খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

নোয়াখালীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, পানিবন্দি ২ লাখ ৬ হাজার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
নোয়াখালীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, পানিবন্দি ২ লাখ ৬ হাজার পরিবার

নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার, ডিবি অফিস, জেলা রেকর্ড রুম,ডিসি, এসপির বাসভবনের নিচ তলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা পড়েছে চরম দূর্ভাগে। এছাড়াও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও বাসাবাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা গেছে নিন্মাঞ্চলীয় এলাকা গুলোতে নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সদর উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, গত কয়েক দিন যাবত নোয়াখালীতে রোদ্র উজ্জল আবহাওয়া থাকায় জলাবদ্ধতা কমে আসে। গত ২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আবার বেড়েছে। মূলত গত দেড় মাস ধরে নোয়াখালীতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোদ হলে জলাবদ্ধতা কমে, বৃষ্টি হলে আবার জলাবদ্ধতা বাড়ে।

বেগমগঞ্জের আরেক বাসিন্দা বলেন, নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশিত হওয়ার প্রধান খাল, বিল, জলাশয়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরো অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। এজন্য বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী,সদর উপজেলায় এখনো পানিবন্দি রয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় ১লাখ ২৫হাজার ৩১৫ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সর্বনিন্ম পানিবন্দি রয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এখানে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যক্ষেক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরো ২/১ দিন হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নোযাখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এর মধ্যে পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।

এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৩ অপরাহ্ণ
এখনও বিশ্ব সেরা আর্জেন্টিনা

ফুটবলে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে লিওনেল মেসিরা। ২০২৪ সাল শেষ করল তারা শীর্ষে থেকে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গা ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। তাদের চিরশত্রু ব্রাজিলের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশও রয়েছে আগের জায়গাতেই।

২০২৪ সালের শেষ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফিফা। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। শীর্ষ দশেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। এ বছর আর্জেন্টিনা রেকর্ড ১৬তম কোপা আমেরিকা জিতেছে। জুলাইয়ে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের মুকুট ধরে রেখেছে তারা।

লিওনেল স্কালোনির দলের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে ২০২৪ সালের ইউরোজয়ী স্পেন।

ব্রাজিল ফুটবল কঠিন সময় পার করছে। মেজর টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খারাপ সময় যাচ্ছিল। তবে সবশেষ রাউন্ডে আলো ছড়িয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের আগের জায়গা ধরে রেখেছে সেলেসাওরা। লাতিন আমেরিকার দেশটির রয়েছে পাঁচ নম্বরে। তাদের আগে, চতুর্থ স্থান ধরে রেখেছে ইউরোর রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইতালি ও জার্মানি।

বাংলাদেশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছে, আরেকটিতে হেরেছে। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাই নড়চড় হয়নি। লাল-সবুজ জার্সিধারীরা রয়েছে আগের ১৮৫ নম্বরে।