খুঁজুন
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৩ মাঘ, ১৪৩১

বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটি ১/১১’র ইঙ্গিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটি ১/১১’র ইঙ্গিত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটি এক-এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।

‘ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা ৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি কোনো প্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদের বারবার ক্যান্টনমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’

‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজী হয় নাই।’

‘কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।’

‘ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে।’

‘এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’

‘আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল যারা মূলত বিএনপির লোক। এ রকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থি লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতায়ও মাথায় রাখতে হবে।’

‘রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলো কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবো।’

‘আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‌‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কি রাষ্ট্র বানাবো! বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

‘আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান করব, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।’

৬ পুলিশ ও ২ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:২৫ অপরাহ্ণ
৬ পুলিশ ও ২ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা শহরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে ৬ জন পুলিশ সদস্য ও বাকি দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজকে ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬ জন হচ্ছেন পুলিশ ও বাকি দুই জন হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের তদন্ত সংস্থা সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আজকে যাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঢাকা শহরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পরেই তদন্ত সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, চারটি পিটিশনে আলাদা আলাদাভাবে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এ সময় চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডমন উপস্থিত ছিলেন।

সিএ প্রেস ইউং ও বাংলাদেশ

মার্কিন সহায়তা বন্ধ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:২১ অপরাহ্ণ
মার্কিন সহায়তা বন্ধ নিয়ে কিছু গণমাধ্যমের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে

বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ নামে ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে।

পোস্টে বলা হয়, ‘সম্প্রতি এক নির্বাহী আদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব দেশের জন্য মার্কিন সাহায্য রিভিউ করার লক্ষ্যে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ‍্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম শিরোনাম শুধু বাংলাদেশ শব্দটি ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে। এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি এড়াতে গণমাধ্যমসমূহের কাছে আরো স্পষ্টতা প্রত‍্যাশা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এরপরই এই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে। দেশটির ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইউএসএইডের অধিগ্রহণ ও সহায়তা তত্ত্বাবধায়ক চুক্তি কর্মকর্তা ব্রায়ান অ্যারন স্বাক্ষরিত মার্কিন সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ বাস্তবায়নকারী সব অংশীদারদের চুক্তি, কার্য আদেশ, অনুদান, সমবায় চুক্তি বা অন্যান্য অধিগ্রহণ বা সহায়তা স্মারকের অধীনে সম্পাদিত যেকোনো কাজ অবিলম্বে বন্ধ অথবা স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

ফাঁস হওয়া এই নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্র ও শাসন, মৌলিক শিক্ষা এবং পরিবেশগত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশে ইউএসএআইডি কর্মসূচি এশিয়ার বৃহত্তম। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশে বড় ধরনের মানবিক সহায়তা তদারকি করে। তবে এই আদেশের প্রভাব জরুরি খাদ্য সহায়তার ওপর নাও পড়তে পারে বলে জানা গেছে।

কথিত শিক্ষার নামে নিগৃহীতের অবসান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৬ অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আর কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না। আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত গুলো হলো:

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২. অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এ বছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৩. শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়।

৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে, চলমান সংকট সমাধানে ভিসি অফিসের মিটিংরুমে বৈঠকে বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসিসহ ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের অধ্যক্ষরা। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সাত কলেজ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

ঢাকা কলেজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে ৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে রোববার দিবাগত রাতে হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিও জানান তারা। তাছাড়া আল্টিমেটাম না মানা হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ইঙ্গিত দেয়া হয়।