খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু চুল্লী প্রযুক্তি বাস্তবায়নে রসাটমের সাফল্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:১২ অপরাহ্ণ
চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু চুল্লী প্রযুক্তি বাস্তবায়নে রসাটমের সাফল্য

Oplus_131072

পরবর্তী প্রজন্মের ফাস্ট নিউট্রন রিয়্যাক্টরের জন্য জ্বালানী তৈরিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে রাশিয়ার রাস্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম। চতুর্থ প্রজন্মের বিএন-১২০০ রিয়্যাক্টরের জন্য ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম ভিত্তিক দুই ধরণের পারমাণবিক জ্বালানী তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হলো- মক্স (MOX) এবং স্নাপ (SNUP) জ্বালানী। প্রসারটনের মিডিয়া উইন মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার সাইবেরিয়া কেমিক্যাল কম্বাইনড প্ল্যান্টে তৈরি হচ্ছে নতুন এই জ্বালানী এসেম্বলী যেগুলো বেলাইয়ার্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লীতে পরীক্ষা করা হবে। ২০২৫ সালেই জ্বালানীগুলো লোড করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে, জ্বালানীগুলোর মূল্যায়ন করা হবে, এগুলোর কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা হবে এবং পরবর্তীতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হবে।

রাশিয়ার বিএন-১২০০ হতে যাচ্ছে সিরিয়াল ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত বিশ্বের প্রথম ফাস্ট নিউট্রন রিয়্যাক্টর। বেলাইয়ার্স্ক পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বর্তমানে চালু বিএন-৬০০ এবং বিএন-৮০০ রিয়্যাক্টরের পর রাশিয়ার সোডিয়াম-কুল্ড রিয়্যাক্টর লাইনে বিএন-১২০০ হতে যাচ্ছে একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। বেলাইয়ার্স্ক সাইটেও বিএন-১২০০ স্থাপিত হবে যার নির্মান কার্যক্রম ২০২৭ সালে শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

রসাটমের পরমাণু জ্বালানী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেভেল এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার উগ্রিউমভ জানান যে, বিএন-১২০০ রিয়্যাক্টরের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে স্নাপ এবং মক্স উভয় ধরণের জ্বালানী ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তিনি জানান যে, মক্স জ্বালানী প্রস্তুত ও ব্যবহারে রসাটমের ইতোমধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে। তবে, স্নাপ জ্বালানীতে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা রয়েছে যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

চতুর্থ প্রজন্মের পারমাণবিক শক্তি ব্যবস্থাঃ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী এই ব্যবস্থায় উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ জ্বালানী দক্ষতা, অধিকতর নিরাপত্তা, অধিকতর এনার্জী উৎপাদন ছাড়াও পরমাণু বর্জ্যের পরিমান উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়ে থাকে। চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহারে রাশিয়া নেতৃস্থানীয়। বেলাইয়ার্স্কে বিএন-১২০০ রিয়্যাক্টর এবং টমস অঞ্চলে বিশ্বের প্রথম ক্লোজড ফুয়েল সাইকেল নিশ্চিতকারী লীড-কুল্ড ব্রেস্ট-ওডি-৩০০ রিয়্যাক্টর স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ফাস্ট নিউট্রন রিয়্যাক্টরঃ এই রিয়্যাক্টরগুলো যে পরিমান জ্বালানী ব্যবহার করে, তার চেয়ে বেশি উৎপাদনে সক্ষম। বর্তমানে প্রচলিত থার্মাল রিয়্যাক্টরগুলো ইউরেনিয়ামের শুধুমাত্র এক শতাংশ ব্যবহার করে এবং বাকী নিরানব্বই শতাংশ বর্জ্যে রূপান্তরিত হয়। ফাস্ট রিয়্যাক্টরগুলো জ্বালানী চক্রে যে সেকেন্ডারি প্রোডাক্ট যেমন প্লুটোনিয়াম এবং তেজস্ক্রিয় ট্রান্সইউরানিক এলিমেন্ট তৈরি হয়, সেগুলো জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে।

