খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

”স্বপ্নের শহর বরিশালের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
”স্বপ্নের শহর বরিশালের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে”

প্রাচ্যের ভেনিস বলা হয় বরিশালকে। অনেক ইতিহাস মন্ডিত ও শিল্প-সংস্কৃতি এবং বিপ্লবের জেলা বরিশাল। এই বরিশালে জন্মেছেন অনেক জ্ঞ্যানী ও গুণীজন, যারা দেশ তথা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে গেছেন। গত কয়েক বছর যাবত সেই স্বপ্নের শহরের উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়েছে।

আবাসন শিল্প তথা স্থাপত্য শিল্প প্রায় বন্ধের পথে। যতটুকু চলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।কারণ বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের জন্য প্রচুর লোক বরিশাল আসছে। সেই তুলনায় নেই তাদের পর্যাপ্ত আবাসন।

শুধুমাত্র আবাসন নয়, রাস্তাঘাট,পানি নিষ্কাশন, পার্ক, মাঠ, হাট-বাজার সকল ক্ষেত্রের কাঠমোগত উন্নয়নে স্থবিরতা চলছে। স্থাপত্য শিল্পের সাথে ঝাড়ু থেকে শুরু করে লোহা, গুনা, টাইলস, রং, কাঠ, বাঁশ- কত ব্যবসা জড়িত। সেই সকল ব্যবসায়ও নেমেছে ধস। কত শ্রমিকের কাজ নেই, যা ছিল এই শহরের অর্থনৈতিক চাকা। বিশেষ করে আবাসন শিল্প ত্বরান্বিত করার জন্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি প্রয়োজন। এই অনুমতি পেতে কয়েক বছর আগেও প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭ থেকে ১৫ দিন। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় জটিলতায়। মাসের পর মাস চলে গেলেও পাচ্ছে না অনুমোদন।

বরিশালবাসীর জন্য বিভিন্ন সময় চাপানো হয় এক এক নিয়ম। সমস্ত বাংলাদেশের পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বাদে অন্যান্য সকল সিটি কর্পোরেশন গুলোতে “ইমারত নির্মাণ বিধিমালা -১৯৯৬” এর আইন এ প্লানের অনুমোদন হয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এ “ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮” এর নিয়ম এখন পর্যন্ত চলমান।

কিন্তু কয়েক বছর আগে বরিশালের মানুষের উপরেও “ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮” চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। এর জন্য ভূমি ছাড়পত্র নেয়ার পদ্ধতিও চালু হয়েছিল। অনুমোদনের আগেই নিতে হত ভূমি ছাড়পত্র। সময় লাগিয়ে দিত ২-৩ মাস এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল অপরিণত কর্মকর্তাদের, যারা বৈষম্যযুক্ত ভাবে প্লান অনুমোদনের দায়িত্ব পালন করেছে। বরিশালবাসির সম্পূর্ণ প্লানের অনুমোদন পেতে সময় লেগে যেত ছয় মাস থেকে এক বছর।

২০২৩ সালে মেয়র পরিবর্তন হওয়ায় আবার ১৯৯৬ এর ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ফেরত গিয়েছে, কিন্তু ভূমি ছাড়পত্রের নিয়ম বাতিল করেনি। গত এক বছরে কয়েক হাজার প্ল্যান জমা পড়লেও ২০০টির বেশি অনুমোদন দেয়া হয়নি। একটি বিভাগীয় শহর / সিটি কর্পোরেশন এ এক বছরে ২০০ টি প্লান খুবই সামান্য।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন প্রতিবছর হারাচ্ছে শত কোটি টাকা রাজস্ব।সেই রাজস্ব বরিশালের রাস্তাঘাট, বাজার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারত। কারণ একটি প্ল্যানের অনুমোদনের সাথে জড়িত ট্যাক্স,পানির ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স আরো কিছু টেক্স।কোন এক অজানা কারণে সেই প্লানের অনুমোদনে বাড়িয়েছে জটিলতা, হয়রানির শিকার হচ্ছে বরিশালবাসি। অনুৎসাহিত হচ্ছে আবাসন শিল্প।

গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য সরকার পতনের পরে শোনা গিয়েছিল, যে প্ল্যানগুলো নিয়মের মধ্যে আছে তা খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়া হবে। যাতে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ৪৫ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও প্লানের অনুমোদনের কোনো সুরাহা হয়নি। আসলে বরিশালের আবাসন শিল্পের ভবিষ্যৎ কোথায়? কিভাবে হবে বৈষম্য মুক্ত?

গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকার অঙ্গীকার

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জনাব শফিকুল ইসলাম মিল্টনের নেতৃত্বে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনী এলাকা মিরপুর ১৩ সরকারি আয়ুর্বেদিক কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন তালতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়া গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোডাউনে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়। কাফরুল থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ করে কাফরুল থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সকলের উৎসুক আমেজ লক্ষ্য করা যায়।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। কোনো কারচুপির সুযোগ নেই। আজকের এই জনসমাগমই প্রমাণ করে ধানের শীষ কতটা জনপ্রিয়।”

ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনাব মিল্টন বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজয় লাভ করলে ইনশাল্লাহ ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকায় পরিণত করব। পাশাপাশি এই আসনকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি।”

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জনাব মিল্টন বলেন, “জনাব তারেক রহমান আমাকে এই আসনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এই ঢাকা-১৫ আসনটি তারেক রহমানের জন্য বিজয়ী উপহার হিসেবে দিতে পারব ইনশাল্লাহ।”

শোডাউন ও বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এসসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে এই মুহূর্তে ‘গৃহযুদ্ধের ভাব বিরাজ করছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন আরো বলেন, ‘ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা চলা আরম্ভ করেছে’।

স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ দেওয়া আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে। ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে এটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় সেই রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সাধারণ সভা। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু ঢাবির টিএসসিতে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১ ভারতীয় দূতকে তলব, হাসিনার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলা বন্ধের আহ্বান