খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র, ১৪৩১

পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অঙ্গীকার

বিগত সময়ের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা হবে নির্বিঘ্ন, হয়রানি মুক্ত

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
বিগত সময়ের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা হবে নির্বিঘ্ন, হয়রানি মুক্ত

আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ঈদের ছুটিতে বাস টার্মিনালে ঘরমুখো যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ, ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টি থেকে পরিবহন চালক-শ্রমিক-যাত্রীকে রক্ষা, নারীদের নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করার বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, বিগত বছরগুলোতে ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রী হয়রানি চরমে ছিল। যাত্রীদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। আর কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে হয়রানি-লাঞ্ছিত করা হতো। এ ছাড়া সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণে দুর্ঘটনায় হাজারো মানুষের জীবন গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ চায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এ জন্য পরিবহন খাতের সব অংশীজনের সহযোগিতা দরকার। সবাই সহযোগিতা করলে ঈদযাত্রা নিরাপদ হবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সসাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এ ছাড়া সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান প্রমূখ।

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান তিতুমীর শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর বহুল আলোচিত সরকারি ৭টি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি প্রশাসনিক কাঠামোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিতুমীর কলেজকে এই কাঠামোর আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজটি শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেনের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে নতুন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় আমাদের কলেজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও চারজন প্রতিনিধির মধ্যে তিনজনই অকুণ্ঠচিত্তে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট ও সম্মতি ব্যতীত তারা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজি নয়। একইসঙ্গে এ ধরনে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত স্বার্থান্বেষী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের মিটিংকে প্রত্যাখ্যান করেন।

তিনি আরও বলেন, অনুপস্থিত তিনজন শিক্ষার্থীর নাম যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ রনি, মো. মেহেদী হাসান। অন্যদিকে, একজন প্রতিনিধি রেজায়ে রাব্বি জায়েদ, সভায় উপস্থিত হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবির পক্ষে অবিচল থাকার ঘোষণা দেন।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে সরকারি তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি, ঐতিহ্য, আত্মপরিচয় ও মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন। প্রাতিষ্ঠানিক স্বকীয়তা রক্ষায় তারা সবসময় প্রস্তুত। আমরা যেকোনো অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এর আগে, এদিন দুপুরে রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নাম চূড়ান্ত করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

সাতটি সরকারি কলেজ হচ্ছে:
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ।

বিপর্যস্ত অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

দেশের সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যেভাবে

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ণ
দেশের সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যেভাবে

বিগত সরকারের আমলে সকল সেক্টরের পাশাপাশি ব্যাংক খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি ২০২৪ এ এসে পঙ্গু হয়ে যায়। অন্যান্য খাতের মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি ব্যাংক স্মরণকালের ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। সংকটাপন্ন ব্যাংক গুলো পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

>>>সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগের বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

১.পটভূমি এবং সহায়তা:
২০২৪ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি সংকটাপন্ন ব্যাংকের পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই ব্যাংকগুলো মূলত দুর্নীতির কারণে সমস্যায় পড়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা তাদের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে। এই ব্যাংকগুলোকে নতুন শাসনব্যবস্থায় পরিচালনার জন্য তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।

২.যে ব্যাংকগুলো পুনরুদ্ধার করেছে:
এই ১১টি ব্যাংক থেকে ৬টি ব্যাংক ইতোমধ্যে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা মূলত জমা সংগ্রহ এবং গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এই অবস্থায় পৌঁছেছে।

পুনরুদ্ধারের পথে এগোনো ব্যাংকগুলো হল:
১.ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২.সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (SIBL)
৩.EXIM ব্যাংক
৪.ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB)
৫.IFIC ব্যাংক
৬.আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

এই ব্যাংকগুলো আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তরফ থেকে তরলতা সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ তারা ইতোমধ্যে তাদের সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।

৩.অপ্রদর্শিত ঋণের (NPLs) উদ্বেগ:
ব্যাংকিং খাতে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হলো অপ্রদর্শিত ঋণের (Non-Performing Loans বা NPLs) বৃদ্ধি। অনেক ঋণ যা আগে গোপন ছিল তা এখন প্রকাশ পাচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর লাভজনকতা প্রভাবিত করতে পারে। প্রয়োজন হলে, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ মাফ বা শোধে কিছু সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

৪.যে ব্যাংকগুলো এখনও সমস্যায়:
৫টি ব্যাংক এখনো সংকটে রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো তাদের জমাকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেনি, যার কারণে তাদের তরলতার সমস্যা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তরলতা সহায়তা প্রোগ্রামের শেষ হয়ে গেলেও, এই ব্যাংকগুলো এখনও দৈনিক তরলতা সহায়তার জন্য আবেদন করছে। ঋণ পুনঃপ্রদান সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে, যার কারণে অন্যান্য ব্যাংকগুলো আরও ঋণ দিতে অস্বীকার করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এই প্রোগ্রামটি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

