সিরাজগঞ্জে ১০ম গ্রেডসহ পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনটি বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা সমন্বয়ক আশিষ কুমারের নেতৃত্বে ও সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক মো. আরিফ হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক, মো. সোহেল রানা।
এসময় সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়ন ও মর্যাদাসম্পন্ন করতে ১০ম গ্রেডের ন্যায্য দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়ক মাসুদ রাব্বী, মো. শহিদুজ্জামান পলাশ, নকুল কুমার শাহা, মোকলেছুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, উম্মে হাবিবা, সুমাইয়া ইসলাম, শারমিন সুলতানা অন্যন্যা, মতিয়া চৌধুরী অগ্নি, ইমরান খান, আরিফ হোসেন, সহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সকল সহকারী শিক্ষক এখন ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রি, অন্যান্য দপ্তর ও বিভাগের স্নাতক ডিগ্রিধারীরা ১০ম গ্রেডে বেতন পান। কিন্তু আমরা শিক্ষক হয়ে অনেক হতভাগা। আমাদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হলেও আমাদেরকে রাখা হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন ও পদোন্নতি আমাদের দাবি নয় এটি আমাদের ন্যায্য অধিকার।
স্বাধীন দেশে এ রকম বৈষম্য থাকতে পারেনা জানিয়ে শিক্ষকদের ন্যায় সংগত অধিকার ১০ম গ্রেড প্রদান করে আর্থসামাজিক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট প্রতিষ্ঠিত করারও আহবান করেন। অনুষ্ঠান শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন