খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আকাশছোঁয়া সবজির দাম, সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
আকাশছোঁয়া সবজির দাম, সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ

নরসিংদী জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাগামহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

আজ (২০ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে, নরসিংদীর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে বর্তমানে সবজির দাম আকাশছোঁয়া, কাঁচা মরিচের কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, দুনিয়া পাতা কেজি ৫০০-৫৫০ টাকা, টমেটো কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, সিমের কেজি ২৪০-২৫০ টাকা, গাজরের কেজি ১৯০-২০০ টাকা, করলার কেজি ১০০-১২০ টাকা, বেগুনের কেজি ১২০-১৪০ টাকা, লাউ এক পিচ ১০০-১২০ টাকা, কচুর লতি কেজি ১০০- ১২০ টাকা, জালি এক পিচ ৮০-৯০ টাকা, মুলার কেজি ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ১০০-১২০ টাকা, পটলের কেজি ৯০- ১০০ টাকা, শশার কেজি ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৭০-৮০ টাকা, কচুর ছড়ি কেজি ৮০-৯০ টাকা, বাঁধাকপি এক পিচ ৬০-৮০ টাকা, ফুলকপি এক পিচ ৮০-১০০ টাকা, আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০-৬০ টাকা, পুঁই শাকের আঁটি ৪০-৫০ টাকা, মিস্টি কুমড়া শাকের আঁটি ৪০-৫০ টাকা, লাউ শাকের আঁটি ৫০-৬০ টাকা, লেবুর হালি ৫০-৬০ টাকা।

অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগীর কেজি ১৯০-২০০ টাকা, সোনালী কক মুরগীর কেজি ৩০০-৩১০ টাকা, গরুর গোস্তের কেজি ৮০০-৮৫০ টাকা, খাসীর গোস্তের কেজি ১০৫০- ১১৫০ টাকা, চিংড়ি মাছের কেজি ১৩১০-১৪৫০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩০০-৩২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছের কেজি ১৮০-২০০ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৮৫-৯০ টাকা, ফার্মের ডিমের হালি ৫৮-৬০ টাকা।

অপর দিকে পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৯০-২১০ টাকা, চিনির কেজি ১৩০-১৪০ টাকা, মোসুরি ডালের কেজি ১২০-১৪০ টাকা, সয়াবিন তেলের কেজি ১৭৫-১৮০ টাকা, সরিষার তেলের কেজি ২৩০-২৪০ টাকা, দুধের লিটার ৯০-১০০ টাকা, হলুদ গুঁড়ার কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা, মরিচ গুঁড়ার কেজি ৪০০-৪২০ টাকা।

ক্রেতারা ও বিক্রেতারা জানান, সবকিছুর দাম ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের অবস্থা দিন দিন আরো শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন। উচ্চবিত্ত আর দুর্নীতিবাজরা এ দেশকে খেয়ে ফেলছে।

এ বিষয়ে নরসিংদীর ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণে প্রতিদিন জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার থেকে “টাস্ক ফোর্সের” একটি টিম বের হয়ে বাজার মনিটরিং করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ম অনুযায়ী বিক্রয় করা হচ্ছে কিনা, মূল্য তালিকা আছে কিনা, ক্রয় বিক্রয় রশিদ আছে কিনা। না থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে জরিমানাও করা হচ্ছে। আশা করা যায় শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। সাম্প্রতিক কালে বন্যা পরিস্থিতির উত্তরন হওয়ায় আশা করছি শীতের সবজি বাজারে আসলে মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সাপ্লাই চেইন তদারকির জন্য গঠিত “বিশেষ টাস্কফোর্স” প্রতিদিন নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানকালে সাপ্তাহিক কাচাবাজারে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, মাছ, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির মূল্য এবং ক্রয় বিক্রয় ভাউচার যাচাই করা হচ্ছে। মূল্য তালিকা প্রদর্শনা না করা এবং অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন,২০০৯ এ মামলা করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ মোঃ সজীব বলেন, আমাদের সাথে নিয়মিত ভোক্তা অধিকার, কৃষি বিপণন বিভাগ নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। বন্যার কারণে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ দাম বৃদ্ধি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মোঃ আব্দুল করিম বলেন, আমাদের ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করতেছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত মাঠে কাজ করছে অচিরে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এ বিষয়ে জানতে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইকবাল হাসান ফোন কেটে দেন।

এই অবস্থায় চললে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম এর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে! অন্তর্বর্তী কালীন সরকারের উচিৎ অতিদ্রুত বাজার মনিটরিং করে নিয়ন্ত্রণ করা। এমনটাই জানান, সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা। এই সব ভয়াবহ সেন্টিকেটের কবল থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে কবে, এমনটাই প্রশ্ন সাধারন মানুষের??

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার নয় মাসের মাথায় গত ১২ মে দলটি, এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।