খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সিদ্ধান্ত

মেঘনা, এনআরবিসি, এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
মেঘনা, এনআরবিসি, এনআরবি ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বেসরকারি খাতের আরও তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো– এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক।

বুধবার (১২ মার্চ) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেঘনা ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক এবং এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড) ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক তিনটির পরিচালনা পর্ষদে অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনতে এবং আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালকে সরিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এমডি আলী হোসেন প্রধানিয়ার নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। মেঘনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক এমপি এএইচ এন আশিকুর রহমানকে সরিয়ে প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরীর নেতৃত্বে পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে। আর এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান অপসারণ করে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিইকে আনা হয়েছে। প্রতিটি পর্ষদে চেয়ারম্যানসহ সাত জন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুনভাবে গঠন করা হলো।’ বেশ আগ থেকে ব্যাংকগুলো পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার আলোচনায় ছিল। তবে পর্ষদ ভাঙলেই আমানত উত্তোলনের চাপ তৈরি হওয়ায় মাঝে বিরতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফেরায় এক দিনে তিনটি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে কেবল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকটিতে নিয়োগ পাওয়া আলী হোসেন প্রধানিয়াসহ সবাই স্বতন্ত্র পরিচালক। তিনি ছাড়াও পরিচালক নিয়োগ পেয়েছেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর ও আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. নুরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ।

মেঘনা ব্যাংকে উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে উজমা চৌধুরী এবং ক্যাসিওপিয়া ফ্যাশনের প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ পরিচালক হয়েছেন। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে কারও নাম দেওয়া হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ডেকে এখন নিজেরা ঠিক করবে। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক হাবিবুর রহমান এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আলি আকতার রিজভী এফসিএ।

এনআরবি ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া পরিচালকদের মধ্যে ইকবাল আহমেদ ওবিই ছিলেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক। তাকে সরিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদ আকড়ে ছিলেন মাহতাবুর রহমান। নতুন পর্ষদে ইকবাল আহমেদ ওবিই ছাড়া অন্য সবাই স্বতন্ত্র পরিচালক। অন্যদের মধ্যে আছেন– গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি শেখ মতিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ নুরুল আহকাম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মিজানুর রহমান এফসিএ।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করেছিল। এর মধ্যে এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়– ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, গ্লোবাল, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ। তার ভাই আব্দুস সামাদ লাবুর নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয় আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এছাড়া এস আলমের মামাতো ভাই সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ পরিবার মুক্ত করা হয়েছে ইউসিবি। আর ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার মুক্ত করা হয়েছে এক্সিম ব্যাংক।

নারীসহ মাদক সেবন করছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, ছবি ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
নারীসহ মাদক সেবন করছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, ছবি ভাইরাল

পিরোজপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল সরকারের প্রায় উলঙ্গ এক নারীর সঙ্গে মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে পিরোজপুর জেলাভিত্তিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছবিটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বাবুল সরকার একটি রুমে খাটের ওপরে বসে নিজে খালি গায়ে ও খোলামেলা পোশাকের নগ্ন এক নারীর সঙ্গে বসে মাদক সেবন করছেন।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বাবুল সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শাখার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এই পরিচয়ে বিভিন্ন দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে চলতেন।

এ বিষয়ে জানতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বাবুল সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেন। এমনকি তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তা অফিসের অন্য কর্মচারীরাও সঠিকভাবে বলতে পারেননি। কোন বক্তব্য দিতেও রাজি হননি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. তানভীর হোসেন খানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকেও পাওয়া যায়নি।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান নাসিম আলী বলেন, তদন্ত করে দেখা হোক যদি এ ঘটনা সত্যি হয় তবে অনতিবিলম্বে তাকে চাকরিচ্যুত করা হোক।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, ছবিটি আমি দেখিনি, তবে বিষয়টি শুনেছি। আমি সহকারী পরিচালক বাবুল সরকার এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ বলেন, এটা নিয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারির ফল!

