খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

পাইকগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন সম্পন্ন

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
পাইকগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন সম্পন্ন

পাইকগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার সকালে শিক্ষক সমিতির জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সভা সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ (বীর মুক্তযোদ্ধা) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান কে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আনিসুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৯ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

অনুরূপভাবে প্রধান শিক্ষক এসএম মতিয়ার রহমান কে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার কে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ, সহ সভাপতি রহিমা আক্তার শম্পা, দেবপ্রসাদ সানা, গাজী মোশাররফ হোসেন, শিব শংকর রায়, দীনেশ চন্দ্র রায়, সঞ্জয় কুমার মন্ডল, জিএম আরিজুবিল্লাহ, সুকুমার রায়, পরমানন্দ বিশ্বাস ও সমরেশ চন্দ্র ঢালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার মন্ডল, সহ সাধারণ সম্পাদক খান জিনারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শামসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত সানা।

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিধান চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা সম্পাদক শেখ আব্দুস সালাম, দপ্তর সম্পাদক, আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার সম্পাদক কামাল আহম্মদ জেসফর নেওয়াজ, মহিলা সম্পাদক অঞ্জলী রাণী শীল, আইন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, প্রশাসন সম্পাদক হাফিজুর রহমান, আইটি সম্পাদক অনুজ কুমার রায়, পরিকল্পনা সম্পাদক বরুণ কান্তি বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শামীম হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক গনেশ চন্দ্র সরকার, সাহিত্য সম্পাদক এসএম হাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুজিত কুমার সরকার, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল।

উন্নয়ন ও আপ্যায়ন সম্পাদক গৌতম কুমার ঘোষ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বিজন কুমার মন্ডল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুকুমার সরকার, মোস্তাক হোসেন, সেলিম হোসেন, সুজন কুমার ঢালী, অরবিন্দু মুখার্জি, গোপাল চন্দ্র মন্ডল, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, সুকৃতি মোহন সরকার, অরিন্দম কুমার মন্ডল, অসীম কুমার রায়, অরুণ কুমার মিস্ত্রি, সুকুমার চন্দ্র দাশ, ইব্রাহিম খলিল, নরেন্দ্র নাথ রায়, আজগর আমীন, জোবায়ের হোসাইন ও আব্দুল আওয়াল।

মাধ্যমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি আমিনুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী গোলদার, কোষাধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত কুমার দাশ, আব্দুস সালাম, প্রসাদ চন্দ্র ঢালী, আমিনুল ইসলাম, জয়দেব কুমার হালদার ও জিএম সেলিম রেজা।

সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সহ সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
নবগঠিত এ কমিটির মেয়াদ ১ জানুয়ারী ২০২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত ৩ বছর কার্যকর থাকবে।

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ওপর বাধ্য হয়ে জলকামান এবং মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের আবারও শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা গেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)”-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি- এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬,৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। সবাই একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে? এখন তাদের থাকার কথা নিজ নিজ কর্মস্থলে। অথচ তারা এখন রাস্তায়। তাদের জীবনের দায়ভার কে নেবে? তারা কার কাছে যথাযথ বিচার চাইবেন? এই মুহূর্তে তাদের দাবি, তারা অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে চান।

এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ৫ প্রতিষ্ঠান হলো:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণ করে এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে এনআইডি’র তথ্য ফাঁস করেছে যার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মো. আখতার আহমেদ জানান, পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি ইচ্ছেকৃত কিনা তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশ। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কিনা তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি অসুস্থ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ ইনামুল হক (৬৫) কারাবন্দীর মৃত্যু। নিহত ইনামুল হক বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিলেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯:৩০ এর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গত ১২ জানুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে, কারাগার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসে (এম) আইসিইউ) এর ৫-নম্বর বেডে ভর্তি দেওয়া হয়।

কারারক্ষী মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন,
গত (১২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন,
এনামুল হক কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার হাজতি হিসেবে ছিলেন, হাজতি নাম্বার ১৫৮৭/২৫। নিহতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলা ঘাটাইল থানা সাং মধ্যপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের সন্তান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন,
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।