খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১৩ চৈত্র, ১৪৩১

সিআরপিসির ১৭টি ধারায় ক্ষমতা প্রদান

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ?

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ণ
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ?

সম্প্রতি ছাত্রজনতার আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারকে। আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ বেশ পোক্ত হাতে কন্ট্রোল করেছে সেনাবাহিনী। এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।’

এতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭টি ধারায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসকল ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।

যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনীঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে মঙ্গলবার যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭টি ধারায় সেনা কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ এবং ১৪২ ধারা অনুযায়ী সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

>>>ফৌজদারি কার্যবিধির এসব ধারা অনুযায়ী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন থেকে সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবেন, দিতে পারবেন জামিনও।

>>>বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবে তারা। বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি করতে পারবে।

>>>নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা আটকে মিছিল সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের।

>>>প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে সেনা কর্মকর্তারা বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন। একই সাথে এটি বন্ধে বেসামরিক বাহিনীকেও ব্যবহার করতে পারবে সেনাবাহিনী।

>>>এছাড়াও স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন আদেশ জারি করতে পারবে, আটক করতে পারবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও।

এবিষয়ে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. নুরুল হুদা গণমাধ্যমে বলেন, “কমিশন্ড সেনা কর্মকর্তারা যখন চার্জ নিবে, তখন তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার এক্সেস করতে পারে।”

“একনজরে সিআরপিসির ধারা সমূহ”
ধারা ৬৪:
এ ধরায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে বলা আছে। এই ধারার ভাষ্য হচ্ছে, যখন ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান, তাঁর সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তখন তিনি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেন অথবা গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে পারেন।

ধারা ৬৫:
এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অথবা তাঁর উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারের বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। ৬৫ ধারার ভাষ্য, বিচারের জন্য গ্রহণ করার পর তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। অথবা তাঁকে তিনি গ্রেপ্তারের হুকুম দিতে পারেন।

ধারা ৮৩:
এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাইরে কার্যকর করা দরকার, তখন আদালত পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ না দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলার পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার বরাবর ডাকযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠাতে পারবেন। অর্থাৎ যে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন, তিনি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দিতে পারেন। আবার যাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে, তিনি যদি ম্যাজিস্ট্রেটের এলাকার বাইরের লোক হন, তখন পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারের কাছে পাঠাবেন।

ধারা ৮৪:
এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের বাইরের এলাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৪ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, বাইরের এলাকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট অথবা উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমোদন নেবেন। এ অনুমোদন দেওয়া হলে ধরে নেওয়া হবে, যাঁরা অনুমোদন দিয়েছেন, তাঁরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন।

ধারা ৮৬:
এ ধারায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেট যে পদ্ধতি অনুসরণ করবেন, সেটি বর্ণনা করা হয়েছে। ৮৬ ধারার ভাষ্য, বাইরের এলাকায় গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে ওই এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর যে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন, সেই আদালতে তাঁকে পাঠাতে হবে। জামিন, মুচলেকা ইত্যাদির বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আইন মোতাবেক আদেশ দিতে পারবেন।

ধারা ৯৫(২):
এ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, কেবল ম্যাজিস্ট্রেটরা ডাক বা টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষকে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে দলিল অর্পণ করতে বলতে পারেন। একই সঙ্গে ডাক ও টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ দ্বারা ওই সব বস্তুর জন্য তল্লাশি পরিচালনা বা আটক করতে পারেন।

ধারা ১০০:
এ ধারায় অন্যায়ভাবে যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের উদ্ধার করার বিষয়ে বিধান কী, তা বলা আছে। এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এমন বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে কোনো ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়েছে, যাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়। তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে উদ্ধারে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। পরোয়ানা অনুযায়ী তল্লাশির পর যদি আটক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন।

ধারা ১০৫:
এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তল্লাশির বিধান বর্ণনা করা আছে। সিআরপিসির ১০৫ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, নিজের উপস্থিতিতে তল্লাশি করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটে আদেশ দিতে পারেন। যে স্থান তল্লাশির জন্য তিনি হুকুম দিতে পারেন, সেই স্থানে তল্লাশির সময় সশরীর উপস্থিত থাকতে পারেন।