৫.আইনি পরিবর্তন (ব্যাংক রেজোলিউশন আইন):
বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে ব্যাংক রেজোলিউশন অর্ডিন্যান্স ২০২৫ চূড়ান্ত করার কাজ করছে। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্ক্রিয় ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারবে, যেমন: অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ, নতুন বা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ, তৃতীয় পক্ষের কাছে শেয়ার বা সম্পদ হস্তান্তর, কিংবা ব্যাংকগুলো বিক্রি করা।

৬.ব্যাংকভিত্তিক বিস্তারিত:
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ:
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকটি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করেছে। গত ৬ মাসে, ব্যাংকটি নতুন ১৭,০০০ কোটি টাকা জমা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে।

IFIC ব্যাংক:
ব্যাংকটি ৪,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি বিশাল জমা প্রত্যাহারের পর তরলতা সংকট কাটিয়ে উঠেছে।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (UCB):
২,৪০০ কোটি টাকা নতুন জমা সংগ্রহ করেছে এবং জুলাই মাসে একটি বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার পর তরলতা সমস্যা সমাধান করেছে।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (SIBL):
এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ শেষ হওয়ার পর, ব্যাংকটি বড় ধরনের জমা প্রত্যাহারের পরও স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

৭.অন্যান্য সমস্যাগুলি:
যতটা পুনরুদ্ধার হয়েছে, ততটা অপ্রদর্শিত ঋণ বৃদ্ধি এবং ঋণ পরিশোধে সমস্যা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকগুলো ভবিষ্যতে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উচ্চমানের সম্পদের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে আগামীতে ব্যাংক থেকে সরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ এবং অপ্রয়োজনে নোট ছাপানো অনেক কিছুর সম্ভাবনা ও সমস্যার হার নির্ধারন করবে।

মূলত এটি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে চলমান পুনরুদ্ধারের একটি প্রক্রিয়া় পরিচালনার জন্য তাদের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, যেখানে ছয়টি ব্যাংক ইতোমধ্যে ফিরে এসেছ। এখন দেখার অপেক্ষা- বাকি ব্যাংকগুলো কবে নাগাদ বা কতো দ্রুত তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে। অথবা আদৌ চলমান সংকট থেকে উত্তরণ হবে কি না, সংশ্লিষ্টদের নজর এখন সেদিকেই।

ছোট মাঠের না, আমরা দুনিয়ার মাঠের খেলোয়াড়: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ণ
ছোট মাঠের না, আমরা দুনিয়ার মাঠের খেলোয়াড়: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না। স্বপ্নের ও সাধের বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে দলবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে হবে। টিমওয়ার্ক জরুরি এবং দেশে যতগুলো টিম আছে তার মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের ১২৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে এসব কথা বলে তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না বাংলাদেশ, ওই যে বললাম, বাংলাদেশ অপূর্ব একটি দেশ। আমরা দুনিয়ার মাঠে খেলি। আমাদের দেখে লোকে হাততালি দেয়। বাংলাদেশ নেমেছে এবার। ওরকম চাই, ওরকম করতে পারি। আমরা বাস্তবেও পারি। আমাদের সে সুযোগ আছে। সেই সুযোগের কথা বারবার বলার চেষ্টা করছি। এ সুযোগগুলো যেন আমরা গ্রহণ করি।

নতুন বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর করণীয় প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অতীত নিয়ে কান্নাকাটি করার দরকার নাই। নতুনের জন্য আমরা প্রস্তুত এবং করে দেখাব। এটা মুখে বলার দরকার নেই। কাজে বলব, যে হ্যাঁ এ হলো নতুন বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী। সবাই বাহবা দেবে যে হ্যাঁ, এ একটা কাজ এবং আশপাশের যারা আছে, তারা বলবে যে ভাই, আপনারা একটা কাজ দেখালেন। এটা আমরা চিন্তা করি নাই, পুলিশের হাত দিয়ে এ কাজ হতে পারে। পুলিশের মাথায় চিন্তা আসতে পারে। কারণ, পুলিশ সম্পর্কে ইমেজ হলো যে তারা খারাপটাই আগে দেয়। খারাপটা আগে করে। আমরা ভালোটা আগে দেখব, ভালোটা আগে করব। আমাদের পুরো বাহিনীটা নিয়োজিত।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাহিনী সামগ্রিকভাবে একটি কাঠামো। এ কাঠামোর কাছে অনেক শক্তি, যদি আমরা সেই শক্তিকে ঠিক দিকে প্রসারিত করি। আমরা কী কী করলে হবে, সেই আলোচনা আমরা শুরু করি। যে এসব জিনিস হলে, এটা একটা টিম ওয়ার্ক। একক উপদেষ্টা হুকুম দিয়ে দিলে পুলিশ করে ফেললে, এ রকম না। সবাই মিলে একটা টিমের মতো খেলতে হবে এবং বাংলাদেশে যত টিম আছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিমগুলো পুলিশ বাহিনী।