খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

”স্বপ্নের শহর বরিশালের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
”স্বপ্নের শহর বরিশালের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে”

প্রাচ্যের ভেনিস বলা হয় বরিশালকে। অনেক ইতিহাস মন্ডিত ও শিল্প-সংস্কৃতি এবং বিপ্লবের জেলা বরিশাল। এই বরিশালে জন্মেছেন অনেক জ্ঞ্যানী ও গুণীজন, যারা দেশ তথা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে গেছেন। গত কয়েক বছর যাবত সেই স্বপ্নের শহরের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে।

আবাসন শিল্প তথা স্থাপত্য শিল্প প্রায় বন্ধের পথে। যতটুকু চলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।কারণ বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের জন্য প্রচুর লোক বরিশাল আসছে। সেই তুলনায় নেই তাদের পর্যাপ্ত আবাসন।

শুধুমাত্র আবাসন নয়, রাস্তাঘাট,পানি নিষ্কাশন, পার্ক, মাঠ, হাট-বাজার সকল ক্ষেত্রের কাঠমোগত উন্নয়নে স্থবিরতা চলছে। স্থাপত্য শিল্পের সাথে ঝাড়ু থেকে শুরু করে লোহা, গুনা, টাইলস, রং, কাঠ, বাঁশ- কত ব্যবসা জড়িত। সেই সকল ব্যবসায়ও নেমেছে ধস। কত শ্রমিকের কাজ নেই, যা ছিল এই শহরের অর্থনৈতিক চাকা। বিশেষ করে আবাসন শিল্প ত্বরান্বিত করার জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি প্রয়োজন। এই অনুমতি পেতে কয়েক বছর আগেও প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ থেকে ১৫ দিন। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় জটিলতায়। মাসের পর মাস চলে গেলেও পাচ্ছে না অনুমোদন।

বরিশালবাসীর জন্য বিভিন্ন সময় চাপানো হয় এক এক নিয়ম। সমস্ত বাংলাদেশের পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বাদে অন্যান্য সকল সিটি কর্পোরেশন গুলোতে “ইমারত নির্মাণ বিধিমালা -১৯৯৬” এর আইন এ প্লানের অনুমোদন হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এ “ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮” এর নিয়ম এখন পর্যন্ত চলমান।

কিন্তু কয়েক বছর আগে বরিশালের মানুষের উপরেও “ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮” চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। এর জন্য ভূমি ছাড়পত্র নেয়ার পদ্ধতিও চালু হয়েছিল। অনুমোদনের আগেই নিতে হত ভূমি ছাড়পত্র। সময় লাগিয়ে দিত ২-৩ মাস এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল অপরিণত কর্মকর্তাদের, যারা বৈষম্যযুক্ত ভাবে প্লান অনুমোদনের দায়িত্ব পালন করেছে। বরিশালবাসির সম্পূর্ণ প্লানের অনুমোদন পেতে সময় লেগে যেত ছয় মাস থেকে এক বছর।

২০২৩ সালে মেয়র পরিবর্তন হওয়ায় আবার ১৯৯৬ এর ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ফেরত গিয়েছে, কিন্তু ভূমি ছাড়পত্রের নিয়ম বাতিল করেনি। গত এক বছরে কয়েক হাজার প্ল্যান জমা পড়লেও ২০০টির বেশি অনুমোদন দেয়া হয়নি। একটি বিভাগীয় শহর / সিটি কর্পোরেশন এ এক বছরে ২০০ টি প্লান খুবই সামান্য।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রতিবছর হারাচ্ছে শত কোটি টাকা রাজস্ব।সেই রাজস্ব বরিশালের রাস্তাঘাট, বাজার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারত। কারণ একটি প্ল্যানের অনুমোদনের সাথে জড়িত ট্যাক্স,পানির ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স আরো কিছু টেক্স।কোন এক অজানা কারণে সেই প্লানের অনুমোদনে বাড়িয়েছে জটিলতা, হয়রানির শিকার হচ্ছে বরিশালবাসি। অনুৎসাহিত হচ্ছে আবাসন শিল্প।

গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য সরকার পতনের পরে শোনা গিয়েছিল, যে প্ল্যানগুলো নিয়মের মধ্যে আছে তা খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়া হবে। যাতে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ৪৫ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও প্লানের অনুমোদনের কোনো সুরাহা হয়নি। আসলে বরিশালের আবাসন শিল্পের ভবিষ্যৎ কোথায়? কিভাবে হবে বৈষম্য মুক্ত?

গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
গত বিশ্বকাপের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আফগানদের দল ঘোষণা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। দলে ফিরলেন ইবরাহিম জাদরান। তার গোড়ালিতে চোট ছিল। তবে চোট সারিয়ে জাদরান ফিরলেও আফগানিস্তান পাবে না স্পিনার মুজিব-উর রহমানকে। তবে দলে তার পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত স্পিনার আল্লা গজনফার।

আফগান দলকে নেতৃত্ব দেবেন হাশমতুল্লা শহিদি। দলে রয়েছেন তারকা স্পিনার রশিদ খান। রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। দলে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নজর কাড়া সেদিকুল্লাহ অটল। তিন ম্যাচের সিরিজে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মিরওয়াসিস আশরাফ বলেন, ‘২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভাল খেলেছিল দল। ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল। এই দুই প্রতিযোগিতায় ভাল ফল আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে দলের। এবারেও তাই ভাল ফলের আশা করছি আমরা।’

আফগানিস্তানের গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাদের দেশের বোর্ডকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলার অনুরোধ করেছে।

যদিও ইংল্যান্ড বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে আফগানিস্তান। গ্রুপের শেষ ম্যাচও সেই মাঠেই। ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লাহোরে খেলবে তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল:
হাশমতুল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), ইবরাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলিখিল, গুলবাদিন নাইব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, আল্লাহ গজনফার, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক এবং নাভিদ জাদরান।

এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি নিয়ে বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা

বাংলাদেশেও হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনা দেয়।

নির্দেশনায় বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে।

বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর বা কফসহ এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

ফ্লাইটে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণের তালিকায় আজ শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ার জানিয়েছে এসব তথ্য।

রাজধানী ঢাকার দূষণ স্কোর ২৩৬ অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। একই অবস্থা হো চি মিন শহরের।

বায়ুদূষণের তালিকায় তৃতীয় নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।