খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

এবার এক দিনেই শেষ হবে লালন স্মরণোৎসব, থাকছে না মেলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
এবার এক দিনেই শেষ হবে লালন স্মরণোৎসব, থাকছে না মেলা

প্রায় দু’শ বছর আগে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ তার জীবদ্দশায় চৈত্রের দোলপূর্ণিমা তিথীতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ভক্তদের খাটি করে গড়ে তুলতে লালন শাহ কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় নিজের এই আখড়া বাড়িতে সাধুসঙ্গ করতেন।

১২৯৭ বঙ্গাব্দে মরমী সাধক লালন ফকিরের মৃত্যুর পর থেকে লালন স্বরণোৎসব নামে ওই উৎসব চালিয়ে আসছে তার ভক্তরা। আধ্যাত্বিক জগতের মহাগুরু লালনকে স্মরণ করে, অজানাকে জানতে, জ্ঞান সঞ্চয়, আত্মার শুদ্ধি ও মুক্তির লক্ষে দিনক্ষন ঠিক রেখে দেশ বিদেশ থেকে লালন ভক্তরা এই উৎসবে এসে যোগ দেন।

তবে এবার পবিত্র রোজার মধ্যে লালন উৎসব স্বল্প পরিসরে হওয়ায় সাধু ভক্তদের উপস্থিতিও কম। বাউল মেলা, সঙ্গীতানুষ্ঠান না থাকায় তেমন কোন দর্শনার্থীও নেই। তবে অনুসারী যারা এসেছেন তারা লালনের রীতি মেনে সাধু সঙ্গ করবেন।

বৃহষ্পতিবার (১৩ মার্চ) একাডেমির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও আগামীকাল ১৪ মার্চ দুপুরে পূর্ণসেবা গ্রহন করে বাউলরা আখড়াবাড়ি ছেড়ে যাবেন।

লালন একাডেমি আজ ১৩ মার্চ বিকেলে আখড়াবাড়িতে একাডেমির মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্যেই শেষ করবেন লালন স্বরণোৎসব।

লালন মাজারের খাদেম খোদা বক্স ফকির জানান, আজ সন্ধ্যায় আমরা গুরুকার্যে বসবো। ভোরে সেহরীর পূর্বেই আমরা বাল্য সেবার মধ্য দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শেষ করবো। তবে যদি কেউ দুপুরে থাকে তাহলে তারা নিজেদের কাফেলায় নিজেদের উদ্যোগে পূণ্য সেবা নিবে। আমরা সকালেই সবাইকে বিদায় দিয়ে দেবো।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সত্যের বাণী প্রচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের মানবতার ধর্ম প্রচার করি। এজন্য কারও ধর্মের মানুষ কষ্ট পাক এটা আমরা চাই না।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি তৌফিকুর রহমান জানান, লালন স্মরণোৎসবের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-র‌্যাব এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পরের উৎসবে একতারা দ্বোতারা আর ঢোল বাশির সুরে ও আধ্যাত্মিক গানে প্রকম্পিত হয়ে উঠবে লালন আখড়াবাড়ি, এমনটাই প্রত্যাশা লালন ভক্তদের।

ভারত নিয়ে ব্রিগে. আমান আযমীর পোস্ট ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৫৩ অপরাহ্ণ
ভারত নিয়ে ব্রিগে. আমান আযমীর পোস্ট ভাইরাল

পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের সেনাপ্রধান প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন নজির নেই: ব্রিগেডিয়ার আমান আযমী।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আজমের মেজো ছেলে সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, ভারতের গোলামদের অব্যাহত গোলামীর ফলে শকুনদের ধৃষ্টতা এত বেড়েছে যে, শকুন সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সম্পর্কিত রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার সাহস দেখায়। বদমায়েশটা এই কথা বলার সাহস পায় কিভাবে যে, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন হলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে’?

তিনি লিখেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন দেশের সেনাপ্রধান প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার কোন নজির নেই।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার পোস্ট মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই পোস্টে ভারতকে তুলোধুনো করে কমেন্ট করছেন হাজার হাজার ফেইসবুক ব্যবহারকারী।

বিজিবির সাবেক প্রধান সাফিনুলের সস্ত্রীক বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
বিজিবির সাবেক প্রধান সাফিনুলের সস্ত্রীক বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এদিন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে বিচারক তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

প্রচলিত আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন, পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বলা আছে, (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হয়েছে এরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তদ্‌সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। (২) উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হলে ওই লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

‘কিন্তু আইনে স্পষ্ট বিধান সত্ত্বেও স্পর্শকাতর এই ঘটনায় মাগুররা ভিকটিম শিশুর ছবি, ভিডিও ও তার পরিচয় শনাক্তকরণের তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশকিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা নিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।

আদালত এ সময় মন্তব্য করেন, শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪ ধারা অমান্যে যে শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। তাই আদালত তার অপর আদেশে, ভুক্তভোগী শিশু ও তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এজন্য ঢাকা ও মাগুর জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ’

‘অথচ আইনের বিধি-নিষেধ এবং হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও যশোরের এক নারী বাইকার কর্তৃক পরিচালিত ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিতামূলক ভিডিওধারণ করা হয়। ওই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিওধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ’

তাই ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়, এমন সব ভিডিও-পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’ পেজে-চ্যানেল থেকে প্রচারিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।