খুঁজুন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২

আ,লীগ শুধু ফ্যাসিবাদই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে পারদর্শী ছিল: টুকু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
আ,লীগ শুধু ফ্যাসিবাদই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে পারদর্শী ছিল: টুকু

সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন আওয়ামীলীগ শুধু ফ্যাসিবাদি সরকারই ছিলনা এরা ইতিহাসকে মুছে দিতে ছিল পারদর্শী। গত ১৭ বছর দেশে কোন নির্বাচন হয়নি। ওরা মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। সারা দেশের ন্যায় কাজিপুরের কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরকে গড়তে যারা অবদান রেখেছিল সেই প্রয়াত আসাদুল্লাহ সিরাজী,আব্দুল্লাহ আল-মামুন, কাজিপুরের ইউনুস তালুকদার, আব্দুল খালেক কে তারা হত্যা করেছিল। আওয়ামীলীগের হাত পূর্ব থেকেই রক্তে রঞ্জিত। তারা ৭১ এর আগে ওপরের ইতিহাস মানুষকে জানতে দেওয়া হয়নি।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে   কাজিপুর উপজেলা মাঠে জনসভা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন,  সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু একথা বলেন। 

সভায়  প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত  ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। তিনি  বলেন- আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল।তাই আজ সময় হয়েছে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন,  বিএনপির সিরাজগঞ্জ জেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয়  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খাঁন  আলীম, সাবেক এমপি ও  জেলা বিএনপি’র সভাপতি বেগম রুমানা মাহমুদ, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক  সাইদুর রহমান বাচ্চু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান প্রমুখ  । 

বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা এবং  জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি,জেলা বিএনপির  সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন,  কাজিপুর উপজেলার বিএনপির সাবেক  সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র প্রভাষক আব্দুস সালাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান। 

এ সময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, অমর কৃঞ্চ দাস, জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য  রাকিবুল করিম খান পাপ্পু,  মোস্তফা নোমান আলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সরকার, জাহাঙ্গীর হোসেন ভুঁইয়া সেলিম, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি মোঃ শামীম খান, নূর কায়েম সবুজ, হারুন অর রশিদ খান হাসান, মুন্সি জাহেদ আলম, লিয়াকত আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, আলমগীর আলম,দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলামিন খান, সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস,  সদস্য সচিব মিলন হক রঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ সহ অন্যরা  উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠান শুরু পূর্বে মঞ্চে জেলা জাসাস শিল্পীদের কন্ঠে মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

 বিশাল এই জনসভায় কাজিপুর  উপজেলা বিএনপি ও তার বিভিন্ন  অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উৎসব মূখর পরিবেশে কর্মীরা হাতে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা এবং  উড়িয়ে,প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ধানের শীর্ষ নিয়ে ট্রি-শার্ট পড়ে রাস্তায়  শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে বিভিন্ন ইউনিট হতে  মিছিল নিয়ে জনসভাস্থল উপস্থিত হয় এবং সাধারণ জনতা  জনসভায় অংশ গ্রহণ করে ।

টাইমস হায়ার এশিয়া র‍্যাংকিংয়ে দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
টাইমস হায়ার এশিয়া র‍্যাংকিংয়ে দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই) ২০২৫ সালের এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্থান পেয়েছে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তালিকায় যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। তালিকায় এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চলের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এটি ১৩তম সংস্করণ।

তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এশিয়া অঞ্চলে সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা হয়নি। তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়ে যৌথভাবে দেশসেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এ ছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

‘ধর্ম অবমাননা’ প্রসঙ্গে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
‘ধর্ম অবমাননা’ প্রসঙ্গে কোহিনুর কেমিক্যালের বক্তব্য

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কোহিনুর কেমিক্যাল বাংলাদেশের একটি ৭০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও এটি দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার আওতায় গুণগতমানসম্পন্ন সাবান, প্রসাধনী ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা তার অধীনস্থ এক সহকর্মীর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করার সময় কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন— যা এক ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, ২২ এপ্রিল দুপুরে শ্রমিকরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দোষ প্রমাণিত হলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসন আশ্বাস দেন।

তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোহিনুর কেমিক্যাল স্পষ্ট করে জানায়, প্রতিষ্ঠানটি কখনোই ধর্মীয়, সামাজিক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক কোনো বক্তব্য বা আচরণকে সমর্থন করে না। তারা বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে শূন্য সহিষ্ণু নীতি (জিরো টলারেন্স পলিসি) অনুসরণ করা হয়। আমরা দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলি এবং তা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, তারা ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করবে।

৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন চায়: জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন চায়: জরিপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনকে প্রয়োজনীয় মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে, এই নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ‘পরামর্শক কমিটি’ পরিচালিত এক জরিপে শিক্ষার্থীরা এই মতামত দিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশ মনে করেন, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করলে সেটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, আরও এক বছর বা তারও পরে নির্বাচন হলে সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।

এই জরিপ কার্যক্রমটি শুরু হয় গত ২৩ মার্চ, যা পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। জরিপের ফলাফল গত ৬ এপ্রিল পরামর্শক কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে মোট ১,৭৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে নিজ নিজ প্রোফাইলের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছেন।

জরিপে শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসু সংক্রান্ত মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রায় ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ছাত্র সংগঠনগুলোর পূর্ব সম্মতি ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত প্রশ্নে, ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছেন কিছু নির্দিষ্ট একাডেমিক ভবন—যেমন কার্জন হল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদ। ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হল ও একাডেমিক ভবন মিলিয়ে উভয় জায়গায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে, আর ১৭ শতাংশ শুধুমাত্র হলের মধ্যে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন।

প্রার্থিতার যোগ্যতা নির্ধারণে ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী মত দিয়েছেন, প্রার্থিতা দাখিলের দিন থেকে কমপক্ষে এক বছর বৈধ ছাত্রত্ব থাকা আবশ্যক। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ, নির্দিষ্ট বয়সসীমা এবং ফৌজদারি বা শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত না থাকার মতো শর্ত আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে করা প্রশ্নে প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্র-শিক্ষক যৌথভাবে নির্বাচন কমিশন নির্ধারণের পক্ষে মত দেন। অন্যদের মধ্যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কমিশন নির্ধারণ এবং কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

পরামর্শক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা জরুরি বলে মনে হওয়ায় আমরা এ জরিপটি করি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে বেশকিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। আমরা এসব তথ্য নিয়ে যারা ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়নের কাজে যে ইলেকবশন কমিশন থাকবে তাদেরকে এই রিপোর্ট আমরা দিয়ে দেব যেন তারা এখান থেকে যেসব পরামর্শ নেওয়ার উপযোগী তা নিতে পারেন।