খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

খুবিতে “নিসচার” উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুবি প্রতিনিধি, মোস্তফা কামাল
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
খুবিতে “নিসচার” উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক নিয়ামত আলী মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর উদ্যোগে এবং বিতর্ক সংগঠন নৈয়ায়িকের সহযোগিতায় সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক “সুধী সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।

৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং নিসচার প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে, ৫ আগস্ট পরবর্তী ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, “বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্যতম বাধা। এখন আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে নিরাপদ সড়কের জন্য সচেষ্ট হতে হবে।” এছাড়া তিনি সপ্তাহে একদিন ট্রাফিক বিভাগের মনিটরিং দাবি করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, “নিসচা একটি সেবামূলক সংগঠন, যেখানে সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে। আমরা গত ৩২ বছর ধরে সড়ক নিরাপত্তায় কাজ করছি, কিন্তু সরকারগুলোর উদাসীনতা সড়ক নিরাপত্তায় আমাদের প্রচেষ্টাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। সকলের সচেতনতা আমাদের সমাজকে নিরাপদ করতে পারে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “নতুন প্রজন্মকে দেশের সকল কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তাদের হাত ধরেই আমাদের দেশ আরো নিরাপদ এবং শৃঙ্খল হবে।” তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনকে এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিতে একটি ‘নিসচা কমিশন’ বা ইনস্টিটিউট গঠনের পরামর্শ দেন।

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, নিহত ২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:১০ অপরাহ্ণ
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা, নিহত ২৩

ইয়েমেনের হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রোববার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পরই ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, লোহিত সাগরের জাহাজগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটলে ‘নরক নেমে আসবে’।

মার্কিন হামলার পর ইয়েমেনে প্রাণহানির সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৯ বলে জানানো হয়েছিলো। তবে হুতিদের সহযোগী আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, ইয়েমেনের সাদায় মার্কিন হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার শিশু এবং একজন নারী রয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া দেশটির রাজধানী সানায় আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন। সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৩ সাংবাদিকসহ নিহত অন্তত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ অপরাহ্ণ
ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গাজায় ৩ সাংবাদিকসহ নিহত অন্তত ১২

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন সহায়তা কর্মী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই গাজায় হামলা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি এসব হামলা আরও জোরদার হয়েছে। এসব হামলায় ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। রোববার (১৬ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার উত্তর বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই সাহায্য কর্মী। এছাড়া জুহোর আদ-ডিকের কেন্দ্রীয় শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে বেইত লাহিয়ায় আরও এক ফিলিস্তিনি বালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

একই হামলায় আরেক মহিলার পিঠে গুলি লেগেছে, অন্যদিকে রাফাহ শহরের পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় আরেকজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। রাফাহর উত্তর-পশ্চিমে আল-শাকুশ এলাকায় আল-কান পরিবারের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার থেকে ড্রোন বোমা নিক্ষেপের পর আরও আটজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবারের হামলাটি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রীদের সাথে থাকা একটি ত্রাণ দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন।

দ্য প্যালেস্টানিয়ান জার্নালিস্ট প্রোটেকশান সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “নিহত ওই সাংবাদিকরা ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টার কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করছিলেন”।

একইসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে গাজা যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মূলত ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। এই পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য আলোচনা করা।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ১৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ অপরাহ্ণ
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ১৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি গাজায় কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। তবে তাতেও থেমে নেই দখলদার বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসন। উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এদের মধ্যে ৪০ জনই নিহত হন গত দু সপ্তাহে।

গাজার মিডিয়া অফিস শনিবার (১৬ মার্চ) বিষয়টির ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে স্থলভাগে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে দখলদারদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কাঠ সংগ্রহকারী বা বাড়িঘর দেখাশোনাকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর এই বিবৃতি দিল মিডিয়া অফিস। সেখানে সাংবাদিক এবং মানবিক সহায়তা কর্মীসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এই হামলাকে ‘জঘন্য গণহত্যা’ হিসেবে নিন্দা জানিয়ে মিডিয়া অফিস ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছে। অবশ্য, ইসরাইলি নেতৃত্বের নির্দেশে সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে।

মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)- কে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মাধ্যমে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।

মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, এসব হামলা ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের একটি ধারাবাহিক অংশ।

ছয় সপ্তাহ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ মার্চের ১ তারিখে শেষ হয়। তবে ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত করেছেন এবং চুক্তির অধীনে সামরিক এবং মানবিক প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে প্রাথমিক বিনিময় সময়কাল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

হামাস যুদ্ধবিরতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের ইসরাইলের সম্মতি কার্যকর করতে এবং আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।