ধারা ১০৭:
এ ধারায় শান্তি রক্ষা ও সদাচরণে মুচলেকার বিষয় বলা আছে। সিআরপিসির ১০৭ ধারার ভাষ্য, যখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয় যে কোনো ব্যক্তি শান্তি ভঙ্গ করতে পারেন বা সর্বসাধারণের প্রশান্তি বিনষ্ট করতে পারেন বা এমন কোনো কাজ করতে পারেন, যাতে শান্তি ভঙ্গ হতে পারে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন, তাহলে ওই ব্যক্তিকে শান্তি রক্ষার জন্য এক বছরের অনধিক সময়ের মুচলেকা দেওয়ার জন্য কারণ দর্শাতে বলতে পারেন।

ধারা ১০৯:
এ ধারায় ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির সদাচরণের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১০৯ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পান যে কোনো ব্যক্তি তাঁর উপস্থিতি গোপন করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছেন অথবা যাঁর জীবিকা নির্বাহ করার কোনো প্রকাশ্য পন্থা নেই, তখন ম্যাজিস্ট্রেট ওই ব্যক্তিকে এক বছরের অনধিককালের জন্য মুচলেকা দেওয়ার কারণ দর্শাতে বলতে পারবেন। অর্থাৎ এ ধারা প্রয়োগ হবে, যখন কোনো ব্যক্তি অপরাধ করার জন্য লুকিয়ে থাকার চেষ্টায় লিপ্ত থাকেন অথবা জীবিকা অর্জনের প্রকাশ্য ব্যবস্থা নেই।

ধারা ১১০:
এ ধারায় অভ্যাসগত অপরাধীদের সদাচরণে মুচলেকার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১১০ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো ম্যাজিস্ট্রেট খবর পান, তাঁর এখতিয়ারসীমার মধ্যে অভ্যাসগত দস্যু, গৃহভঙ্গকারী, চোর বা জালিয়াত অথবা চোরাই মাল গ্রহণকারী অথবা চোরদের আশ্রয় দিয়ে থাকেন অথবা চোরাই মাল গোপন বা হস্তান্তর করতে সাহায্য করেন অথবা অভ্যাসগতভাবে অপহরণ, বলপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের মতো অপরাধ করেন বা চেষ্টা করেন অথবা সহায়তা দেন অথবা অভ্যাসগতভাবে শান্তিভঙ্গ–সম্পর্কিত অপরাধ করেন বা করার চেষ্টা করেন বা সহায়তা করেন, তখন ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের অনধিককালের জন্য মুচলেকা দেওয়ার আদেশ কেন দেওয়া হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলতে পারবেন। অর্থাৎ যাঁরা অভ্যাসগতভাবে বারবার চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, প্রতারণার কাজে লিপ্ত হন, তাঁদের কাছ থেকে মুচলেকা নেবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

ধারা ১২৬:
এ ধারায় জামিনদারদের অব্যাহতির বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। সিআরপিসির ১২৬ ধারার ভাষ্য, কোনো ব্যক্তির শান্তিপূর্ণ আচরণ বা সদাচরণের জন্য কোনো জামিনদার যেকোনো সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সম্পাদিত কোনো মুচলেকা বাতিলের আবেদন করতে পারবেন। এমন আবেদন পাওয়ার পর যে ব্যক্তির জন্য জামিনদার দায়ী, তাঁকে হাজির হওয়ার বা হাজির করার জন্য সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থাৎ অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে যিনি জামিনদার হন, তাঁর ওপর কিছু দায়িত্ব বর্তায়। যদি তিনি মনে করেন, তাঁর পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়, তখন আদালতের কাছে আবেদন করতে পারেন।

ধারা ১২৭:
এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশের আদেশে জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গসংক্রান্ত বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কোনো থানার ওসি কোনো বেআইনি সমাবেশ অথবা সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে—এমন পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে কোনো সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হওয়ার আদেশ দিতে পারেন।

ধারা ১২৮:
এ ধারায় জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি প্রয়োগের বিধান বর্ণিত হয়েছে। সিআরপিসির ১২৮ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, আদেশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যদি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ না হয় অথবা ছত্রভঙ্গ না হওয়ার সংকল্প প্রকাশ পায়, তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা থানার ওসি বলপূর্বক সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারবেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আটক কিংবা গ্রেপ্তারও করা যাবে।

ধারা ১৩০:
এ ধারার ভাষ্য, যখন কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা কমিশনপ্রাপ্ত নন এমন কর্মকর্তা, যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সেনাদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁকে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার কাজে এবং গ্রেপ্তার ও আটক করার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজনবোধে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অথবা শাস্তি দেওয়ার জন্য তাঁদের গ্রেপ্তার বা আটক করাতে পারবেন। অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিরক্ষা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগের দ্বারা সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে তিনি সামরিক কর্মকর্তাকে আহ্বান করতে পারেন। সামরিক কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী, আদেশ অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার ও আটক করতে পারেন। তবে তাঁরা শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল হবেন।

