খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

তথ্য গোপন করায় ইউনূস সরকারের চাপের মুখে আদানি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ণ
তথ্য গোপন করায় ইউনূস সরকারের চাপের মুখে আদানি

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রয়টার্সের হাতে আসা নথি অনুযায়ী, ওই চুক্তির আওতায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত সরকারের থেকে কর সুবিধা পেলেও চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে সেই সুবিধা দেয়নি আদানি। বরং গোপন করে গেছে সেই সুবিধা পাওয়ার তথ্যও।

পূর্ব ভারতের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০১৭ সালে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানিটি বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই করে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের নথি এবং দুই পক্ষের মধ্যে চালাচালি হওয়া চিঠিপত্র অনুযায়ী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই এ চুক্তি অনুমোদন করেছিলেন।

চুক্তিটিও বাংলাদেশের অন্যান্য কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল। তাই এ বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে ফের দরকষাকষি করতে চায় ঢাকা।

২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও আদানি পাওয়ারের বিল পুরোটা পরিশোধ করেনি বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে সরবরাহ করা বিদ্যুতের বিল বাবদ বাংলাদেশের কাছে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে আদানির। তবে পাওনার সঠিক অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ রয়েছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে বলেন, আদানি ছাড়াই স্থানীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোই দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সক্ষম। সব বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু না থাকলেও স্থানীয় উৎপাদনই পর্যাপ্ত।

রয়টার্স জানায়, আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল বিদ্যুৎ চুক্তির সঙ্গে ছিল আরেকটি বাড়তি বাস্তবায়ন চুক্তি। সেই চুক্তিতে কর সুবিধা হস্তান্তর বা ভাগাভাগির শর্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বাংলাদেশ এখন ২৫ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎ চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রসিকিউটররা আদানির বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে যে মামলা করেছেন, তা কাজে লাগিয়ে কোম্পানিটিকে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে চাপ দিতে পারবে বলে আশা করছে ঢাকা।

যদিও বাংলাদেশে আদানি পাওয়ারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়নি। তবে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে আদানির এক মুখপাত্র বলেন, কোম্পানিটি সব চুক্তিগত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। ঢাকা চুক্তি পর্যালোচনা করছে এমন কোনো ইঙ্গিত তারা পাননি। কর সুবিধা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোম্পানিটি সেসবের উত্তর দেয়নি।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা নিয়ে আদানি বলছে, প্রকল্পটি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হয়েছে। ২০১৯ সালে দিল্লি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা দেয়। এর ফলে কেন্দ্রটি আয়কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য কর সুবিধা পায়।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর আদানি পাওয়ার ও রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তি এবং বাস্তবায়ন চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর-সংক্রান্ত সুবিধার পরিবর্তন দ্রুত বাংলাদেশকে জানানোর এবং সেই সুবিধা বাংলাদেশকেও দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল আদানি পাওয়ারের।

কিন্তু এ সুবিধার কথা জানানো কিংবা সুবিধা ভাগাভাগি— কোনোটিই করেনি আদানি পাওয়ার। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এবং ২২ অক্টোবর বিপিডিবির পাঠানো চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। চিঠিগুলোর কপি রয়টার্সের হাতে রয়েছে। ওই চিঠিগুলোতে বাংলাদেশকে এসব সুবিধা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম না প্রকাশের শর্তে বিপিডিবির দুজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তারা আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি। ওই কর্মকর্তারা জানান, বিপিডিবির হিসাব অনুযায়ী, কর সুবিধা হস্তান্তর করা হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে বাংলাদেশের প্রায় ০.৩৫ সেন্ট ব্যয় সাশ্রয় হতো।

রয়টার্সের দেখা বাংলাদেশ সরকারের একটি নথির তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। এই হিসাবে বাংলাদেশের মোট সাশ্রয় হতে পারত প্রায় ২৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, ভবিষ্যতে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে আলোচনার সময় ব্যয় সাশ্রয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হবে।

এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আদানির কোম্পানির সঙ্গে নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দেশের বিদ্যুৎ গ্রিড সংস্কারের আকর্ষণীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

এর কয়েকদিন পর ইউরোপের বৃহৎ জ্বালানি কোম্পানি টোটালএনার্জিস ঘোষণা দেয়, তারা আর আদানির প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে না। এখন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা—যেখানে ভারত ও চীন প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা লিপ্ত—আদানির সঙ্গে তাদের বিভিন্ন চুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে। কিছুদিন আগে নিউইউর্ক টাইমসও এমন খবর জানায়।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার নয় মাসের মাথায় গত ১২ মে দলটি, এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।