিন্তু ২০২৪ এর ৫ই অগাস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে হাসিনা সরকার পতন ও হাসিনায় পালানোর পর জিয়াউল আহসানের নির্দেশে সুব্রতকে তার মেয়ে বিথির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, এবং পরবর্তী আদেশের অপেক্ষার কথা জানানো হয়। এর পর থেকেই সুব্রত বাইন প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করে ‘র এর সাথে। সুব্রতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ফোনসহ পাঠানো হয় মোল্লা মাসুদকে। আর এই দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সাথে পলাতক আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের যোগাযোগের মাধ্যম হয় নেপালে পলাতক আরেক সন্ত্রাসী লেদার লিটনকে।”

একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা

মৌলিক বাংলা পার্টির ইংল্যান্ডের সভাপতি নিযাম এম রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
মৌলিক বাংলা পার্টির ইংল্যান্ডের সভাপতি নিযাম এম রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন

দীর্ঘ ১৬ বছরের দমন-পীড়নের শাসনকাল শেষে মৌলিক বাংলা পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য চ্যাপ্টারের সভাপতি নিযাম এম রহমান অবশেষে ভয় ও সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নিঃশঙ্কভাবে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন। এটি তার জন্য কেবল একটি আবেগঘন মুহূর্ত নয়, বরং একটি নতুন, আশাব্যঞ্জক বাংলাদেশের সম্ভাবনার সূচনা।

ঢাকা এয়ারপোর্টে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে মৌলিক বাংলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফুয়াদ সাকী বলেন- প্রবীণ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ নিযাম এম রহমান অতীতে বাংলাদেশে খুব সংক্ষিপ্তভাবে দু’বার এসেছিলেন—২০১৪ সালে মায়ের ইন্তেকালের সময় এবং তারও আগে একবার।

কিন্তু উভয়বারই তিনি ভয়ের পরিবেশে, রাজনৈতিক হয়রানি ও মিথ্যা মামলার আশঙ্কায় দ্রুত দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু এবারের আগমন ভিন্ন—এবার তিনি এসেছেন আত্মবিশ্বাস, সাহস ও লক্ষ্য নিয়ে। ইনশাআল্লাহ নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের বিনির্মানে উনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা দৃঢ় প্রত্যাশী।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় তাকে স্বাগত জানান মৌলিক বাংলা পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ। তিনি ঢাকায় দলের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করে নিজ জেলা মৌলভীবাজার, সিলেট এর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন, যেখানে তিনি তার মাতৃ-পিতার কবর জিয়ারত করবেন।

এক আবেগঘন বার্তায় নিযাম এম রহমান বলেন:আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, কেমন অনুভব করছি। আমার মা-বাবা যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত, আজ সেখানে ফিরে এসেছি কোন ভয় ছাড়াই। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য আমি এসেছি। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যদি কাজ করি, তাহলে এ দেশ হতে পারে শান্তির, ন্যায়ের ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ।

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের পর, তিনি এখন নিজ মাতৃভূমির জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার নেতৃত্বে মৌলিক বাংলা পার্টি একটি নীতিনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত ও সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিতকারী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

নিযাম এম রহমানের এই আগমন শুধু একজন নেতার ফিরে আসা নয়—এটি একটি আন্দোলনের জাগরণ, একটি জাতির নবযাত্রার সূচনা।

ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আ’লীগ নেতাদের বৈঠক, যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আ’লীগ নেতাদের বৈঠক, যা জানা গেল

সম্প্রতি ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ তন্ময়, বাহারউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ সেলিমসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায়।

দিল্লির থেকে উড়িস্যায় পৌঁছেছেন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। দেশ ত্যাগের পর তাদের সঙ্গে এই প্রথম বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতের ওড়িশায় পৌঁছানোর কোনো ঘটনার নয় বরং এটি ২০২৪ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নেওয়াজের কঠোর নিরাপত্তায় মিয়া চান্নুতে পৌঁছানোর দৃশ্যের।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কী-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘SUNO NEWS HD’ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১৩ আগষ্ট ‘Exclusive | CM Punjab Maryam Nawaz Helicopter Entry at Mian Channu | Heavy Protocol | Arshad Nadeem’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে।

সেই ভিডিওর বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের হেলিকপ্টারে মিয়া চান্নুতে আগমনের দৃশ্য, যেখানে তার সফরের জন্য নেওয়া কঠোর প্রোটোকল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখানো হয়েছে। প্রশংসিত অলিম্পিয়ান আরশাদ নাদিমও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানটি পাঞ্জাবের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তুলে ধরে।(অনূদিত)

পরবর্তীতে সেই তথ্যের সূত্র ধরে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘Express News’ এর ইউটিউব চ্যানেলেও এই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেই ভিডিও থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

অর্থাৎ ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ভারতের ওড়িশায় পৌঁছানোর নয়।

সুতরাং ২০২৪ সালে পাকিস্তানের ভিন্ন ঘটনার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের ভারতের ওড়িশায় পৌঁছানোর দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে যা মিথ্যা।