খুঁজুন
সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২

বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারীর লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে হত্যার অভিযোগে প্রায় ১১ বছর পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। আদালত মামলা গ্রহণ করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার ঘটে। সে ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ১৮ জানুয়ারি জানতে পারে নীলফামারীর আরাজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী- ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে রব্বানীর মরদেহ পড়ে আছে। তা জানতে পেরে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

মামলার বাদী শাহানাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আমার স্বামী গোলাম রব্বানীকে আসামি করে থানায় মামলা করে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়িতে স্বামীকে খুঁজতে আসে, না পেয়ে আমার বাড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি আসামিরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার স্বামী প্রাণের ভয়ে আমার পঞ্চগড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপন করে। এরপর গত ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে নীলফামারী থানা পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে যায়। আমি বিভিন্ন স্থানে আমার স্বামী খোঁজ করার এক পর্যায়ে নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে আমার স্বামীর মরদেহ পাই। স্বামীকে হারিয়ে আমি আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। আমি ছোট-ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ৬ থেকে ৭ মাস আত্মগোপনে থেকেছি। আমি আমার স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আজকে নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এছাড়াও গেল ৪ আগস্ট নীলফামারী জেলা বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সৌমিক হাসান সোহান মামলায় আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্য গুলির নির্দেশদাতা হিসেবে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এদিকে গতকাল রোববার রাত ১১টায় আসাদুজ্জামান নূরকে রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ (সোমবার) তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শরিফুল ইসলাম/এমএ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন, কার্যকরি সভাপতি বাতেন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ‘বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরি সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরি সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: জোবায়ের মাসুদ এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃত মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘পরিবহণ সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহণ মালিকদেরকে ধ্বংসের পায়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যাতে ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন সাহেব না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।’

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিটরিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরবর্তীতে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে ; আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্ম কে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিটরিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়।

পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করলো ভারত-আফগানিস্তান

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পড়েছে। তবে পাকিস্তানের এমন দাবি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। খামা প্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

খামা প্রেস বলছে, দিল্লির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে পাকিস্তান যে দাবি করেছে- তা জোরালোভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল শনিবার পাকিস্তানের এমন দাবি উড়িয়ে দেন। একইভাবে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

খামা প্রেসকে ওই মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। এমন ঘটনা ঘটেনি। এই বিবৃতিটি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করেছে যে আফগানিস্তানের মাটিতে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছিলেন, ভারতের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে পড়েছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ভারত এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এবং আফগান কর্তৃপক্ষ উভয় দায়িত্বশীল যোগাযোগ এবং ফ্যাক্টভিত্তিক রিপোর্টের আহ্বান জানিয়েছে।

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২:৩২ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১০ মে) লন্ডন থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার এখনও বিমানবন্দরে আছেন। আমরা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে এসেছি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৫টি বাসে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছেন।

জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে পারিবারিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কিছু জটিলতা এবং শারীরিক কারণে তিনি স্থায়ীভাবে দেশের বাইরে বসবাস শুরু করেন। তবে দেশের বাইরে থাকলেও হানিফ এন্টারপ্রাইজের নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।