ধারা ১৩৩:
এ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, যখন কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা অন্য কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনো সংবাদ পান যে জনসাধারণ আইনসংগতভাবে ব্যবহার করছেন বা করতে পারেন—এমন কোনো পথ, নদী বা খাল থেকে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থান থেকে বেআইনি বিঘ্ন বা উপদ্রব অপসারণ প্রয়োজন অথবা কোনো ব্যবসা বা পেশা পরিচালনায় অথবা কোনো মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য রাখা স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য বা শারীরিক আরাম-আয়েশের পক্ষে ক্ষতিকর, সে জন্য এমন ব্যবসা বা পেশা নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত হওয়া প্রয়োজন অথবা এমন মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য অপসারণ হওয়া দরকার অথবা কোনো ঘরের নির্মাণকাজে অথবা কোনো ঘরে, তাঁবু বা কাঠামো বা কোনো গাছ এমন অবস্থায় রয়েছে, যা পড়ে যেতে পারে; যাতায়াতকারীদের ক্ষতির কারণ ঘটাতে পারে, যে কারণে ঘর বা তাঁবু অপসারণ বা গাছ অপসারণ বা ঠেকা দেওয়া প্রয়োজন অথবা জনসাধারণের বিপদ থেকে নিবারণের জন্য কোনো পথ বা সর্বসাধারণের ব্যবহার করা স্থানের কাছে পুষ্করিণী, কূপ বা খন্দকের চারদিকে বেড়া প্রয়োজন অথবা কোনো বিপজ্জনক প্রাণী বিনষ্ট, আটক বা অন্য কোনোভাবে বিলি-ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তখন ম্যাজিস্ট্রেট যে ব্যক্তি বাধা অথবা উপদ্রব সৃষ্টি করছেন অথবা এমন ব্যবসা বা পেশা চালাচ্ছেন অথবা এমন মালপত্র বা পণ্যদ্রব্য রাখিয়েছেন অথবা ঘর, তাঁবু, কূপের মালিক দখলদারদের ওই সব বাধা অপসারণ করার আদেশ দিতে পারবেন।

ধারা ১৪২:
সিআরপিসির ১৪২ ধারার ভাষ্য হচ্ছে, ১৩৩ ধারা অনুসারে আদেশ দেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন, জনসাধারণের প্রতি গুরুতর রকমের আসন্ন বিপদ বা ক্ষতি প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন, তাহলে তিনি মীমাংসা সাপেক্ষে বিপদ মোকাবিলা বা ক্ষতি প্রতিরোধে জন্য যেরূপ প্রয়োজন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ হয়েছে, তাঁর সেরূপ আদেশ জারি করবেন। এরপরও যদি আদেশ না মানেন, তখন বিপদ মোকাবিলা বা ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ ভালো মনে করেন, নিজে সেরূপ পন্থা অবলম্বন করবেন অথবা অবলম্বন করাবেন। এই ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা চলবে না।

মূলত সরকার পতনের পর থেকেই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা টালমাটাল। বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, কথিত হাইব্রিড নেতাদের চাঁদাবাজি, ক্ষমতার মহড়া, শিল্প কারখানা বিশেষ করে পোশাক কারখানা গুলোতে নানামুখী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ চোখে পড়ার মতো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইতিবাচক মাত্রায় নিয়ে আসতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই এ্যাক্টিভ থাকতে হবে। যেহেতু পুলিশ এখনো তাদেরকে গুছিয়ে নিতে পারেনি। তাই সেনাবাহিনীকে দিয়েই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।”

তুরস্কে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শেষ, টিকে গেলেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ২:১১ পূর্বাহ্ণ
তুরস্কে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শেষ, টিকে গেলেন এরদোগান

