খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

ডিসি পদে বাছাই প্রক্রিয়া ও পদায়নে বিতর্ক সৃষ্টিতে উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ
ডিসি পদে বাছাই প্রক্রিয়া ও পদায়নে বিতর্ক সৃষ্টিতে উদ্বেগ

জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তাদের বাছাই প্রক্রিয়া ও পদায়নে অভাবনীয় বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (BASA)।

শনিবার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তাদের বাছাই প্রক্রিয়া ও পদায়নে অভাবনীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বিগত সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং সামাজিকভাবেও হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছেন মর্মে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে মর্মে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাশা করছে।

সেখানে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব পর্যায়ের তথা বিভাগ ও জেলা পর্যায়সহ সব পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা সুশীল সেবক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নমুখী প্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সদস্যদের কল্যাণ, পদপর্যাদা রক্ষাসহ ইত্যাদি কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে নতুন বাংলাদেশের। সহস্র শহিদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ও বঞ্চনামুক্ত একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষাপূরণে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে, যা সব মহলের প্রত্যাশাও বটে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান রেখে স্বৈরাচার দোসরমুক্ত উন্নয়ন ও সংস্কারমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু অতীব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর ও তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বক্তব্য প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলোঃ

>>>দীর্ঘ বঞ্চনার পর যেসব কর্মকর্তা ইতোমধ্যে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন তাদেরকে দীর্ঘ এক মাস অতিক্রান্ত হলেও যথাযথভাবে পদায়ন না করায় কর্মস্থলে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিধায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পদায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে।

>>>বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের দেওয়া সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও তা এখনও সম্পূর্ণরূপে সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন তা দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছে।

>>>জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক পদায়ন নিয়ে দুর্নীতির যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সে বিষয়ে যেহেতু উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে ইতোমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে, সেহেতু বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাশা করছে এ বিষয়ে প্রকৃত দোষী চিহ্নিত হয়ে যথাযথ শাস্তির আওতায় আসবে এবং প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

>>>নতুন প্রজন্মের চাহিদাভিত্তিক কাঙ্ক্ষিত সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কমিটি গঠন করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি যেমন যৌক্তিক তেমনি অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করাও সময়ের দাবি হিসেবে বিবেচ্য বিধায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বর্তমান সরকারের প্রতি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসর- উভয় ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, তিনজনের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩৪ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, তিনজনের লাশ উদ্ধার

Made with OpenAI Labs

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনের ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি লালমনিরহাটের বাবলু মিয়ার ছেলে মজলুম মিয়া। এর আগে রবিবার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, রবিবার রাত পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটো লাশ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই লাশ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামে ওই কারখানায় আগুন লাগে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপ; নিয়ে আসতে থাকে। পরপর বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন য়িন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩১ অপরাহ্ণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

19 ??????? 2019 ???? ???????????? ? ???? ??????????? ???????? ??????? ??????????????????? (?????, ?????? ???????? «?????????????», ????????????????????? ???????? ????????????? «???????») ???? ??????? ?????????? ? ???? ?????????????? ????-???????????? ???? ? ???????? ?????????? ?????????.

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়। এসময় তার ছেলে মুয়াজ আরিফ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও হাসান আরিফের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, আমরা এক ভাই, এক বোন, ছোট থেকেই কোর্টের একটা আবহে বড় হয়েছি। বাবার কাছে আমাদের কোনো প্রয়োজন থাকলে কেবল শনিবার বলতে পারতাম। বাবাকে কাছে পেতে শুরু করেছি যখন আমি তার সঙ্গে চেম্বারে কাজ করা শুরু করি। তিনি সবসময় কোর্টে ও চেম্বারেই ব্যস্ত থাকতেন। আইনজীবী হিসেবে তিনি কেমন তা দেশের সবাই জানেন। বাবা সবসময় আমাদের খেয়াল রাখতেন। আমি বিশ্বাস করি, রেখে যাওয়া কর্মে দেশ সবসময়ই উপকৃত হবে।

এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তার একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

উপদেষ্টার দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে বাসায় খাবার খেতে বসলে হঠাৎ তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওইদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ওইদিন ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৯ অপরাহ্ণ
জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৫ জন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার।

গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সাদ অনুসারী ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন মাওলানা জুবায়েরুল আহসানের অনুসারী এস এম আলম নামের এক ব্যক্তি।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মুয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের মূল ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ব্যতীত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজারো সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাজারো সাদ অনুসারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জোবায়েরপন্থী) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তিনজন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের একটি বাসা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোয়াজ বিন নূরের বাসা উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় তার মায়ের বাসা রয়েছে। তিনি ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ নম্বর আসামি।