‘চার বছরে ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন হবে’
আগামী চার বছরে ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় ৫টি কূপ খনন করা হবে এবং ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টি গ্যাসকূপ খননসহ মোট ১৯টি কূপ খনন করা হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, সবগুলো হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। যার কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাব তাকেই দেব।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোলায় বাণিজ্যিক গ্যাস চালু আছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সারা দেশব্যাপী সিদ্ধান্ত হবে। কেউ যদি গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ না পেয়ে থাকে, তাহলে তার টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আনি। পরবর্তীতে ভোলায় যদি আরও বড় গ্যাসক্ষেত্রের হদিস পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাহলে আর এলএনজি আমদানির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা আমাদের আর লাগবে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানকে ভোলায় এসে দেখে যেতে বলব। এখানে যদি যদি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে সেটি হবে ভোলাবাসীর জন্য ভালো ব্যাপার। লোকজন চাকরি পাবে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসকে কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। ভোলায় আরও কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট করার বিষয়টি আমরা চিন্তা করছি।
এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব, বাপেক্সের পরিচালক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব, ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন