খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

একের পর এক অপরাধের জন্য কলকাতার টিভি সিরিয়ালকে দায়ী করলেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৩৫ অপরাহ্ণ
একের পর এক অপরাধের জন্য কলকাতার টিভি সিরিয়ালকে দায়ী করলেন মমতা

পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণ ও হত্যা, প্রকাশ্যে গুলি চালানোসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার জন্য সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালগুলোকে দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচারিত বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবিবার (৬ অক্টোবর) কলকাতা পুলিশের আবাসিক পূজার উদ্বোধন করেন মমতা। সেসময় তিনি বলেন, ইউটিউবের প্রভাব পড়ছে শিশুদের মধ্যে। সেখান থেকে খারাপগুলো শিখছে।

পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশনে যত সিরিয়াল দেখবেন সেখানেও একাধিক অপরাধমূলক দৃশ্য দেখায়। যত সিনেমা রিলিজ হচ্ছে তাতেও ক্রাইম সিনে ভর্তি। আমি সিনেমাকে ছোট করছি না, বাংলা সিনেমা আরো বেশি করে বাড়ুক, এটা আমি চাই। কিন্তু টিভিতে সিরিয়ালগুলিতে ক্রাইমে ভর্তি থাকার কারণে আমিও দেখতে পারি না, টিভিটা বন্ধ করে দিই। এই ক্রাইম দেখে অনেকে সেই ক্রাইমগুলো অনুসরণ করে।

মমতার প্রশ্ন, কীসের জন্য এত ক্রাইম দেখানো হবে? সমাজকে কেন অবক্ষয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছেন! তাদের কি দায়বদ্ধতা নেই? শুধু পুলিশকে গাল দিলেই হবে? আমাকে গাল দিলেই হবে? আপনাদের নিজেদের দায়বদ্ধতা কোথায়?

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার করা হয়। এরপর গত ২ মাস ধরে একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যটিতে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগরের এক ৯ বছরের ছাত্রীর সঙ্গে ঠিক একই ধরনের জঘন্যতম ঘটনা ঘটে। ঠিক তার একদিন পর শনিবার(৫ অক্টোবর) পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত মানুষ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।

এইসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের এই মন্তব্য। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে দু-একটা ঘটনা কখনো ঘটে গেলে চিৎকার চেঁচামেচি, হাহাকার শুরু করে দিচ্ছে। মানুষের তা করা উচিত এবং তাদের সেই অধিকারও আছে। কিন্তু কেউ কি ইচ্ছা করে কখনো এসব ঘটায়?

এই সময় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারের বিষয় জনগণকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বারবার সবাইকে সতর্ক করছি। এখন এআই-এর যুগ। সেখানে আমার ছবি দেখবেন, আমার শরীর দেখবেন, আমার গলায় আমার বক্তব্য শুনবেন। কিন্তু ওটা ভুয়া, ওটা আসল নয়। এটাকেই বলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

ভুয়া ভিডিও রুখে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মানুষকে জোট বাধার আহ্বানও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা এই কাজটা রুখতে পারবেন। মমতার বার্তা ‘ক্রাইম ইজ ক্রাইম। অপরাধের মধ্যে কোনো ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, জাতি নেই। যে অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

যদিও মমতা এই বক্তব্য নিয়ে আরজিকর কাণ্ডে অভয়ার (ছদ্ম নাম) মা বলেছেন, কোনটা ঘটনা আর কোনটা দুর্ঘটনা তা রাজ্যবাসী বুঝতে পারছেন। পুলিশ যদি তথ্য প্রমাণ নষ্ট না করত; মেনে নিতাম আমার মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে তা দুর্ঘটনা। আসলে রাজ্যটাকে এখন আর মুখ্যমন্ত্রী চালান না। পুলিশ দিয়ে চালানো হচ্ছে। তাই বাংলায় এত অপরাধ বেড়েছে।

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টাার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২, এর দিকনির্দেশনায় গত ০৮ মে,সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন ১০নং শাহবন্দেগী ইউপির অন্তর্গত রাজবাড়ি মুকুন্দ গ্রামস্থ জনৈক মওলানা মোঃ আল-আমিন এর পুকুরের দক্ষিন পাশের্^ অবস্থিত মাছের খাবারের টিনের ঘরে ভিতর’’ একটি অভিযান পরিচালনা করে মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার সহ ০৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ  নাসিম উদ্দিন (২৮), পিতা- মোঃ আঃ সালাম, ২। মোঃ ফরিদ প্রামানিক (৩৫), পিতা- মৃত আলিমুদ্দিন প্রামানিক, উভয় সাং- রাজবাড়ি মুকুন্দ, ৩। মোঃ বুলবুল আহাম্মেদ (৪০), পিতা- মৃত রইস উদ্দিন, সাং- আড়ং শাইল, সর্ব থানা- শেরপুর, জেলা- বগুড়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামিগণ মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি নিজ হেফাজতে রেখে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন জতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতাকর্মীরা। তবে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলার মাঠ থেকে দায়িত্ব পালন করতে জার্সি পরেই যমুনার সামনে ছুটে আসেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

এরই মধ্যে জার্সি পরা এই কর্মকর্তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা দেখে প্রশংসা করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন।

ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ডিসি মাসুদ আলম সবুজ-হলুদ রঙের জার্সি ও লাল রঙের হাফ প্যান্ট পড়ে যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

ডিসির ছবিটি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, রমনা জোনের ডিসি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করলে বেচারা খেলার মাঠ থেকে সরাসরি ডিউটিতে!

এর আগে, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে যমুনার সামনে ডিউটিরত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

যমুনার সামনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও এপিবিনের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।