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে গ্রেফতার করার পর তুরস্কজুড়ে যে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। গত ১৯ মার্চ থেকে টানা ৭ দিন আন্দোলন করার পর বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফিরে গেছে। অর্থাৎ ষড়যন্ত্রের ইতি ঘটিয়ে বিজয়ী হলেন আধুনিক সুলতান খ্যাত রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ান।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিক্ষোভের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দেশটির প্রধান বিরোধীদল সিএইচপির নেতা ওজগুল ওজেল। বলেন, ‘আমরা ৭ দিন সফলভাবে আন্দোলন করেছি। আমরা এখন এই ময়দান থেকে চলে যাব। আন্দোলন নতুন ফরমেটে যাবে। আমরা ইস্তাম্বুলের প্রতিটি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল করব। আমরা ঈদের দিন ঈদ জমায়েত করব। আজ ময়দান থেকে চলে যাওয়ার সময় যদি আমাদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর আবারও পিপার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়, আবারও লাঠিচার্জ করা হয়, তাহলে আমরা ৫ লাখ লোক নিয়ে আবারও ময়দানে ফিরে আসব। আমরা মাথানত করিনি। করব না’।

এদিকে সরকার পতনের এই আন্দোলনকে ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সমঝোতার মাধ্যমে কোনো রক্তপাত ছাড়াই এতবড় আন্দোলনকে থামিয়ে দিয়ে তিনি তুরস্কের রাজনীতির অপ্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড় হিসাবে নিজেকে আবারও প্রমাণ করলেন। আপাতত তুরস্ক বড় ধরনের অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেল।

দুই বারের নির্বাচিত ইস্তাম্বুলের মেয়র ইমামোগলু দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করার পর সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তুরস্কের প্রধান বিরোধীদল সিএইচপি। টানা ৭ দিন ধরে ইস্তাম্বুল সিটি কর্পোরেশন অফিসের সামনে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মীকে হাজির করাতে সক্ষম হয় দলটি। এতে তুরস্কের মুদ্রার মান কমে গিয়েছিল ৬ শতাংশ। এই সফলতা মেয়রের কারামুক্তির আন্দোলনকে এরদোগানের পতন আন্দোলনে রূপান্তর করে।

বিশ্ব মিডিয়ার চোখে আন্দোলন:

তুরস্কের এরদোগান বিরোধী এই আন্দোলন বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক কাভারেজ পায়। সে সঙ্গে বাংলাদেশি মিডিয়াও গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে। এরদোগানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলতে থাকে। কেউ কেউ এটিকে এরদোগানের ক্ষমতার শেষ সময় বলে প্রচার করেন। বাংলাদেশি মিডিয়ায় যেসব সংবাদ প্রচার হয় তার বেশিরভাগ পশ্চিমা মিডিয়ার সংবাদের অনুবাদ। যে প্রতিবেদনগুলোতে বেশিরভাগ সময় উঠে এসেছে এরদোগান বিরোধীদের বক্তব্য। তবে এরদোগানের সমর্থক বা তুরস্কের সাধারণ জনগণের বক্তব্য খুব একটা চোখে পড়েনি। ফলে প্রায়ই তুরস্কের সঠিক চিত্রটি ধরতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের মিডিয়া।

আন্দোলন ব্যর্থ হলো যেভাবে:

এই আন্দোলনে বিরোধীদল তাদের প্রচুর নেতাকর্মীদের জড়ো করতে সফল হলেও সাধারণ জনগণকে খুব একটা টানতে পারেনি। ফলে এটি গণআন্দোলনে রূপ নেয়নি। কারণ ইস্তাম্বুলের মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক দিনের এবং তাকে মেয়রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও সোশ্যাল মিডিয়াতে চাউর ছিল। তার দলের থেকে কেউ তাকে দুর্নীতি মুক্ত বলতে পারেনি। বরং তার দলের একটি অংশই গোপনে তার দুর্নীতির দলিল দস্তাবেজ তুলে দিয়েছে আদালতের হাতে।

উদাহরণ স্বরূপ- একটি কোম্পানিকে ৩২২ মিলিয়ন লিরার টেন্ডার দিয়েছে ইস্তাম্বুল সিটি কর্পোরেশন, সেই একই হিসাব থেকে ২ দিন পর ইমামোগলুর ব্যক্তিগত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৫০ মিলিয়ন লিরা প্রবেশ করেছে। এই জাতীয় অনেক দুর্নীতির ফাইলগুলো এখন ঘুরেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রমাণগুলোকে মিথ্যা বলতে পারছে না বিরোধীদল। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ৫৫৬ বিলিয়ন লিরার ফান্ড তসরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ বলছে, তদন্ত হোক, নির্দোষ হলে ছাড়া পাবে, দোষী হলে সাজা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

