খুঁজুন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা একটি অ্যাসিড টেস্ট দেখতে চাই

সক্ষমতা প্রমাণ করতে আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫২ অপরাহ্ণ
সক্ষমতা প্রমাণ করতে আগে স্থানীয় নির্বাচন দিন: জামায়াত আমির

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো একটা নির্বাচন উপহার দেবে। আমরা তাদের একটি অ্যাসিড টেস্ট দেখতে চাই। তারা জাতীয় সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনটা দিক। আমরা দেখি তাদের সদিচ্ছা ও সক্ষমতা কতটুকু। যদি এতে জনগণ সন্তুষ্ট হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে জনগণ আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে। আর কোনো কিছু ধরা পড়লে জনগণ লালকার্ড দেখাবে।’

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতের কর্মীসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অতীতে যা চলল এখনো যদি তাই চলে, তাহলে এত রক্ত কেন ঝরল। এত জীবন গেল কেন। এ জাতির কাছে আমরা কীভাবে মুখ দেখাব। জঞ্জালমুক্ত, কলুষমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনে আমরা আরেকবার জীবন দিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকব। আমরা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ আমরা মানব না। আমরা জনগণের সুবিধা দেওয়ার সব সুপারিশ মেনে নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে দল ও ধর্মের মধ্যে কোনো অধিকারের ব্যবধান থাকবে না। দেশে সবার অধিকার ভোগ করা ন্যায্যতা থাকবে। আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও দুঃশাসনমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ অবশ্যই হতে হবে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে। আল কুরআনের ভিত্তিতে।’

ঐক্যের শক্তিতে বিজয় আসবে জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা দলকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। এ বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিধানকে মানুষের কাছে সামাজিকভাবে উপহার দেওয়া হবে। সোনার মানুষ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সমাজে ন্যায়বিচার কায়েম করতে হলে নিজের ওপর ইনসাফ তৈরি করতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে।’

নতুন রাজনীতির উত্থানে তরুণদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত তোমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হবে তোমরা এ লড়াই থেকে বিশ্রাম নিও না। তোমরা হবে আমাদের আগামীর নেতা। আমরা হব তোমাদের কর্মী। আমরা তোমাদের দেশ ও জাতির খেদমত করার সুযোগ করে দিতে চাই।’

জামায়াতে আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর ও প্রশাসনে কিছু কর্মকর্তা দেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ টাকা দেশের বাজেটের প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ।’

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘সরকারে যারা আছে সবার দৃষ্টিভঙ্গি সমান না। এটা কোনো দলীয় আদলের সরকারও না। কেউ কেউ থাকে মক্কার দিকে, আবার কেউ কেউ থাকে মস্কোর দিকে। এই দোটানা অবস্থায় জাতির মাঝে মাঝে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়।’

নারী অধিকার সংস্কারের প্রতিবেদনের কথা টেনে ডা. শফিকুর বলেন, ‘সে রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কুরআন ও সুন্নাতের সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম কথা হচ্ছে, যে কয়েকজন এ সুপারিশ পেশ করেছেন তারা এ দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা সমাজকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে চান, আমরা সে জায়গায় তাদের নিতে দেব না ইনশাল্লাহ।’

শহীদি সমাবেশ থেকে আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবি

Staff Reporter
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
শহীদি সমাবেশ থেকে আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবি

জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে ‘শহীদি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরবর্তী সময়ে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ করতে হবে।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো এক আহত ব্যক্তি বলেন, আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা হয়ে বলতে চাই, এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তাদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের এ দেশে জায়গা হবে না।

তিনি আরও বলেন, যারা দিল্লি বা পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে দেশ চালাতে চায়, তারা যেন ভারত বা পাকিস্তানে চলে যায়। আমরা বাংলাদেশপন্থীরা নতুন দেশ গঠন করব।

দাবি জানিয়ে চোখ হারানো ওই ব্যক্তি বলেন, আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করতে হবে।

সমাবেশে শহীদ সাইমের মা বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, যে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো? আমি শহীদের মা হয়ে বলছি, আওয়ামী লীগ যেন আর এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।

জুলাই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি। কেউ কেউ আজ টাকার পাহাড় গড়েছে। অথচ আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কেউ আমাদের আশা বিক্রি করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক। পাশাপাশি গণভোটের মাধ্যমে দলটিকে চিরতরে বিদায় করতে হবে। শাপলা চত্বর ও বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব ঘটনার বিচার করতে হবে এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।

ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। তাদের পুনর্বাসনের আগে আমাদের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আমাদের সভা-সমাবেশ করতে হবে এটা ২৪ পরবর্তী দেশে প্রত্যাশা করতে পারিনি।

এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন- পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, শহীদ সজলের মা, শহীদ সাইমের পরিবারসহ জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য সমাবেশে বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, আজকের সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো-

১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, এই দাবিতে তারা আগামী ১০০ দিন দেশের ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালাবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।

পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি

Staff Reporter
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের (বাপশক) স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মন্ত্রণালয়ের ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিশনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, কমিশনের নীতিনির্ধারণী শীর্ষপদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় স্বতন্ত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১১ সালে কমিশনের জিও প্রদানের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের হাতে যাওয়ার পর থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে বারবার প্রশাসনিক বাধার মুখে পড়ছেন বিজ্ঞানীরা। স্কলারশিপ থাকা সত্ত্বেও অনুমোদন না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিপরীতে, মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা নিয়মিত বিদেশ সফরে যাচ্ছেন।

বেতন-বৈষম্যের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমতুল্য সুবিধা পেলেও পরে বিজ্ঞানীরা তা থেকে বঞ্চিত হন। নবসৃজিত পদে গ্রেড অবনমন করায় সৃষ্টি হয়েছে আর্থিক ও প্রশাসনিক জটিলতা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কমিশনের মালিকানাস্বত্ব থাকলেও তাদের ভূমিকা খর্ব করার অভিযোগও তোলা হয়।

অন্যদিকে কমিশনের আর্থিক কার্যক্রমে আইবিএএস++ সিস্টেম চাপিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ এবং মার্চ মাস পর্যন্ত বেতন বন্ধ থাকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জনবল সংকট ও পদোন্নতির অভাবেও গবেষণা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন অংশগ্রহণকারীরা। তরুণ মেধাবীরা পর্যাপ্ত সুযোগ না পেয়ে পেশা বদল করছেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

সংকট উত্তরণে বিজ্ঞানীরা সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন—কমিশনের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, উচ্চশিক্ষার অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বেতনবৈষম্য নিরসন, পদোন্নতি ও নতুন পদ সৃষ্টি, রূপপুরে কমিশনের মালিকানাস্বত্ব রক্ষা, আইবিএএস++ এর বিকল্প পদ্ধতি এবং বিজ্ঞানীদের জন্য বিশেষ ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা চালু করা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামশাদ বেগম কোরাইশী, রসায়ন বিভাগের প্রধান ড. ইয়াসমিন নাহার জলি, বস্তু বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. প্রকৌশলী শেখ মনজুরা হক ও ড. মো. মাহবুবুল হক, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং প্রকৌশল ও সাধারণ কার্যনির্বাহী বিভাগের প্রকর্মী-১ মো. কামরুজ্জামান উজ্জ্বল।

আ,লীগ শুধু ফ্যাসিবাদই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে পারদর্শী ছিল: টুকু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
আ,লীগ শুধু ফ্যাসিবাদই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে পারদর্শী ছিল: টুকু

সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন আওয়ামীলীগ শুধু ফ্যাসিবাদি সরকারই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে ছিল পারদর্শী। গত ১৭ বছর দেশে কোন নির্বাচন হয়নি। ওরা মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। সারা দেশের ন্যায় কাজিপুরের কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরকে গড়তে যারা অবদান রেখেছিল সেই প্রয়াত আসাদুল্লাহ সিরাজী,আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কাজিপুরের ইউনুস তালুকদার, আব্দুল খালেক কে তারা হত্যা করেছিল। আওয়ামীলীগের হাত পূর্ব থেকেই রক্তে রঞ্জিত। তারা ৭১ এর আগে ওপরের ইতিহাস মানুষকে জানতে দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে   কাজিপুর উপজেলা মাঠে জনসভা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন,  সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু একথা বলেন। 

সভায়  প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত  ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি  বলেন- আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল।তাই আজ সময় হয়েছে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন,  বিএনপির সিরাজগঞ্জ জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয়  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খাঁন  আলীম, সাবেক এমপি ও  জেলা বিএনপি’র সভাপতি বেগম রুমানা মাহমুদ, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক  সাইদুর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান প্রমুখ  । 

বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা এবং  জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি,জেলা বিএনপির  সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন,  কাজিপুর উপজেলার বিএনপির সাবেক  সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র প্রভাষক আব্দুস সালাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান। 

এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, অমর কৃঞ্চ দাস, জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য  রাকিবুল করিম খান পাপ্পু,  মোস্তফা নোমান আলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সরকার, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি মোঃ শামীম খান, নূর কায়েম সবুজ, হারুন অর রশিদ খান হাসান, মুন্সি জাহেদ আলম, লিয়াকত আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, আলমগীর আলম,দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলামিন খান, সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস,  সদস্য সচিব মিলন হক রঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ সহ অন্যরা  উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠান শুরু পূর্বে মঞ্চে জেলা জাসাস শিল্পীদের কন্ঠে মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

 বিশাল এই জনসভায় কাজিপুর  উপজেলা বিএনপি ও তার বিভিন্ন  অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উৎসব মূখর পরিবেশে কর্মীরা হাতে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা এবং  উড়িয়ে,প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ধানের শীর্ষ নিয়ে ট্রি-শার্ট পড়ে রাস্তায়  শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে বিভিন্ন ইউনিট হতে  মিছিল নিয়ে জনসভাস্থল উপস্থিত হয় এবং সাধারণ জনতা  জনসভায় অংশ গ্রহণ করে ।