খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে মৃত্যু ৩২, হাসপাতালে ৭২৪১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে মৃত্যু ৩২, হাসপাতালে ৭২৪১

দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ৩২ জনের মৃত্যু এবং সাত হাজার ২৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯ অক্টোবর ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১২১ জন হাসপাতালে, ২০ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৯৮ জন হাসপাতালে, ২১ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৩৯ জন হাসপাতালে, ২২ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৩৯ জন হাসপাতালে, ২৩ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৩৮ জন হাসপাতালে, ২৪ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৯ জন হাসপাতালে এবং ২৫ অক্টোবর একজনের মৃত্যু এবং ৪৭৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭০২ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৪৭ জন। মারা গেছেন ২৬৯ জন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:১২ অপরাহ্ণ
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।

রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর শিরোনামে প্রশ্ন হিসেবে শফিকুল আলম লিখেছেন, বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি একটি বড় বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দল মন্তব্য করেছে যে, এ ধরনের করিডোর স্থাপনের বিষয়ে দেশের মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। আসলে কী ঘটছে, দয়া করে বলবেন?

এর উত্তরে তিনি লিখেছেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারবো না।

তিনি লেখেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

শফিকুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

‘তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে বলেও যোগ করেন প্রেস সচিব।

দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
দেশ ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: আমীরে জামায়াত

0-0x0-0-0#

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কেউ যদি দেশকে ভালোবাসে, দেশের জনগণকে ভালোবাসে, তাহলে সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাওলানা আবদুস সুবহান (রহ.) তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দলের সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, তিনি আমেরিকায় ছিলেন। তার কিছু বন্ধু তাকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে গেলে কী হবে? তার বন্ধুরা বলেছিলেন, আপনারও একই অবস্থা হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মীর কাসেম আলী দেশকে ভালোবাসতেন। দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। আর দেশকে ভালোবাসতেন বলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাওলানা সুবহানরা কখনো হারিয়ে যান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার যারা সহকর্মী রাজনৈতিক মাঠে আছেন, তাদের বলব তাদের (সুবহানদের) কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের মাওলানা আবদুস সুবহানের মতো উদারতা ও সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।

জামায়াত আমিরের সঙ্গে প্যাট্রিক শ্রোয়েডার সাক্ষাৎ: জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে চ্যাথাম হাউস, যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ফেলো প্যাট্রিক শ্রোয়েডার এবং তার স্থানীয় গবেষণা সহযোগী মামুনুর রহমান এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বৈঠকে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, বাংলাদেশে বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, বৃত্তাকার অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতে ইউকের সঙ্গে ব্যবসা বজায় রাখার জন্য দলের অবস্থানসহ নানা বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের ও সাসেক্স এলুমনাইয়ের আলী আহমেদ তাহকিক।

মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
মিশন হেক্সা, আনচেলত্তির সঙ্গে ব্রাজিলের চুক্তি চূড়ান্ত, ঘোষণা শিগগিরই

বিশ্ব ফুটবলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

ইতালিয়ান এই কোচ ইতোমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–এর সঙ্গে একটি মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও ঘোষণা বাকি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবরে বলা হয়েছে, আনচেলত্তির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই, অর্থাৎ মে মাসের শেষ দিকে, তিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন। এতে করে তিনি ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়ালের ডাগআউটে থাকবেন না—এমন সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। বিদায়ের আগে ক্লাব ও কোচের মধ্যে একটি সম্মানজনক সমঝোতা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

লক্ষ্য একটাই—ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ
আনচেলত্তির সামনে এবার আরেকটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব— ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বাস্তব করা। এই চ্যালেঞ্জকে ক্যারিয়ারের শেষ ও সবচেয়ে গর্বের প্রকল্প হিসেবে দেখছেন তিনি। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ ক্লাবগুলোর সাফল্যগাঁথা এবার তিনি নিয়ে যেতে চান আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে।

পরিচিত মুখের সঙ্গে নতুন দল
ব্রাজিলের বর্তমান দলে রয়েছেন ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, মিলিতাও এবং উঠতি প্রতিভা এন্দ্রিকের মতো রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়েরা—যারা আনচেলত্তির অধীনে নিয়মিত খেলছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে লা লিগার আরও ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন রাফিনহা, যাদের সঙ্গে আনচেলত্তির পরিচয় ও বোঝাপড়া ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

সম্মান ও কৌশলের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সমঝোতা
সিবিএফ-এর বিশেষ দূত দিয়েগো ফার্নান্দেস-এর নেতৃত্বে আনচেলত্তির সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে, সাবধানতা ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে দুপক্ষ একমত হয়েছে।

ফার্নান্দেস গত কয়েক মাসে ইউরোপে একাধিকবার আনচেলত্তির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন। ১৬ এপ্রিল রিয়াল-আর্সেনালের ম্যাচেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সম্মানজনক বিদায়ের প্রস্তুতি রিয়ালেও
রিয়াল মাদ্রিদও ধীরে ধীরে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আনচেলত্তির অবদান স্বীকার করে, তাকে ভবিষ্যতে ক্লাবের উচ্চপর্যায়ের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। সব পক্ষই চাইছে—এই অধ্যায় শেষ হোক সম্মান আর সৌহার্দ্যের আবহে।