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রস্তাবে রাজি, জানালেন পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রস্তাবে রাজি, জানালেন পুতিন

বুধবার (১২ মার্চ) ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে জানান, আমেরিকা ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ক্রেমলিন রাজি হবে বলেই তাঁর আশা। এই প্রস্তাবে রাজি না হলে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখেও পড়তে পারে রাশিয়া।

হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকা। তাতেই কি ‘কাজ’ হল! বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে রাজি তারা। পাশাপাশি তাঁর দাবি, যুদ্ধবিরতি থেকে ক্রমে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে হাঁটতে হবে এবং যুদ্ধের কারণও নির্মূল করতে হবে। তবে আমেরিকার প্রস্তাব কী ভাবে কার্যকর হবে, সেই নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এর মধ্যে কিছু ‘সূক্ষ জটিলতা’ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে কথা বলার পরে সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন পুতিন। তখনই তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমরা রাজি।” সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধিবিরতির প্রস্তাবে রাজি হলেও যুদ্ধের কারণ নির্মূল করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি। পুতিনের কথায়, “আমরা মনে করি, যুদ্ধবিরতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে হাঁটা উচিত। এই সঙ্কটের কারণও নির্মূল করা উচিত।”

গত তিন বছর ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউক্রেনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রুশ সেনা। এখন পর্যন্ত সে দেশের পাঁচ ভাগের এক ভাগ দখল করেছে তারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি এই যুদ্ধ থামিয়েই ছাড়বেন। বুধবার তিনি হোয়াইট হাউসে জানান, আমেরিকা ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ক্রেমলিন রাজি হবে বলেই তাঁর আশা। এই প্রস্তাবে রাজি না হলে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখেও পড়তে পারে রাশিয়া বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইউক্রেন আগেই জানিয়েছে যে, তারাও এই প্রস্তাবে সমর্থন করবে।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির এক দিন পরে, বৃহস্পতিবার পুতিন জানালেন, আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি রাজি। সেই সঙ্গে যুদ্ধে ইতি টানতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। এর পরেই পুতিন বলেন, ‘‘এই চিন্তাভাবনা একেবারেই সঠিক। আমরা সমর্থন করি।’’ তবে তিনি মনে করেন কিছু বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। কী ভাবে আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কার্যকর করা হবে, তা নিয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন’ রয়েছে তাঁর। তিনি জানতে চান, ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির অর্থ কী। পুতিনের কথায়, ‘‘সেখানে (ইউক্রেনে) যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কি যুদ্ধ করবেন না? এই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবে কে? আমি মনে করি এই নিয়ে আমাদের আমেরিকান সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলা দরকার।’’ রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পকে ফোন করেও কথা বলতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘শান্তির মাধ্যমে যুদ্ধে ইতি টানার চিন্তাভাবনাকে আমরা সমর্থন করি।’’

রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। সৌদি আরবের জেড্ডায় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। এই পরিস্থিতিতে তিন বছর ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতি হবে কি না, তা নির্ভর করছিল ক্রেমলিনের উপর। এ বার রাশিয়া জানাল, তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রস্তাবে রাজি। তবে কার্যকর কী ভাবে করা হবে, তা নিয়ে তাদের প্রশ্ন রয়েছে। তার আগে আমেরিকার সঙ্গে কথা বলতে চায় তারা। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান হয় কি না, সেটাই দেখার।

সাবিনা ইয়াসমিন-আসিফের কণ্ঠে দেশের গান

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
সাবিনা ইয়াসমিন-আসিফের কণ্ঠে দেশের গান

খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন গত মাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এখন তার শরীরের অবস্থা বেশ ভালো। তিনি গানেও ফিরেছেন। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে একটি গান গেয়েছেন। জানা গেছে, এবারের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি দেশের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে আসিফ তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি জানিয়েছেন, সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে বেশ কিছু ডুয়েট গান গাইলেও ‘আমার পতাকা লাল সবুজে আঁকা’ শিরোনামে গানটি হতে যাচ্ছে তাদের প্রথম অডিও গান।

গানের কথা লিখেছেন গীতিকবি মনিরুজ্জামান মনির। সুর-সংগীত পরিচালনা করেছেন মনোয়ার হোসাইন টুটুল। গানটির মিউজিক ভিডিও করছেন সৈকত রেজা।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় আসিফ তার পোস্টে লিখেছেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘আমার পতাকা লাল সবুজে আঁকা’ শিরোনামে একটি গান। দ্বৈত কণ্ঠের এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের সুরের আকাশের জীবন্ত কিংবদন্তি শ্রদ্ধেয় সাবিনা ইয়াসমিন আপা, সঙ্গে আছি আমি আসিফ আকবর।”

আসিফ আরও লেখেন, ‘বাংলা সিনেমায় সাবিনা আপার সাথে বেশ কিছু ডুয়েট গান গাইলেও অডিও গান এই প্রথম। সাবিনা আপার গায়কি এখনো আদি এবং অকৃত্রিম। কথা সুর সংগীত মিলিয়ে বাংলা গানের ভান্ডারে নতুন একটি দেশাত্মবোধক গান সংযুক্ত হতে যাচ্ছে।’