একদিকে দুর্নীতির প্রমাণ অন্যদিকে দলের ভেতরের অন্তর্কোন্দলে এই আন্দোলন টিকতে পারেনি। সেই সঙ্গে তুরস্কে এই মুহূর্তে এরদোগানের বিরুদ্ধে বড় কোনো জনঅসন্তোষ নেই। অর্থনীতি আগের চেয়ে ভালো। রপ্তানি আয় বাড়ছে। রিজার্ভ ১৭০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফলে নির্ভার ছিল এরদোগান।

যেভাবে আন্দোলন শান্ত করলেন এরদোগান:

প্রথম দিকে বিরোধীদলের এই আন্দোলন ছিল চমত্কার সুশৃঙ্খল। প্রতিরাতে নিয়ম করে তারা সিটি অফিসের সামনে জড়ো হতো। দিনে সবাই যার যার কাজে চলে যেত। কিন্তু পরবর্তীতে তুরস্কের নিষদ্ধি ঘোষিত কিছু দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ হাজারের বেশি (১,১৩৩) বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে।

পরে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের একটি সমঝোতা হয়। সেখানে সিটি মেয়র কারাগারে থাকায় সেখানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ না দিয়ে বরং বিরোধীদলের থেকেই একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদে নির্বাচনের ব্যাপারে অঙ্গীকার করা হয়। এতো সিটি কর্পোরেশন কার্যত বিরোধীদলের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে। এতে সন্তুষ্ট হয়ে আন্দোলন সমাপ্তির ঘোষণা দেয় প্রধান বিরোধীদল। এতে একদিকে যেমন এরদোগানের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পর্দার আড়ালে চলে গেল। একই সঙ্গে তুরস্ক বড় ধরনের ঝামেলা থেকে রেহাই পেল। শক্তি প্রয়োগ না করে কেৌশলে বিরোধীদলকে ম্যানেজ করে ফেলেছেন এরদোগান।

তুরস্কে আগামী দিনের রাজনীতি:

আসলে সময়টা এরদোগানের পক্ষে ছিল। এই আন্দোলনে বিরোধীদল অন্য কোনো বিরোধীদলের সমর্থন পায়নি। কুর্দিরা সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আছে। তাই আন্দোলনে যোগ দেয়নি। অন্য দলগুলোও সিটির কাজের ভাগ না পাওয়ার অভিমানে আন্দোলনে আসেনি। এদিকে তুরস্কে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে ট্রাম্প। এরদোগানকে বলেছেন ভালো লিডার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আমেরিকা সফরে গেছেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে উষ্ঞ সম্পর্কের আভাস পাওয়া গেছে। সিরিয়ায় ইরানি প্রভাব ঠেকাতে এরদোগানকে পাশে দরকার ট্রাম্পের।

সামনে এরদোগানের প্রধান চ্যালেঞ্জ মুদ্রাস্ফিতি আরও কমিয়ে আনা। অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা। ততদিনে মানুষ ইমামলুর প্রতি মানুষের আবেগ কমে আসতে পারে। সুবিধাজনক পরিস্থিতি দেখতে আগাম নির্বাচন দিয়ে নিজেকে আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করবেন এরদোগান। এই ধরনের জল্পনা রয়েছে তুরস্কে। বড় কোনো ঝামেলা তৈরি না হলে তুরস্কে আবারও এরদোগানই আসছেন।

সিংড়ায় স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির আলোচনা সভা

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ২:০০ পূর্বাহ্ণ
সিংড়ায় স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির আলোচনা সভা

নাটোরের সিংড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।

বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করে দলটি।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এস এম নইমুদ্দিন মন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী দাউদার মাহমুদ।

এছাড়াও বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তায়েজুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, ডাহিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি প্রফেসর খালেকুজ্জামান, উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বাবু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মমিন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আমিনুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল মোমিনীন নিশান প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

সিংড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জামায়াতের র‍্যালি

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
সিংড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জামায়াতের র‍্যালি

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নাটোরের সিংড়ায় র‌্যালি ও দোয়ার আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী।

বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় সিংড়া উপজেলা ও পৌর জামায়াতের আয়োজনে একটি র‌্যালি বের হয়ে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয় থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা স্মৃতিসৌধের সামনে এসে সমাবেশ করে।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আ ব ম আমান উল্লাহ্’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আফছার আলী, মাস্টার জয়নাল আবেদীন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা সাদরুল উলা, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক এনতাজ আলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল মন্নাফ, উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো. সেলিম হোসেন, আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিক কামরুল, মীর মো. কুতুবুল আলম, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইমরান ফরহাদ, সেক্রেটারী মো. আল-আমিন প্রমুখ।