খুঁজুন
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

বেলকুচির দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৫০ অপরাহ্ণ
বেলকুচির দৌলতপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে ভূমি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক মন্ডল। 

আল জাদিদ হোসেন বাধঁন নামের ওই ভুক্তভোগীর অভিযোগ সুত্র থেকে জানাযায়, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া এনায়েতপুর গোপালপুর মৌজার একটি জায়গার  নামজারি করার জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে যাই।

তিনি আমার কাছে ওই জায়গার নামজারির জন্য ১৬ হাজার টাকা দাবী করেন। যেখানে সরকারী ভাবে নামজারি ফি নির্ধারন করা হয়েছে এগারোশত টাকা। অতিরিক্ত টাকা দেব কেন এমন প্রশ্ন করলে রেজাউল করিম আমাকে বলেন এই টাকা না দিলে আমার জায়গার নামজারি হবে না। পরে আমি বাধ্য হয়েই তার কথায় রাজি হয়ে ভেঙে ভেঙে ১৬ হাজার টাকা দেই।

ঘুষের টাকা নেওয়ার দেড়বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আমার জায়গার নামজারি করে দেননি। এনিয়ে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে মারধর করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রতীক মন্ডল বরাবর ঘুষ নিয়ে নামজারি না করে দেওয়ায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। 

অভিযোগ দায়েরের প্রায় এক মাস হলেও উপ-সহকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি।

দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী আল আমিন এই প্রতিবেদককে জানান ‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই রেজাউল করিম রেজাকে ঘুস দিতে হয়। ২০২২ সালে পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ২৪ শতক জায়গার বাবত (৩৭৫০০) সাইত্রিশ হাজার পাচ শত টাকা নিয়ে ১০ টাকার রশিদ কেটে দিলো, বাকি টাকার রশিদ চাইলে তিনি বলেন ওটা দেওয়া হয় না। এখন ২০২৪ সালে ঔ জায়গার খাজনা দিতে গেলে ভুমি উপ-সহকারী রেজাউল বলেন ওই জায়গা আপনার নেই।

পরে জানতে পারি ২৪শতক জায়গা আমার চাচাতো ভাইদের নামে নায়েব রেজাউল নামজারী করে দিয়েছে।  এমন কি দেখা যায় আট বছর আগে মৃত ব্যক্তি নামেও নামজারি করে দিয়ছেন।

এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রতীক মন্ডল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে আমার অভিযোগ পত্রটি তিনি গ্রহন না করে আমাকে বলেন আপনি নামজারির উপর মিস কেস করেন। তিনি তখন রেজাউলকে বলে ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন।

এসময় আল-আমীন আরও বলেন এই ভাবে ঘুষ নিয়ে কত জনের সর্বনাশ করেছে রেজাউল তার কোন হিসেব নেই। আমি সরকারের কাছে নায়েব রেজাউল এর সুষ্ঠ বিচার দাবী জানাচ্ছি। 

তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার কাছে ঘুষ দূর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথা বলে দাবী করেন।

বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) প্রতিক মন্ডলের জানান, আমরা তেয়াশিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত  অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সাংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির চালা মৌজার হাজী কোরবান আলী শেখের জমি প্রতিবেশী হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টায় বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাজী কোরবান আলী শেখ।

এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার হাজী আব্দুস সবুর তালুকদার  সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।‌ হাজী সবুর তালুকদার ওই জমির জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছেন। এরই জের ধরে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হঠাৎ করে অনুমানিক ৯ টার সময় হাজী সবুর তালুকদার লোকজন নিয়ে উক্ত জায়গায় অন্যায়, অবৈধভাবে ও জোরপূর্বকভাবে ইট বালি সিমেন্ট দ্বারা আমার জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উক্ত কাজে আমি বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। আমি এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে হাজী সবুর বলেন, এই জায়গা আমি ক্রয় করেছি। জমির মালিক ছিলো অনেকে তাই জমি নিয়ে এতো জটিলতা। তবে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা সত্য না।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মামুনর রশিদ, রোরহান আলী শেখ, আব্দুল করিম মিয়াসহ ভুক্তভোগী কোরবান আলী শেখের পরিবারের সদস্যরা।

ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহে শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়।

একজন বাসযাত্রী বলেন, ঝিনাইদহ বাসটার্মিনাল থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলাম, চলন্ত অবস্থায় বাসের মধ্যে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাসটি থামালে বাসের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে নেমে পড়েন। এর একটু পরেই পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, খুলনা থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রূপসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া যাচ্ছিল। পথে শৈলকুপার মোহাম্মদপুরে পৌঁছালে ব্যাটারির শর্টসার্কিট থেকে ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়।

সে সময় যাত্রীরা দ্রুতই বাস থেকে নেমে পড়েন। পরে আগুন সম্পূর্ণ বাসে ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে সক্ষম হয়।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
শহীদ পরিবারের সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।

এসময় তারা ‘আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনী হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনার ফাঁসি দে’ সহ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ছয় মাস পার হয়ে গেছে অথচ বিচারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা কি আমাদের ভাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি নয়?

একজন শহীদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাকে হত্যার মাধ্যমে মূলত আমাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করেছে তারা। কারণ পরিবার যে চালায় সে না থাকলে পরিবারের আর কিছু থাকে না। এখনো কেন আসামি ধরা হচ্ছে না? এখনো কেন বিচার করা হচ্ছে না? কেন আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে? আমরা সরকারের কাছে এগুলোর জবাব চাই।