খুঁজুন
বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৫ মাঘ, ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রিতে নতুন রেকর্ড, নেপথ্যে ২ যুদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:২৮ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রিতে নতুন রেকর্ড, নেপথ্যে ২ যুদ্ধ

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি রেকর্ড ৩১ হাজার ৮৭০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যমতে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজায় গণহত্যায় অভিযুক্ত ইসরায়েলের কাছে ১ হাজার ৮৮০ কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তিও।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৮০ কোটি ডলারের, যা ২০২৩ সালের ১৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতায় সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি আগের বছরের ৮ হাজার ৯০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১১ হাজার ৭৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তুরস্কের জন্য ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং উন্নয়ন প্রকল্প, রোমানিয়ার জন্য ২৫০ কোটি ডলারের এম১এ২ আব্রামস ট্যাংক এবং ইসরায়েলের জন্য এফ-১৫ যুদ্ধবিমান।

তবে, অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম প্রোপাবলিকা জানিয়েছে, তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরাসরি সতর্কতা উপেক্ষা করেছিলেন এবং গাজার যুদ্ধের মধ্যেও অস্ত্র সরবরাহ অনুমোদন করেছিলেন।

ইসরায়েলি বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে গাজায় ৪৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে চালানো হামলায় গাজার একাধিক শহর পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সাবেক বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের কথিত গণহত্যার পেছনে অর্থায়নের অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অস্ত্রের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন অস্ত্র নির্মাতারা উৎপাদন চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে। একই সঙ্গে, কিয়েভে অস্ত্র পাঠানোর কারণে নিজস্ব মজুত বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, বিশ্বের অন্যান্য দেশও নিজেদের অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে প্রতিযোগিতা করছে।

২০২৪ সালে অনুমোদিত চুক্তিগুলোর কারণে মার্কিন অস্ত্র নির্মাতাদের কাছে বিপুল অর্ডার জমা হচ্ছে। ফলে তারা আর্টিলারি গোলা, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা।

সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের যাত্রীরা। এ অবস্থায় আন্দোলনরত কর্মচারীদের কর্মবিরতি থেকে সরিয়ে আনতে তাদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কিন্তু দুই ঘণ্টা আলোচনা করেও কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক থেকে উঠে গেছেন নেতারা।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব-মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এর আগে, ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন মাননীয় উপদেষ্টা।

এদিকে রেল কর্মচারীদের আর কোনো দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি, তা যতটুকু সম্ভব পূরণ করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে কেন? মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি।

তিনি বলেন, ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।

অন্যদিকে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে পিছু হটবেন না তারা। অথচ অগ্রীম টিকিট কেটে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছে যাত্রীরা। তবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস কতোটুকু সাপোর্ট দিতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ণ
আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।

জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৩ অপরাহ্ণ
জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে। জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে কী হয়, তারই প্রমাণ সেদিন হয়েছিল। মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাইছে। এই আস্থা যারা নষ্ট করবে তারা ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় বা খারাপ কাজ করলে যেকোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না বিএনপি। বিএনপি জনপ্রিয় কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। ফলে জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে। আজ মঙ্গলবার খুলনায় বিএনপির কর্মশালায় দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কারো পক্ষে একাকী সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাইতো বিএনপি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়।

তিনি বলেন, ধর্ম কোনো পরিচয় নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা বাংলাদেশি। মুসলমানদের জন্য যে আইন, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যও সেই আইন বাংলাদেশে।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দীন, ডা. শহিদুল আলম, বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জাবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আতিকর রহমান রুমন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার বানু, মাহবুবা হাবিবা, বজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব আব্দুল আলিমসহ অনেকে।