খুঁজুন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ, ১৪৩১

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর ও স্ত্রী-মেয়ের নামে দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২১ অপরাহ্ণ
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর ও স্ত্রী-মেয়ের নামে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এসকে সুর), তার স্ত্রী এবং মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলের আলোচিত ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সব ধরনের ব্যাংক হিসাব গত আগস্টে তলব করে দুদক। একইসঙ্গে তার স্ত্রী সুপর্ণা রায় চৌধুরী ও মেয়ে নন্দীতা সুর চৌধুরীর হিসাবের তথ্য চেয়ে তা ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা পাঠাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

ব্যাংকগুলোকে দেওয়া এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সুপর্ণা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এস কে সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা রায় চৌধুরী ও মেয়ে নন্দীতা সুর চৌধুরীর নামে আপনাদের ব্যাংকের কোনো শাখায় কোনো ধরনের ব্যাংক হিসাব, ঋণ হিসাব, এফডিআর বা সঞ্চয়পত্র থাকলে তা জানাতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে হিসাব খোলার ফরম, দাখিলের রেকর্ডপত্র, কেওয়াইসি, নমিনি, টিপি, সিগনেচার কার্ড ও হিসাব বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পাঠাতে বলা হয়।

এস কে সুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগও রয়েছে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির সময় ডেপুটি গভর্নর ছিলেন এস কে সুর চৌধুরী।

গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, তিনজনের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩৪ অপরাহ্ণ
গাজীপুরে কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, তিনজনের লাশ উদ্ধার

Made with OpenAI Labs

গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনের ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি লালমনিরহাটের বাবলু মিয়ার ছেলে মজলুম মিয়া। এর আগে রবিবার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, রবিবার রাত পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটো লাশ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই লাশ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামে ওই কারখানায় আগুন লাগে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপ; নিয়ে আসতে থাকে। পরপর বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন য়িন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩১ অপরাহ্ণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হাসান আরিফ

19 ??????? 2019 ???? ???????????? ? ???? ??????????? ???????? ??????? ??????????????????? (?????, ?????? ???????? «?????????????», ????????????????????? ???????? ????????????? «???????») ???? ??????? ?????????? ? ???? ?????????????? ????-???????????? ???? ? ???????? ?????????? ?????????.

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয়। এসময় তার ছেলে মুয়াজ আরিফ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও হাসান আরিফের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, আমরা এক ভাই, এক বোন, ছোট থেকেই কোর্টের একটা আবহে বড় হয়েছি। বাবার কাছে আমাদের কোনো প্রয়োজন থাকলে কেবল শনিবার বলতে পারতাম। বাবাকে কাছে পেতে শুরু করেছি যখন আমি তার সঙ্গে চেম্বারে কাজ করা শুরু করি। তিনি সবসময় কোর্টে ও চেম্বারেই ব্যস্ত থাকতেন। আইনজীবী হিসেবে তিনি কেমন তা দেশের সবাই জানেন। বাবা সবসময় আমাদের খেয়াল রাখতেন। আমি বিশ্বাস করি, রেখে যাওয়া কর্মে দেশ সবসময়ই উপকৃত হবে।

এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তার একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

উপদেষ্টার দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুরে বাসায় খাবার খেতে বসলে হঠাৎ তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওইদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ওইদিন ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:২৯ অপরাহ্ণ
জামিন চাইলেন সাদপন্থীদের প্রধান মুরব্বিসহ ২৫ জন

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৫ জন হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।

এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহীন হাওলাদার।

গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সাদ অনুসারী ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন মাওলানা জুবায়েরুল আহসানের অনুসারী এস এম আলম নামের এক ব্যক্তি।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মুয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের মূল ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ব্যতীত ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজারো সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাজারো সাদ অনুসারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জোবায়েরপন্থী) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় তিনজন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকার খিলক্ষেতের একটি বাসা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোয়াজ বিন নূরের বাসা উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে। ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় তার মায়ের বাসা রয়েছে। তিনি ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ নম্বর আসামি।