খুঁজুন
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ, ১৪৩১

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:২৩ অপরাহ্ণ
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি ধারণা নয় সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এ আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বলেছেন ২০২৫ সালের শেষে কিংবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে এই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর জনগণের চাওয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। তাই অতিদ্রুত সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে হবে।

জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কাছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন তা যথার্থ। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবেন বা নির্বাচনে যারা অংশীজন তারা যদি নির্বাচন চায় তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবেন এমন বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই বাইরে কারও অন্যকোনো স্বার্থ থাকতে পারে না। সেইসঙ্গে তার দাবি, সংস্কার এমন একটা বিষয় যা যুগ যুগ ধরে চলে ও চলবে, যা নতুন কিছু না। সংস্কার এটা কোনো প্যাকেট না যে এনে ছেড়ে দিলাম আর হয়ে যাবে। আমরা আশা করি এই সরকার দ্রুত জনগণের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে।

দীর্ঘদিন আপনারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন বিজয় দিবসে আপনাদের প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে সাভারে স্মৃতিসৌধে গিয়েছি এই মাজারে এসেছি বহুবার কিন্তু জনগণের এমন ঢল আর দেখি নাই। এর একটা মাত্র কারণ জনগণের বাঁধভাঙা উল্লাস। এই দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এই দেশের মানুষ চায় এক স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে অন্য কোনো স্বৈরাচারের হাতে না পড়তে। এদেশের মানুষ চায় ভোটের অধিকার, আমরা শুনেছি দেখেছি নির্বাচনের কথা বললে অনেকের মুখ বাঁকা হয়ে যায়।

নির্বাচন সুনির্দিষ্ট করার দাবি জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান তার বক্তব্য পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন নির্বাচনের জন্য আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হবে জানিয়ে দিন। আমরা অপেক্ষা করতে রাজি। কিন্তু সংস্কারের নামে যুগ যুগ ধরে এইভাবে চলতে পারে না। আজকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস। মানুষ আজকে বাঁচার আশ্রয় খুঁজছে। মানুষ কথা বলছে ঠিকই কিন্তু তাদের অভাবের তাড়না এখনো রয়ে গেছে।

মির্জা আব্বাসের দাবি, দেশে যতদিন পর্যন্ত নির্বাচিত সরকার আসবে না ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। তাই আমরা চাই এই সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা করুক।

উপদেষ্টাদের রাজনীতিবিদদের সম্মান দিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, একজন উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বলেছেন ৫৩ বছর রাজনৈতিক নেতারা কী করেছেন। আমি তাকে বলতে চায়-আপনি রাজনীতি করেন না। রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে দয়া করে সম্মান দিয়ে কথা বলুন। একজন রাজনীতিবিদ একদিনে তৈরি হয়নি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিনে তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যা বলেন তা একটু বোঝার চেষ্টা করেন। আপনারা এই কথা ভাববেন না আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছি। ক্ষমতা যাওয়ার কথা আমরা কখনো বলি না আজও বলি না কখনো বলবো না। আমরা শুধু চাই জনগণের ভোটের অধিকার।

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা হতে নেতাকর্মীরা সমাধির আশপাশের রাস্তায় অবস্থান করার কারণে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কেন্দ্রীয়সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমুদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
আগে একদল সড়কে দুর্নীতি করত এখন করছে অন্যদল: উপদেষ্টা নাহিদ

সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্নীতির সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সড়কের নৈরাজ্যের সাথে একটা পলিটিক্যাল প্রভাব জড়িত। সড়ক ও পরিবহণ খাতে আগে একদল দুর্নীতি করত এখন অন্যদল করছে। এটা খুব সহজে সমাধান হবে না। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু রাজনৈতিক কর্মী ও নেতারা জড়িত তাই সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দিনব্যাপী এ সংলাপে সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও পরিবহণ সেক্টরের অংশীদারজনও উপস্থিত ছিলেন।

এ-সময় নাহিদ বলেন, বুয়েটের একজন মারা গেল। একটা ধারণা যে সমাজের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিচার হয় না, জবাবদিহিতা হয় না। এখানে সাধারণ মানুষদের জীবনটাই আসলে যায়। এই চিত্র আমাদের সমাজে আছে। এটার পরিবর্তন দরকার। সবাইক বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখানে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। উন্নয়ন নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে মানুষ মারা গেলে সেটাকে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কারণ এটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে হচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে রাস্তায় মানুষ বের হলে মানুষ মারা যেতে পারে৷ এখানে ব্যবস্থাপনাতেই সমস্যা রয়েছে। যে ধরনের প্রতিষ্ঠান সড়কের নিরাপত্তা দিতে পারে সেটাই তৈরি হয়নি।

পরিবহণ সেক্টরের দুর্নীতি চলমান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের দল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল আবার এখন আরেক দল রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কর্মীরাই এগুলোত জড়িত।

জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহণ সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আরমানা সাবিহা হকসহ অন্যান্যরা।

অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
অবৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে দিল্লির সব স্কুলে নির্দেশনা জারি

কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের আঁচ এবার শিক্ষার্থীদের ওপরও লাগছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষার্থীদের শনাক্তে ভারতের রাজধানী দিল্লির সব স্কুলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় যথাযথভাবে শনাক্তও যাচাইয়ের বিষয়টিও আছে নির্দেশনাতে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের (এমসিডি) জারি করা ওই নির্দেশনাটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের প্রধান সচিবের (গৃহ বিভাগ) সভাপতিত্বে গত ১২ ডিসেম্বর এমসিডি একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করে। এতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে স্কুলে তাদের শনাক্তকরণ ও তাদের জন্ম সনদ না দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এছাড়া কোনও অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জন্ম সনদ না দেওয়ার ব্যাপারে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমসিডি তাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং সঠিক পরিচয় ও যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনারও নির্দেশ দিয়েছে।

এমনকি যেসব জায়গায় এই অভিবাসীরা অন্যের জমি বা জায়গা দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। কারণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্য তাদের নিজস্ব রেকর্ড রাখে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে অল ইন্ডিয়া সার্ভে ফর হায়ার এডুকেশনের ২০২১-২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন।

শিক্ষার্থীদের আগে নয়া দিল্লিতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরতেও পুলিশ অভিযানে নেমেছিল।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর কয়েকদিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই ঢাকা ও নয়া দিল্লির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

এরপর তা আরও নাজুক হয়ে পড়ে গত নভেম্বরে হিন্দু ধর্মীয় নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার পর। তার প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় এক বিক্ষোভ থেকে বাংলাদেশ মিশনে হামলা হয়। অন্যদিকে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ বাংলাদেশেও চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন।