খুঁজুন
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১

দোহারে ভোটার হতে এসে দুই রোহিঙ্গাসহ গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
দোহারে ভোটার হতে এসে দুই রোহিঙ্গাসহ গ্রেপ্তার ৩

ঢাকার দোহারে ভোটার হতে আসলে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ স্থানীয় এক নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। এরপর মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার দোহারে ভোটার হতে এসে ধরা পড়েন তাঁরা।

গ্রেপ্তারকৃত দুই রোহিঙ্গা হলেন- কক্সবাজারের ঠেংখালী ক্যাম্প-১২ তে বসবাসরত হাবীবুল্লাহর ছেলে মো. সাঈদ (২৯) এবং টেকনাফ জাদিমুড়ায় বসবাসরত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আমির। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম খাইরুন নাহার(৩৮)। তিনি ঢাকার দোহার উপজেলার মালিকান্দা গ্রামের মাসুম হাওলাদারের স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঈদ ২০১৫ সালে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারত প্রবেশ করেন। তারপর ভারত থেকে তিনি সৌদি আরব প্রবেশ করেন। ২০১৯ সালে আবার তিনি বাংলাদেশে আসেন। অন্যদিকে আমির চার মাস আগে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন।

জানা যায়, ভোটার হওয়ার জন্য তাঁরা দোহারের নারিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মো. আলমগীর হোসেনের সাক্ষরিত নাগরিক সনদ, বিদুৎ বিলসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে দোহার উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসেন। সেখানে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা কাগজপত্র চ্যালেঞ্জ করলে ধরা পড়েন তাঁরা। তখন স্থানীয় ওই খাইরুন নাহার তাদের সঙ্গে ছিলেন। আটক তিনজনকে সন্ধ্যায় থানায় সোপর্দ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস।

এ বিষয়ে আটক দুই যুবক সাঈদ ও আমির জানান, তারা মূলত ভোটার আইডিকার্ড করতে দোহারের চর লটাখোলা এলাকার মো. রাজিব নামে এক যুবকের মাধ্যমে এখানে আসেন তারা। তবে সেই রাজিব চতুর হওয়ায় তিনি মালিকান্দা এলাকার খাইরুন নাহার নামে এক নারীর মাধ্যমে ভোটার হওয়ার জন্য দোহার উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে পাঠান। তবে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্বাচন অফিসার মো. তাসিনুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন।

নির্বাচন অফিসার মোঃ তাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সব অফিসের স্টাফ দায়িত্বশীল। ফলে আমরা দুজন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় দোহার নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মো. আয়ূব হোসেন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। যার মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার ও রাজিব নামে একজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

র‍্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রজ্ঞাপন তিনটিতে সই করেন।

জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন।

পরে আদালত আজ বেলা আড়াইটাই মামলার জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, নির্ধারিত আদালতে জামিন না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। এ জাতীয় মিস কেসের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তারিখ দেওয়া হলেও এখানে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেরেনূর আলী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে বাদীপক্ষ অংশ নেবে কি না আলোচনা করে জানাব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, জামিন পাওয়া আসামির অধিকার। কিন্তু বাদীপক্ষ আদালতে হট্টগোল করেছেন। আমরা শুনানিতে অংশ নিয়ে জামিন চাইব।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে সুনামগঞ্জে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। ওই ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুলিবিদ্ধ জহুর আহমদের ছোটভাই হাফিজুর রহমান। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় এমএ মান্নানকে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর জানায়, রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১ দশমিক ১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪ দশমিক ২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে কেজি প্রতি চিনির দাম কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন রমজানের আগে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনি আমদানির ওপর আরোপ করা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) অর্ধেক করার সুপারিশ করেছিল। পাশাপাশি চিনি চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিল সংস্থাটি।