খুঁজুন
সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১ বৈশাখ, ১৪৩২

‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:০২ অপরাহ্ণ
‘ইসলামী ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে রূপান্তর করা হচ্ছে’

বর্তমানে দেশে ছোট বড় মিলিয়ে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এসব ইসলামি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে বড় দুটো ব্যাংক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, একটি বড় ও অনেকগুলো ছোট ছোট ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে আছে। ইসলামি ব্যাংকগুলোকে পুরোদমে নতুনরূপ দেওয়া হবে। এসব ব্যাংক একীভূত করে বড় দুটি ইসলামি ব্যাংক গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ইসলামি ব্যাংক নিয়ে আমাদের প্রোপার রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। তাই ইসলামি ব্যাংকগুলোর জন্য আইন, তদারকি ব্যবস্থা চালু করা হবে। বৈশ্বিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করে এসব করা হবে।

দেশে বর্তমানে ১০টি ইসলামি ব্যাংক রয়েছে। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। সব মিলিয়ে ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক ছিল প্রতিষ্ঠানটির দখলে। সবগুলো ব্যাংকেই ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

গভর্নর বলেন, বিদায়ী সরকারের আমলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও নন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে এবং আমরা এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আইনি ও নৈতিক দুই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার না হলেও যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের জীবন কঠিন করে ফেলা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ অর্থ পাচার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘সমস্যায় পড়া বেশির ভাগ ব্যাংকে মূলধন ঘাটতিতে চলছে। এসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই খারাপ। এসব ব্যাংক ঠিক করতে কয়েক বছর লেগে যাবে। রাজনীতির পালাবদলে এসব সংস্কার সমর্থন লাগবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে হবে।’

আগামীর ব্যাংকিং খাত নিয়ে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সম্মানজনক খাত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তবে তার জন্য সময় দিতে হবে। একদিনই তা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, যেসব ব্যাংকে অনিয়ম হয়েছে, আমানতকারীদের স্বার্থে এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথমে ১১ ব্যাংক, এরপরও আরও ২ ব্যাংকে পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের মুখে ইতিমধ্যে একটি ব্যাংক তাদের নিজের কার্যক্রম পরিবর্তন করেছে। সঠিক নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিষয় একদম পরিষ্কার ও লাউড। ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। কারা পর্ষদে আসবেন, স্বতন্ত্র পরিচালক কারা হবে তার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাতে সমস্যার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকও একটি কারণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর বিভিন্ন চাপ থাকে, ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন আছে। স্বায়ত্তশাসন ও তদারকি বাড়াতে কাজ চলছে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকরী হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। তবে পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা যাতে তাদের দায়িত্ব পালন করে, তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিপোর্টিং পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সবকিছু অনলাইনের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।’

গত দশকে ব্যাংক খাতের রূপান্তর এবং ডিজিটালাইজেশনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিজিটালাইজেশন কাউকে পেছনে ফেলে না যায়। ব্যাংকিং কার্যক্রম, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা রূপান্তরে এআই, ব্লকচেইন এবং মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তির ভূমিকার ওপরও জোর দিতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, একটি দেশের অর্থনীতির শক্তি তার ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। একটি স্থিতিশীল, দক্ষ ও সু-নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থা কেবল প্রয়োজনীয়তা নয় এটি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি। বাংলাদেশের জন্য এই ভিত্তিটি চাপের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড হওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাত ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর অন্যতম কারণ নিয়মগুলোর শিথিল বাস্তবায়ন, ঋণ প্রদানে অনিয়ম, ঋণ আদায় না হওয়া, তীব্র তারল্য সমস্যা, দুর্বল শাসন কাঠামো এবং কার্যকারিতা হ্রাসের উদ্বেগজনক অবনতি। এই চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার জনসাধারণের আস্থাকে ক্ষুন্ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যদিও পরিস্থিতি ব্যাংকভেদে যথেষ্ট ভিন্ন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলো উৎসাহজনক এবং আশার আলো দেখিয়েছে। তবে এসব উদ্যোগ আরও বিস্তৃত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।’

মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

গেল ৬ এপ্রিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মাঠে খুব বেশি উত্তেজনা ছিল না, গোলশূন্য ড্র-তে ম্যাচ শেষ হয়েছিল।

উত্তেজনা না থাকলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের ওই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয় ভিন্ন কারণে। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি তারকা ফিল ফোডেনের মা ক্লেয়ার রোল্যান্ডসকে স্লোগানের মাধ্যমে অপমান করেন ম্যানইউ সমর্থকরা। এ ঘটনার জেরে রাগে-ক্ষোভে ম্যানচেস্টারের বাড়িটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফোডেন।

ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লক্ষ্য করে গ্যালারির একাংশের দর্শকরা তার মাকে ‘স্ল্যাগ’ বলে অপমান করেন। এরপর ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন ফোডেন।

ফোডেন এই বাড়িটি চার বছর আগে কিনেছিলেন এবং সেসময় থেকে মা ক্লেয়ার ও বাবা ফিল সিনিয়রের সঙ্গে এখানে থাকতেন। পরে ২৪ বছর বয়সী ফোডেন এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং কাছাকাছি একটি বাড়িতে তার বাগদত্তা রেবেকা কুক ও তিন সন্তানের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

চেশায়ারের প্রেস্টবুরির অভিজাত এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি ৩ মিলিয়নের বেশি মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাসাদসদৃশ বাড়িটিতে রয়েছে বিলাসবহুল সুবিধা— সুইমিং পুল, সিনেমা রুম, জিম, ওয়াইন সেলার এবং গল্ফ সিমুলেটর।

এই বাড়িতে থাকা অবস্থায় ফোডেনের মায়ের বিরুদ্ধে আগে একবার অভিযোগ করেছিলেন প্রতিবেশীরা। সে সময় বাড়ির পিছনের বাগানে একটি প্রচণ্ড শব্দ করে পার্টি আয়োজন করেন তিনি।

আচমকা শুরু হওয়া আতশবাজির শব্দে বাচ্চা ও পোষা প্রাণীরা ভয় পেয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ফোডেনের মা কোনো পূর্বে সতর্কতা না দিয়েই এই আয়োজন করেন।

পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা একটি খোলা চিঠিতে ফোডেন পরিবারের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে বাড়িটিতে দিন ভালো যাচ্ছিলো না ফোডেনের পরিবারের।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘সলিডারিতে আজি ফ্রান্স’ (সাফ)। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক প্লেস দে লা রিপাবলিক চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

সমাবেশে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে সংহতি জানান অংশগ্রহণকারীরা। তারা দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে’র পরিচালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাশাপাশি ফরাসিসহ বিভিন্ন দেশের মানবতাবাদী ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ‘গাজায় অব্যাহত গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের তাদের আবাসভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে। ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘আমেরিকাসহ বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মদদেই ইসরায়েল বারবার এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই নৃশংসতা বন্ধে মুসলিম দেশসহ সব মানবিক রাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, ‘গাজায় যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা দেখে একজন মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকা যায় না। আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়াক। প্যারিসের হৃদয়ে গাজার জন্য আয়োজিত এই বিক্ষোভ ছিল মানবতার পক্ষে এক সাহসী উচ্চারণ। ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস হিসেবেই এই সমাবেশকে দেখা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি প্রমাণ করে—জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্ববাসী একত্রিত হচ্ছে। গাজার শান্তি ও ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।’

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ণ
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা কিছু কিছু জায়গা থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।