খুঁজুন
সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১৯ কার্তিক, ১৪৩১

‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল’

অন্তর্বর্তী সরকারকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, এটা তো শেখ হাসিনার আমল না। তার ভাতিজা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হন। তিনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওষুধ রাখার যে গোডাউন, সেটি অন্য কাজে ব্যবহার করতেন। সেখানে ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ ছিল না। তারা যেহেতু হরিলুটের সরকার, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে। কিন্তু এখন তো জনসমর্থিত সরকার। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। এতে জীবনহানী যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো, বিশেষ করে ঢাকার হাসপাতালে সিট সংখ্যা বাড়ানো উচিত ছিল।

তিনি বলেন, আমরা নানা সময় উপদেষ্টাদের নানা কথা শুনছি, নানা পদক্ষেপের বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচাতে যে আরও তৎপর হওয়া দরকার, সেটা খুব একটা পরিলক্ষিত হয়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

রিজভী বলেন, এরইমধ্যে ডেঙ্গুতে প্রায় ২ শতাধিক মানুষ মারা গেছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধযোগ্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, করোনা প্রথম দিকে প্রতিরোধ করা যায়নি। কারণ তার কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। কিন্তু ডেঙ্গু তো অনেক পুরোনো রোগ। এটা একটা নির্দ্রিষ্ট সময় হয়। বর্ষাকালে এটা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে।

এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপির ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়ালের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়। রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী প্রমুখ।

৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া না পেলে বিদ্যুৎ দেবে না আদানি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া না পেলে বিদ্যুৎ দেবে না আদানি

বকেয়া ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করা হলে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ার। বকেয়া না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি।

বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী- ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিন্তু গত শুক্রবার দিনের বেলা আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

এদিকে পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের মধ্যে আদানি গ্রুপই সবচেয়ে বড়। এরপর যথাক্রমে রয়েছে পায়রা (এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট), রামপাল (এক হাজার ২৩৪ মেগাওয়াট) এবং এসএস পাওয়ার (এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট)।

পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটের বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে ইতোমধ্যে অর্ধেক ক্যাপাসিটি নিয়ে চলছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অক্টোবরে চুক্তি অনুযায়ী আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাস গুলোতে ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দিয়েছে। যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে। আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে ১০ থেকে ১২ টাকায়। এরসঙ্গে ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা কেনার বিষয়টি জড়িত।

এদিকে আদানি গ্রুপ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কোম্পানিটির এক নির্বাহী কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আগে বলেছিলেন, তারা আশা করেছিলেন একটি সমাধান হবে। কিন্তু সময়মতো বিল না দেয়া এবং বিষয়টি পরিষ্কার না করায়, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে কঠোর অবস্থান নিতে হয়। কারণ তাদের যেসব বিনিয়োগকারী আছে তাদেরও অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

সীমান্তে শৈথিল্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
সীমান্তে শৈথিল্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদরদপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নজরদারি বজায় রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিজিবিকে তাদের আইন ও ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সে জন্য সাধারণ জনগণ বিজিবির কর্মকাণ্ডে খুশি।’

তিনি বিজিবিকে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান জানান।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল ও প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিজিবি সদস্যদের চেইন অফ কমান্ড মেনে কাজ করতে হবে, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বেআইনি আদেশ মানা যাবে না। আদেশের ক্ষেত্রে তা বৈধ ও আইনসঙ্গত কি না, তা বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট সহ ১৪ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট সহ ১৪ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ ১৪ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার।

রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসন-১ শাখার সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ের ১৪টি হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হলো।

নাম পরিবর্তন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল নামকরণ করা হয়েছে।

এছাড়া গোপালগঞ্জের শেখ লুত্ফর রহমান ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের নতুন নাম গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শেখ সায়েরা খাতুন ট্রমা সেন্টারকে গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।

শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু (দলদিয়া) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র থেকে দলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারি করা রাষ্ট্রপতির এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উলে্লখ করা হয়েছে।