খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

অর্থনীতি চাঙা করতে মুক্ত বিনিয়োগ নীতি দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
অর্থনীতি চাঙা করতে মুক্ত বিনিয়োগ নীতি দাবি

দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে অবিলম্বে ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণা ছাড়া বর্তমান অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার বিকল্প নেই। এতে বিদেশে পাচার করা এবং দেশে লুকায়িত অর্থ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। তা অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

গত শনিবার সুপ্রিমকোর্টে ব্রিফিংয়ে দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি দেশের সমগ্র বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্দলীয় ফেডারেশন।

খসরুজ্জামান বলেন, দেশের অর্থবাজার থেকে লক্ষ-কোটি টাকা উধাও এবং অনুৎপাদন খাতে বিনিয়োগ হওয়ার কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করতে হবে। এছাড়া করদাতাদের ওপর চাপ না দিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার পথ বের করতে হবে।

এ লক্ষ্যে দেশের বিত্তশালী ব্যক্তি এবং করদাতাদের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য ও গৃহায়ণ সম্পর্কিত সব ধরনের ব্যবসাসহ আমদানি ও রপ্তানি খাতে চলতি অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগ তথা ব্যবসায়িক নতুন মূলধনের ওপর কর মওকুফ করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগকৃত মূলধন মেনে নিলে বিদেশে পাচারকৃত এবং এ দেশে লুকায়িত অর্থ ব্যবসার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ হবে।

এছাড়া বিনিয়োগকৃত অর্থ কর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিরা দারুণভাবে উৎসাহী হবেন। নতুন বিনিয়োগের ফলে দেশের উৎপাদন বাড়বে, ডলারের মূল্য হ্রাস পাবে, আমদানি ও রপ্তানি বাড়বে। নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমশ কমে আসবে এবং জনগণ হতাশামুক্ত হবে। ফলে সরকারের ওপর নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

তিনি আরও বলেন, কর আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান কর সংগ্রহের পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে এবং দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ‘কর অফিসার’ নিয়োগ করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করে আশু সংষ্কার করতে হবে। রাষ্ট্রকে অশিক্ষিত করে রাখার দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।