খুঁজুন
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ, ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি শায়খ আহমাদুল্লাহর খোলা চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি শায়খ আহমাদুল্লাহর খোলা চিঠি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি খোলা চিঠি লিখেছেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই খোলা চিঠি পোস্ট করেন তিনি।

আমাদের পাঠকদের জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

“মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি খোলা চিঠি”

বিষয়: আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তার প্রেরিত রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা দেখে একে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

বিশেষভাবে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির একজন সদস্যের বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তার বিতর্কিত ভূমিকা জনমনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সাম্প্রতিক আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।

একই ধরনের কর্মকাণ্ড পৌনঃপুনিক হওয়ায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে যৌক্তিক ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের স্ফূরণ ঘটলে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। সেরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আন্তরিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আশু কর্তব্য। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে তা জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে দেবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সব সমাজেরই কিছু আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। তা রক্ষা করা, তাকে সম্মানের চোখে দেখা, নিদেনপক্ষে তাকে অবজ্ঞা না করাই সামাজিক রীতি এবং সাংবিধানিক কর্তব্য। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত এর উল্টোটাই করে চলেছে। এ কারণে এই দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হয়। নতুন বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আবু সাঈদসহ অভ্যুত্থানের শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক। এই বিপ্লবে ইসলামপ্রিয় মানুষদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা ছিল মুখ্য। ইসলাম ধর্মের সাম্যের বাণী তাদেরকে আন্দোলনের প্রেরণা যুগিয়েছে। এজন্য এই সরকারের প্রতি ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা অনেক। আশা করি- সরকার জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে, মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে, সরকার এরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করবে, যা দেখে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে পারবে। মানুষ যদি দেখে তাদের আবেগ-অনুভূতিতে নিয়মিত আঘাত করা হচ্ছে, জন-প্রত্যাশাকে পদদলিত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে কিন্তু সরকার তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না- তাহলে তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দেশের মানুষ যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারায়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। অতএব সময় থাকতেই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন।

আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যাশা করি- সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করবে, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ধর্ম অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে সরকারি কোনো প্রকল্পে যুক্ত করবে না, যুক্ত করে থাকলে বরখাস্তপূর্বক শাস্তির আওতায় আনবে এবং এ ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করবে।

অতএব, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ- অনতিবিলম্বে এই ধরনের কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করুন যে, তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট থাকবে। মহান আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন এবং আপনাকে জাতির সেবায় নিয়োজিত রাখুন।

বিনীত

আহমাদুল্লাহ

নারীর উস্কানিতে প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার ৩

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ
নারীর উস্কানিতে প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার ৩

বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই নারীর উস্কানিতে দলবদ্ধভাবে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এদিন রাসেল সরোয়ার বলেন, আজ সোমবার ভোরে বনানী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার তিনজনের কেউই এজহারভুক্ত আসামি না।

এরআগে, রোববার ভোরে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির।

রাসেল সারোয়ার বলেন, মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্যক্ত করার মিথ্যা অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তারই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে কথা হয় ঘটনাস্থল ও প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনের সাথে। তারা সম্পূর্ণ দোষারোপ করছেন দুই মেয়েকে। তাদের ভাষ্যমতে, “নিহত পারভেজ স্বভাবসুলভ ভাবেই সেখানে বসে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন এবং বন্ধুর সাথে গল্পের সময় হাসছিলেন। হঠাৎ দুই দুইটা মেয়ে পারভেজকে দেখে বলে- আমাদেরকে দেখে হাসছেন কেনো ? ব্যস, ঝামেলার শুরু। তখন ওই দুই মেয়ে তাদের কিছু বন্ধু ডেকে আনে। এরপরের ঘটনা আপনারা সবাই জানেন। আমরা চাই, সবার আগে ওই দুই বদমাশ মেয়ের শাস্তির হোক। তারপর বাকি সন্ত্রাসীদের শাস্তি হোক।”

বেলকুচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময় সভা

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতবিনিময় সভা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নেতৃবৃন্দদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বসুন্ধরা মদন মোহন সেবা সদন মন্দির প্রাঙ্গনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মদন মোহন সেবা সদন মন্দিরের সভাপতি বৈদ্য নাথ রায়ের সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বেলকুচি উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি মুসা হাশেমীর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকার।

এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জুলাই বিপ্লব ঘটেছিলো সকল ধর্মের মানুষের সামগ্রিক প্রচেষ্টায়। সুতরাং নতুন বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রতন সাহা, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মো: ইফতেখার আলম আসাদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সাইফুল ইসলাম, মদন মোহন সেবা সদনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম সাহা, সহ-সভাপতি প্রদীপ সাহা, রনজিৎ সাহা, সন্তোষ সাহা, গৌতম সাহা, অমৃত নারায়ন দে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা, সাধারন সম্পাদক রনি কুমার মিত্র প্রমূখ।

আসছে বড় বিনিয়োগ

বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

মোঃ মাহফুজুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো আজ রোববার (২০ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়।

বৈঠকে উভয়পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পর্যালোচনা করেন এবং তা আরও সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনায় বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত উঠে আসে। উভয় পক্ষই এ খাতগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হন।

এর আগে সকালে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে চীন। এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডের সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি টীকা চায়নার থেকে কিনেছে বাংলাদেশ। ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি হাসপাতাল করতে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়া, একটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি নিয়েও আলোচনা চলছে।