খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ধরে রাখতে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ণ
‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা ধরে রাখতে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক বলেছেন, শহিদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমদের আত্মত্যাগে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে। এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হলে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।

তিনি বলেছেন, বিএনপি দিনের ভোট রাতে চায় না, বিএনপি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন চায় না। বিএনপি ও তারেক রহমান চায়, আমার ভোট আমি দেবো।

শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য ও ঝিনাইদহ-২ আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা শহরের শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে তিনটায় স্মরণ সভা শুরু হয়।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোমিনুর রহমান, মসিউর রহমানের সহধর্মীনী মাহবুবা রহমান শিখা, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মো. ইব্রাহীম রহমান বাবু প্রমুখ।

স্মরণ সভায় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে শেখ হাসিনা আয়নাঘর বানিয়েছিল। যেই ব্যক্তিটি বলত, শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু আজ গণআন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ১৯৭১ এ শেখ মুজিব যেভাবে ইয়াহিয়ার সাথে আঁতাত করে দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে নিয়েছিল, সেই ভাবে শেখ হাসিনা ডলার ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে আওয়ামীলীগ লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল দাবি করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা জনগণের ভোটের ওপর বিশ্বাস করেনা। তারা দেশের কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছে। ব্যাংক লুট করেছে। শেখ পরিবারের সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে চুরি করে কানাডায় বেগমপাড়া বানিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার প্রেতাত্মারা ধ্বংস করে দিয়েছে।

অন্তর্বর্তকালীন সরকারকে সহযোগিতার জন্য সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজপথের সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমানের আজ বড্ড প্রয়োজন ছিল। দেশ গড়ার কাজে, নতুন স্বাধীনতা পরবর্তি দেশের উন্নয়নে মসিউর রহমানের মতো দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। আমরা আজ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন,বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র থেমে নেই। পলাতক আওয়ামী লীগের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ড. ইউনূসের এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী বিএনপি সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকার একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেবে। সেই নির্বাচনে জননেতা তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, ইনশাআল্লাহ।

স্মরণসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির দুর্দিনের কাণ্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিগত ১৬ বছর হামলা-মামলা মাথায় নিয়ে আপনারা রাজপথে ছিলেন। আমার ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছে। আমাকে প্রায় ৮ বছর কারাগারে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার। তাই,আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ গঠন করতে হলে সকল আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাজপথে থাকতে হবে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।