খুঁজুন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের মারধর

হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক রোগীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কারণ সামান্য হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় কারো মৃত্যু হয়- এটা প্রথম দেখলাম।

পরিবারের সদস্য হুমায়ুন আহমেদ জানান, ‘গতকাল রাত ১০টায় হাতের ইনজুরি নিয়ে ওই রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন রাত ৪ টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মৃত্যুর খবর দেয়। এরপর তারা বিস্তারিত জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

নিহতের পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সমঝোতার প্রস্তাব দেয় এবং ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে মৃতের স্বজনরা প্রকৃত তথ্য জানতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে তাদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এমনকি দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সময়ে ভেতরে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আলোচনা চালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর যখন মৃতদেহ এম্বুলেন্সে ওঠানো হচ্ছিল, তখন সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

হামলায় আহত গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ওই ঘটনায় ১০-১২ জন ব্যক্তি সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও মাইক্রফোন ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন-দৈনিক নিরপেক্ষ’র অনলাইন প্রতিবেদক মিছবাহ উদ্দিন, দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি রেজাউল করিম সোহাগ, মাহবুব আলম, আজকের সংবাদ প্রতিনিধি পবিত্র চন্দ্র সরকার সহ বেশ কয়েকজন।

এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মী মিছবাহ উদ্দিন জানান, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন ভিতরে যেতে দেয়নি। পরে লাশ বের করার সময় ছবি তুলতে গেলে তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এমনকি তারা আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ভাংচুর ও ছিনিয়ে নেয়। তবে হামলার ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। হাসপাতালের সিসি টিভিতেও থাকতে পারে। পরবর্তীতে সিনিয়রদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের কথা পরিস্কার- আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।’

এ ঘটনায় সাংবাদিকেরা ইতোমধ্যে মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও বিস্তারিত আসছে…

কাদেরের কললিস্টে নায়িকা-নেত্রীদের তালিকা ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:০১ অপরাহ্ণ
কাদেরের কললিস্টে নায়িকা-নেত্রীদের তালিকা ভাইরাল

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর মাস্টারমাইন্ড ওবায়দুল কাদের ঠিক কোথায় আছে তা নিয়ে যখন নতুন করে চলছে জল্পনা কল্পনা। ঠিক তখনই তার ব্যবহৃত সিমের লোকেশন ও কললিস্ট ট্র্যাক করে পাওয়া গেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিলাসী ও সৌখিন এ নেতার সঙ্গে বিভিন্ন নায়িকা ও মডেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। অনেক নায়িকার সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অবশ্য, প্রকাশ্যে সেগুলো নিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস করতো না।

কিন্তু, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে সাবেক সড়ক যোগাযোযোগ ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে। সবশেষ গেল ৫ আগস্টও দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটির ফোন ট্র্যাক লোকেশন ছিল মোহাম্মদপুর।

এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলো তার একটি কললিস্ট।

ওই কললিস্ট অনুযায়ী ৫ আগস্ট আগে-পরে দুই মাসে অসংখ্য নম্বরে কথা বলেছেন। যেখানে অনেক নায়িকা ও মডেল অভিনেত্রীদের সাথে যোগাযোগ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে। ওই কললিস্ট অনুযায়ী নায়িকা কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যানজেনা এলিনসহ মডেল নায়িকারা যেমন আছেন। তেমনি ফোন দিয়েছেন ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতাকেও।

ওবায়দুল কাদেরের ৫ আগষ্ট সহ আগের এবং পরবর্তী সময়ের কললিস্টের সিডিআর কপির আংশিক প্রকাশ করে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। তবে এই সিডিআর কপি বের করেছেন সাংবাদিক মুনওয়ার আলম নির্ঝর।

জাওয়াদ নির্ঝর ফেসবুকে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি ওবায়দুল কাদের কললিস্টের সিডিআর কপির আংশিক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এতো নম্বর যাচাই বাছাই করতে সময় লাগছে। নম্বরগুলো ট্রু কলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। সেটাও মুনওয়ার আলম করছেন।’

তিনি আরও লিখেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের কললিস্ট পর্যালোচনা করে দেখলাম, ফোনে সে কম কথা বলতো। কিন্তু তার ফোন লিস্টে নায়িকা মডেল অভিনেত্রীদের নম্বর কেনো? তাদেরকেও কি রাজনীতি শেখাতেন ওবায়দুল কাদের??’

এর আগে দেশের বিভিন্ন লোকেশনে ওবায়দুল কাদের আছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানও চালিয়েছে। তবে কোথাও মেলেনি তার খোঁজ। গুঞ্জন আছে, অন্যান্য নেতাদের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ওবায়দুল কাদেরও। তিনিও ভারতে আছেন।

তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওবায়দুল কাদেরের ব্যবহৃত সিমের লোকেশন ও কললিস্ট ভাইরাল হয়েছে। তবে ওই কল লিস্টের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। ভাইরাল ওই তালিকায় দেখা যায়, সর্বশেষ ৫ আগস্টের দিন দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে তার ফোন ট্র্যাক লোকেশন ছিল মোহাম্মদপুর।

ওই তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোড ৪৭(২/৬) সর্বশেষ অবস্থান পাওয়া যায় ওবায়দুল কাদেরের। ওই তালিকায় দেখা গেছে, ওবায়দুল কাদের মোবাইল ফোনে খুব কম কথা বলতেন। দলীয় কার্যালয়, নিজের বাসা ছাড়া ছাড়া খুব বেশি স্থানে তার কল লোকেশন পাওয়া যায়নি।

যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

প্রকাশের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে সরকার। পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, পত্রিকাটি অনুমোদিত প্রেস থেকে না ছাপিয়ে প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শফিক রেহমান।

সরকারের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩-এর ১০ ধারার লঙ্ঘনের কারণে পত্রিকাটির মুদ্রণের ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে।

এর ফলে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর ঘোষণাপত্র আর কার্যকর থাকছে না।

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের এ সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।

২০১৬ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। পরে জাতীয় জাদুঘর থেকে তার পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলা হয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একই বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তিকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।