খুঁজুন
শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১ মাঘ, ১৪৩১

সাতক্ষীরায় সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
সাতক্ষীরায় সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৪৪ জনের নামে মামলা

২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার চিনেরডাঙা গ্রামের সিরাজুল সরদারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, দেবহাটা থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের বোন আনজুয়ারা খাতুন বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলা (পিটিশন-৫)দায়ের করেন।

বিচারক চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন ২০১৩ এর ৫(৫) ধারা অনুযায়ী ডিআইজি খুলনাকে একই আইনের ২(৩), ২(৪),২(৫), ২(৭), ৭(১), ৮(১), ১৩(১), ১৩(২) ও ১৪(১) ধারাসহ উল্লেখিত আইনে বর্ণিত ধারার আলোকে তিনি নিজে অথবা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পদমর্যাদার নীচে না এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য প্রধান আসামীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঝ পারুলিয়ার মোঃ মনিরুজ্জামান ওরফে মনি, উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ওরফে সবুজ, সখীপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, ভোমরার ব্যবসায়ি চিনেরডাঙা গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার চিনেরডাঙা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে জামায়াত কর্মী সিরাজুল সরদার সবজির ব্যবসা করতো। তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আসামী চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল আহম্মেদ এর নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা পুলিশ ভ্যান ও মটর সাইকেলযোগে এসে সিরাজুল সরদারের বাড়ি ঘেরাও করে। আসামী শরিফুল ইসলাম ও একরামুল কবীর ঘরে ঢুকে সিরাজুল সরদারকে জোরপূর্বক বাইরে এনে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পুলিশ মারপিট করতে থাকলে মামলার বাদি আনজুয়ারা খাতুন ভাই সিরাজুলকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। পুলিশ সিরাজুলকে তাদের পিকআপে তুলে নিয়ে যায়। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান ওরফে সবুজের শরনাপন্ন হলে আসামী আলী মোর্তজা মোঃ আনোয়ারুল হক ভিকটিমের স্বজনদের কাছে ৫০ হাজা টাকা দাবি করেন।

একপর্যায়ে ২৯ এপ্রিল ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ভিকটিমের স্বজনরা সখীপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের কেওড়াতলা নামক স্থানে কালভার্টের দিকে গুলির শব্দ শুনতে পায়। সাক্ষী সিরাজ সরদারের মোবাইল ফোন ও ঘেরের বাসায় অবস্থান করা সাঈদ হোসেন সরদার ও মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে মামলার বাদি ও স্বজনরা জানতে পারেন যে আসামী পুলিশ কর্মকর্তা কাজী জালাল আহম্মেদ এর নির্দেশে পুলিশ সিরাজুল সরদারের বুকে গুলি করে।

পুলিশ রক্তাক্ত সিরাজুলকে পুলিশ পিকআপে করে নিয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চলে যায়। সেখানে সিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সিরাজুলের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিকেলে সিরাজুলের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুলিশ নিহত সিরাজুল সরদারসহ অজ্ঞাতনামা ১৫জনকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করিয়া ২৯ এপ্রিল রাতেই থানায় ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারাসহ কয়েকটি ধারায় মামলা (জিআর- ৫১/১৪, দেবঃ) দায়ের করেন।

মামলার বিবরনে আরো জানা যায়, ঘটনার সময় পরিস্থিতি মামলা করার জন্য অনুকুলে না থাকায় বর্তমানে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় মামলা দায়ের করা হলো।
বাদি পক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরা জজ কোর্টের অ্যাড. হাফিজুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- আলী হোছেন (৩৫), মো. আরিফ উল্লাহ (৩০) ও দৌছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল (২৫)।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮-৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলার ফুলতলী এলাকায় মিয়ানমারের গরু আনতে যান আলী ও আরিফ। কাঁটাতারের পাশে গেলে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এতে আলী হোসেনের বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও আরিফ উল্লাহর মুখে গুরুতর আঘাত পান। অন্যদিকে সীমান্তের ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় গরু আনতে গেলে আহত হন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, সীমান্তে পৃথকস্থানে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে আলী হোছেন নামে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। আহতরা মিয়ানমার সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল জানান, সীমান্তে বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।

বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতেরটা আঁকতে পারবেন না: ড. ইউনূস

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধু হিসেবে অভিহিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ‘ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অনেক কষ্ট দেয়’। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যতটা সম্ভব শক্তিশালী হওয়া উচিত। আপনি (প্রতিবেদক) জানেন- বাংলাদেশের মানচিত্র না এঁকে আপনি ভারতের মানচিত্র আঁকতে পারবেন না। কেননা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত প্রায় পুরোটাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসিনার সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন না তোলায় বিশ্বকে দোষারোপ করেছেন তিনি। ড. ইউনূস বলেন, হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শাসন করা হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের শক্ত অভিযোগ রয়েছে। যা তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কেউই হাসিনার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি; যা ভালো বিশ্ব ব্যবস্থার লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়ার জন্য পুরো বিশ্বই দায়ী। তাই হাসিনা গোটা বিশ্বের জন্যই একটি ভালো শিক্ষা।

এই নোবেলজয়ী তিনি আরও বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছি, এ কথা পুরোটাই মিথ্যা।’

তবে তিনি এর ব্যাখ্যা দেননি। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ড. ইউনূস।

২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী নন।

ড. ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রবৃদ্ধির হার দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত নই। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মান দ্বারা প্রভাবিত। তাই আমি এমন একটি অর্থনীতির কথা চিন্তা করি যেখানে সম্পদকে কেন্দ্রীকরণের ধারণা থেকে বের হওয়া যাবে।

ঢাকা-দিল্লির তিক্ততার মূল কারণ শুধু শেখ হাসিনাকেই সমর্থন দিয়ে গেছে ভারত। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন ড. ইউনূস। যাতে এখন সাড়া দেয়নি দিল্লি। যার ফলে দুই দেশের তিক্ততা বেড়েছে আরও কয়েক গুন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম সুপারিশ করেন ছাত্র নেতারা। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেন ড. ইউনূস। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
মূল্যস্ফীতির চাপে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়াটা যৌক্তিক সময় নয়। তাছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও বিষয়টিতে সায় দিচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তাছাড়া অন্য কোনো খাতের বেতন মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়েনি। এ পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিজীবীকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উস্কে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করবে। অন্যদের প্রতি ন্যায্যতা হবে না। সার্বিকভাবে এ সময়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এমন তো নয় যে সরকারি কর্মচারীরা খুব কম বেতনে চাকরি করছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেসরকারি খাতের চেয়ে বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, উপসচিব হলেই বিনা সুদে গাড়ির ঋণ এবং সেই গাড়ি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতি মাসে বাড়তি ৫০ হাজার করে টাকাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া থেকে সরে আসাটাই যৌক্তিক।

সূত্র জানায়, সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।

ব্রেকিং নিউজ