খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

বিচারকাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই: টবি ক্যাডম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
বিচারকাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই: টবি ক্যাডম্যান

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, আসন্ন বিচারপ্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং অতীতের দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ গ্রহণের সময় ও সুযোগ নেই। এখানে প্রসিকিউটোরিয়াল যেসব সিদ্ধান্ত হবে, সেগুলো অবশ্যই প্রতিহিংসা বা রাজনৈতিক সুবিধার ভিত্তিতে নয়, পুরোপুরি তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে হবে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনবিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘অপরাধের সংজ্ঞা যথাযথভাবে নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ট্রাইব্যুনাল যে আইন ও বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়—উভয় ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ আনা দরকার। কী কী পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, সে বিষয়ে বলিষ্ঠ পরামর্শ দিতে তিনি পিছপা হবেন না।

গত সোমবার নিয়োগ পেয়েছেন টবি ক্যাডম্যান। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩–এর সংশোধনীর খসড়া দেখার ও পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন রাজনীতিবিদ এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৮ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিক্ষোভকারী ও অন্যদের নিহত হওয়ার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

জুলাই–আগস্টের ওই তিন সপ্তাহে সহিংসতায় ১ হাজার ৫০০ জনের মতো নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইনবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, (ট্রাইব্যুনালের) প্রসিকিউশন টিমকে সহায়তা করতে ক্যাডম্যানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে প্রসিকিউশনকে শক্তিশালী করতে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষেরও বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২০১১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত বিচারকাজের কঠোর সমালোচনা করে ক্যাডম্যান বাংলাদেশে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাকে বাংলাদেশে এসে আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ওই বিচারে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের বিচার ও সাজার সম্মুখীন করা হয়।

কথা বলার সময় টবি ক্যাডম্যান অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘(ট্রাইব্যুনালের) বিচারকাজে এখন সবকিছু থাকবে, যা আগে ছিল না। বিবাদীদের অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার সব ধরনের নিশ্চয়তা দিতে হবে, ইতিপূর্বে বিবাদীরা যা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিচার অবশ্যই ন্যায়বিচারের স্বার্থে হতে হবে, প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য নয়।’

ক্যাডম্যান উল্লেখ করেন, ‘যদিও এটা (বিচারকাজ) যথাযথভাবে ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া করা অনেক কঠিন, অধিকতর সময়সাপেক্ষ ও আরও বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে; কিন্তু এই বিচার করার এটাই একমাত্র পথ। বিচার হতে হবে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে এবং অবশ্যই স্বীকৃত পন্থার অধীনে।’

ক্যাডম্যান বলেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে এই কাজটা যথাযথভাবে হওয়া এবং প্রসিকিউটররা তাদের কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখবেন। এটা আমার অঙ্গীকার। এতে (বিচারকাজ প্রভাবিত করা) আমার কোনো স্বার্থ নেই এবং ব্যক্তিগত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যে রাজনৈতিক দল বা অন্য যেকোনো স্বার্থসংশ্লিষ্টই হোন না কেন, তিনি যেন যথাযথ ও সুষ্ঠু বিচার পান, আমি সেটি নিশ্চিত করব।’

গত সেপ্টেম্বরে এ ব্রিটিশ আইনজীবী বাংলাদেশ সফর করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, আইন উপদেষ্টা ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সঙ্গে আলাপে ‘বিচার বিভাগ সংস্কার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন’ বলে জানান ক্যাডম্যান।

টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রবল আকাঙ্ক্ষা আমাকে প্রভাবিত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং তা ঠিকভাবে করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষাও প্রভাবিত করেছে আমাকে।’

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।