মক্স ফুয়েলঃ ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানীর পুনঃপ্রক্রিয়ায় যে প্লুটোনিয়াম অক্সাইড এবং ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম অক্সাইড বাই প্রোডাক্ট হিসেবে পাওয়া যায়, সেগুলো থেকে মক্স ফুয়েল তৈরি হয়। ২০২৪ সাল থেকে রাশিয়া তাদের বিএন-৮০০ রিয়্যাক্টরে মক্স জ্বালানী এসেম্বলী শুরু করেছে।

স্নাপ ফুয়েল (মিক্সড ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়াম নাইট্রাইড)ঃ এই জ্বালানীতে বর্তমানে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম ডাই-অক্সাইডের পরিবর্তে ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়ামের নাইট্রাইড ব্যবহৃত হয়। বানিজ্যিকভাবে এটির ব্যবহার এখনো শুরু না হলেও, ভবিষ্যতে সোডিয়াম অথবা, লীড কুল্যান্ট ভিত্তিক ফাস্ট রিয়্যাক্টরে এগুলো ব্যবহৃত হবে। অতি উচ্চ ঘনত্বের এই জ্বালানীর জন্য যে রিয়্যাক্টর তৈরি হবে, তার ডিজাইন অপেক্ষাকৃত কমপ্যাক্ট এবং এগুলোর জ্বালানী দক্ষতাও অপেক্ষাকৃত বেশি। এই জ্বালানী ২০১৪ সাল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

রসাটমের ভারসাম্যপূর্ণ পারমাণবিক জ্বালানীচক্রঃ ক্লোজড ফুয়েল সাইকেল নিশ্চিত করা, তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের পরিমান এবং তাদের কার্যক্রম হ্রাসকরণ এই জ্বালানী চক্রের মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে অধিকতর নিরাপত্তা অর্জন, পরিবেশগত ঝুঁকি হ্রাস এবং মূল্যবান পারমাণবিক ম্যাটেরিয়াল রিসাইকেল করা সম্ভব। বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস এবং পারমাণবিক এলিমেন্টগুলোকে পুনঃরায় ব্যবহার করার মাধ্যমে টেকসই এনার্জী মডেল অর্জনে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে সহায়ক।

ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৭ অপরাহ্ণ
ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ

নিজের গুম হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও ডিবির সাবেক ডিসি মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণ করেন।

এসময় বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম মুকুলসহ অনেকে।

এর আগে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ জমা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর গুম কমিশনে নিজের গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ও গুমের শিকার সালাহউদ্দিন আহমেদ।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিনকে আটক করার পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়।

২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান, দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ১১ আগস্ট দেশে ফেরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, এই সুযোগ থাকলে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য প্লট বা ফ্ল্যাট কেনা অসম্ভব হয়ে যাবে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হবে।

তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ নিয়ে সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিং এসব কথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা বলেন, বাজেটে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গেলে সেখানে অপ্রদর্শিত আয় দেখিয়ে বর্ধিত হারে বিশেষ কর দিয়ে সেটি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমরা সবসময় বলে এসেছি কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, আমরা এটা সমর্থন করছি না।

তিনি বলেন, এই প্রস্তাব সৎ করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে। তাদের নৈতিকতার ওপর আঘাত। আমরা এই প্রস্তাব উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এটা বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ার।

উদাহরণ দিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, আবাসন খাতের মূল্য অনেক বেশি। এর কারণ এই অপ্রদর্শিত অর্থ। এই অর্থ সেই খাতে সেটার দাম বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে যারা বৈধভাবে আয় করে তাদের জন্য একটা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হয়। জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।

বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৩:১৩ অপরাহ্ণ
বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক

বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বহুদলীয় আলোচনা শুরু হয়।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০, সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলোর কার্যকারিতা, নিম্নকক্ষে নারী আসন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ নিয়ে এখনও রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি, সেইসব বিষয়ে নিয়েই পর্বের আলোচনা আয়োজিত হচ্ছে।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে পৃথকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করলেও এবারই প্রথম একসঙ্গে সব দলের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজকের আলোচনাতেই সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে। ফলে ঈদের পরও আলোচনা পর্ব অব্যাহত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশন—সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও পুলিশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলমান আলোচনা পর্বের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করা হবে।