খুঁজুন
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:১৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১১ বছর পর সাবেক মন্ত্রী নূরের বিরুদ্ধে মামলা

নীলফামারীর লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে হত্যার অভিযোগে প্রায় ১১ বছর পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। আদালত মামলা গ্রহণ করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলার ঘটে। সে ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ১৮ জানুয়ারি জানতে পারে নীলফামারীর আরাজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী- ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে রব্বানীর মরদেহ পড়ে আছে। তা জানতে পেরে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।

মামলার বাদী শাহানাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসাদুজ্জামান নূরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আমার স্বামী গোলাম রব্বানীকে আসামি করে থানায় মামলা করে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়িতে স্বামীকে খুঁজতে আসে, না পেয়ে আমার বাড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি আসামিরা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার স্বামী প্রাণের ভয়ে আমার পঞ্চগড়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপন করে। এরপর গত ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে নীলফামারী থানা পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে যায়। আমি বিভিন্ন স্থানে আমার স্বামী খোঁজ করার এক পর্যায়ে নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে আমার স্বামীর মরদেহ পাই। স্বামীকে হারিয়ে আমি আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ি। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। আমি ছোট-ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ৬ থেকে ৭ মাস আত্মগোপনে থেকেছি। আমি আমার স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আজকে নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।

এছাড়াও গেল ৪ আগস্ট নীলফামারী জেলা বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের মামলায় আসাদুজ্জামান নূরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম বাবলা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সৌমিক হাসান সোহান মামলায় আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্য গুলির নির্দেশদাতা হিসেবে ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এদিকে গতকাল রোববার রাত ১১টায় আসাদুজ্জামান নূরকে রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ (সোমবার) তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শরিফুল ইসলাম/এমএ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

নিউজ ১৮'র প্রতিবেদন

ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ
ভারত যাচ্ছেন জয়, সাক্ষাৎ হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে!

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মধ্যে শিগগিরই সাক্ষাৎ হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতের গণমাধ্যম নিউজ ১৮ জানিয়েছে, শিগগির ভারত সফরে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এটিই হবে মা-ছেলের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এই সফরে মায়ের সঙ্গে নয়াদিল্লিতে সাক্ষাৎ ছাড়াও কলকাতা যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তার। কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রেস সচিব তারিক চয়নও এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানান।

নিউজ ১৮ জানিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন জয়। সূত্র জানায়, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর তিনি আমেরিকার নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।

আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতাদের মধ্যে জয়ের এই সম্ভাব্য সফর নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার ভারত সফরের প্রেক্ষাপট এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

গত ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে, যা দলটিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সব পথ বন্ধ করে দেয়।

এর আগে, ১০ মে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসমূহের সব অনলাইন ও অফলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিচার ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল, সভা, সেমিনার, গণমাধ্যমে প্রকাশনা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। প্রজ্ঞাপনটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর করা হয়েছে।

একজন সাবেক আওয়ামী লীগ মন্ত্রী নিউজ ১৮-কে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জয় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং নির্বাসিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সরকার যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এটি আগামী নির্বাচনে দলটিকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখতে নেওয়া কৌশলের অংশ।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দেশত্যাগ করেন এবং তখন থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাকে সামনাসামনি দেখেননি। এতদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সম্প্রতি পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্স ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ফলে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ড এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।

শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ২:০৪ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৮ মে) কমিশন থেকে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব ও তার আয়কর নথির যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে। এর আগে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চর্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গত ১০ মার্চ পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দিয়েছে সংস্থাটি। যা আমলে নিয়েই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

অন্যদিকে বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও ওই তলবের বিপরীতে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা মেলেনি।