খুঁজুন
রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০২ অপরাহ্ণ
‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

বর্তমানে দেশে ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এসব ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে বড় দুটো ব্যাংক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে আছে। ইসলামি ব্যাংকগুলোকে পুরোদমে নতুনরূপ দেওয়া হবে। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ইসলামি ব্যাংক নিয়ে আমাদের প্রোপার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। তাই ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য আইন, তদারকি ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করে এসব করা হবে।

দেশে বর্তমানে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। সব মিলিয়ে ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক ছিল প্রতিষ্ঠানটির দখলে। সবগুলো ব্যাংকেই ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

গভর্নর বলেন, বিদায়ী সরকারের আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও নন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে এবং আমরা এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক দুই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার না হলেও যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘সমস্যায় পড়া বেশির ভাগ ব্যাংকে মূলধন ঘাটতিতে চলছে। এসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক ঠিক করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। রাজনীতির পালাবদলে এসব সংস্কার সমর্থন লাগবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে।’

আগামীর ব্যাংকিং খাত নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সম্মানজনক খাত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তবে তার জন্য সময় দিতে হবে। একদিনই তা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, আমানতকারীদের স্বার্থে এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে ১১ ব্যাংক, এরপরও আরও ২ ব্যাংকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের মুখে ইতিমধ্যে একটি ব্যাংক তাদের নিজের কার্যক্রম পরিবর্তন করেছে। সঠিক নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিষয় একদম পরিষ্কার ও লাউড। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারা পর্ষদে আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবে তার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন আছে। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকরী হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।’

গত দশকে ব্যাংক খাতের রূপান্তর এবং ডিজিটালাইজেশনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিজিটালাইজেশন কাউকে পেছনে ফেলে না যায়। ব্যাংকিং কার্যক্রম, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা রূপান্তরে এআই, ব্লকচেইন এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তির ভূমিকার ওপরও জোর দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, একটি দেশের অর্থনীতির শক্তি তার ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। একটি স্থিতিশীল, দক্ষ ও সু-নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থা কেবল প্রয়োজনীয়তা নয় এটি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি। বাংলাদেশের জন্য এই ভিত্তিটি চাপের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর অন্যতম কারণ নিয়মগুলোর শিথিল বাস্তবায়ন, ঋণ প্রদানে অনিয়ম, ঋণ আদায় না হওয়া, তীব্র তারল্য সমস্যা, দুর্বল শাসন কাঠামো এবং কার্যকারিতা হ্রাসের উদ্বেগজনক অবনতি। এই চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষুন্ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও পরিস্থিতি ব্যাংকভেদে যথেষ্ট ভিন্ন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো উৎসাহজনক এবং আশার আলো দেখিয়েছে। তবে এসব উদ্যোগ আরও বিস্তৃত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।’

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪৯ অপরাহ্ণ
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবের পদ হারানোর গুঞ্জন

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ধরনের গুজবে কান না দিতে এবং বিভ্রান্ত না হতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন।

সে কারণে তিনি আপাতত দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। তবে তিনি আগামী রবিবার থেকে পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া কামনা করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে ছাত্রদল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব খবরে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। এমন অবস্থায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:৪২ অপরাহ্ণ
যেসব কারণে পতন হলো ফারুক আহমেদের

বিতর্কিত বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পলায়নের পর নতুন আশা নিয়ে বিসিবি সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। অথচ মাত্র ৯ মাস ৮ দিন- এটাই ছিল ফারুক আহমেদের বিসিবি সভাপতির মেয়াদ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তার কাউন্সিলর মনোনয়ন বাতিল করলে কার্যত তার সভাপতির পদও শূন্য হয়ে যায়। পরদিন, শুক্রবার পরিচালকদের জরুরি সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচিত হন নতুন সভাপতি হিসেবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে- কেন এত অল্প সময়ে পদচ্যুত হলেন ফারুক আহমেদ?

এ নিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে খতিয়ে দেখা হয়েছে, ফারুকের রাজত্ব শেষের পিছনে কোন কোন কারণ কাজ করেছে:

বিপিএল-২০২৫ দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি:

ফারুক আহমেদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চলতি বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা।

বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা, খেলোয়াড়দের বেতন না দেওয়া, হোটেল বিল বকেয়া রাখা এবং শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড় বিদ্রোহ- এ ঘটনাগুলো সরকারকে পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য করে।

তৎকালীন বোর্ড সভাপতি হিসেবে এসব ঘটনায় কার্যকর কোনো সমাধান দিতে না পারা ফারুককে প্রশাসনের নজরে ফেলে দেয়। এমনকি দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এই বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। বিপিএলের ফাইনালে তার অনুপস্থিতিও রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ধরা হয়, যার প্রভাব পড়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের অবস্থানের উপরেও।

স্বেচ্ছাচারিতা ও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন:

বোর্ড পরিচালকদের একটি বড় অভিযোগ ছিল, ফারুক বিসিবির গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি পরিচালকদের না জানিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিসিবি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন বড় সিদ্ধান্তের আগে পরিচালকদের মতামত নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এর বাইরে কিছু সিদ্ধান্তে ফারুক ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পরিচালককে উপেক্ষা করেছেন, যার ফলে বোর্ডের ভেতরেই দলাদলির সৃষ্টি হয়।

ভেতরের কোন্দল: ফাহিম বনাম ফারুক:

বোর্ড পরিচালক এবং এনএসসি মনোনীত প্রতিনিধি নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও একধাপ বাড়িয়ে দেয় পরিস্থিতি। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে এবং বোর্ডের ঐক্য বিনষ্ট হয়। এমনকি, ফারুক আহমেদ ক্রীড়া উপদেষ্টার সহকারী একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ান, যা প্রশাসনিক মহলে ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন নিয়ে ‘অতিরিক্ত আগ্রহ’, আস্থা হারান বোর্ডে:

অন্য এক বড় কারণ ছিল, ফারুক আহমেদের অক্টোবরে সম্ভাব্য বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ। সম্প্রতি এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এই অবস্থান তার সহকর্মী পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করে এবং অনেকে মনে করেন, তিনি বোর্ড পরিচালনার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।

এনএসসি ও প্রশাসনের চূড়ান্ত পদক্ষেপ:

৮ জন পরিচালক আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর পর এনএসসি একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিপোর্টে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্বের ঘাটতির সরাসরি দায় বর্তায় ফারুকের ওপর।

ফারুক আহমেদ ছিলেন একজন সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার ও অভিজ্ঞ সংগঠক। কিন্তু সভাপতির চেয়ারে বসার পর তার আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি, আর প্রশাসনিক দক্ষতার অভাবই শেষ পর্যন্ত তাকে বিসিবি থেকে সরিয়ে দেয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েছেন এ অস্থির সময়েই। তারও সামনে রয়েছে দল পুনর্গঠন, স্বচ্ছতা ফেরানো ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।

ফারুকের পতন, তা যতই নাটকীয় হোক না কেন, ক্রিকেট প্রশাসনে আবারও এক কঠিন বাস্তবতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫, ১:২৯ অপরাহ্ণ
চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে আছেন ছাত্রদল সভাপতি

শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব চিকিৎসকের পরামর্শে পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তিনি গত দুদিন ধরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

শুক্রবার (৩০ মে) রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগামী রোববার থেকে তিনি (সভাপতি) পুনরায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি সব নেতা-কর্মী ও সমর্থকের কাছে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল সভাপতির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যেকোনো ধরনের গুজব থেকে সতর্ক থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে-এমন গুঞ্জন সংগঠনটির অভ্যন্তরে ও বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।