খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক, ১৪৩২

একীভূত হতে যাওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ারে রেকর্ড পতন

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
একীভূত হতে যাওয়া ৫ ব্যাংকের শেয়ারে রেকর্ড পতন

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারমূল্যে গত এক বছরে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উদ্বিগ্ন ইকুইটি বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপেই মাত্র তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোর মোট বাজারমূল্য কমেছে ৯২৬ কোটি টাকা।

২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারদর রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর বিপরীতে নেমে আসে ২ টাকা ৬০ পয়সায়, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ১ টাকা ৮০ পয়সায়, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১ টাকা ৯০ পয়সায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৪ টাকা ৪০ পয়সায় এবং এক্সিম ব্যাংকের ৪ টাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, গত তিন মাসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বাজারমূল্য সবচেয়ে বেশি কমেছে—মোট ৩৪২ কোটি টাকা।

তবে সময়সীমা যদি ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত পেছানো হয়—অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় পর্যন্ত—তাহলে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি। গত ১৩ মাসে এই পাঁচ ব্যাংকের সম্মিলিত বাজারমূল্য কমেছে ২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংকের বাজারমূল্য কমেছে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৮৩ কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট পাঁচটি ব্যাংকের সম্মিলিত বাজারমূল্য ছিল ৪ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। সে সময় ব্যাংকগুলোর শেয়ারমূল্য ছিল ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ দশমিক ১ টাকার মধ্যে। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে তা নেমে আসে ১ দশমিক ৮ থেকে ৪ দশমিক ৪ টাকার মধ্যে। এই সময়ে কোনো কোনো ব্যাংকের শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৭৩ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত মোট বাজারমূল্য কমেছে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা।

আগে লভ্যাংশের কারণে ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু এখন ইতিহাসের সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হলেও ক্রেতা বা বিনিয়োগকারী কম। একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত, দুর্বল আর্থিক ভিত্তি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো—সব মিলিয়ে এই খাতের ওপর পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব।

শুধু পাঁচ ইসলামী ব্যাংকই নয়, পুরো ব্যাংকিং খাতই বর্তমানে সংকটে। অনিয়ম, লাগামহীন খেলাপি ঋণ এবং তারল্য সংকটে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

এর মধ্যে বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রি করেছেন। এমনকি ব্যাংক গঠনের সময় বিনিয়োগ করা শেয়ারও ছাড়ছেন তারা।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক মূলত চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। গ্রুপটি সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে বিভিন্ন কোম্পানির নামে শেয়ার কিনে ধীরে ধীরে এসব ব্যাংকের মালিকানা নেয় এবং নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের পর্ষদে বসিয়ে নামে-বেনামে ঋণ নেয়। ওই ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপি।

এ অবস্থায় গ্রাহক আস্থা সংকট ও খেলাপি ঋণের চাপে জর্জরিত পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকার অঙ্গীকার

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জনাব শফিকুল ইসলাম মিল্টনের নেতৃত্বে এক বিশাল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিল বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি।

বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচনী এলাকা মিরপুর ১৩ সরকারি আয়ুর্বেদিক কলেজের সামনে থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন তালতলা এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়া গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এই শোডাউনে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়। কাফরুল থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী এই শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ করে কাফরুল থানা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম ও ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহর নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সকলের উৎসুক আমেজ লক্ষ্য করা যায়।

র‍্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। কোনো কারচুপির সুযোগ নেই। আজকের এই জনসমাগমই প্রমাণ করে ধানের শীষ কতটা জনপ্রিয়।”

ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনাব মিল্টন বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজয় লাভ করলে ইনশাল্লাহ ঢাকা-১৫ আসনকে গ্রীন ঢাকা ও ক্লিন ঢাকায় পরিণত করব। পাশাপাশি এই আসনকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি।”

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জনাব মিল্টন বলেন, “জনাব তারেক রহমান আমাকে এই আসনের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, এই ঢাকা-১৫ আসনটি তারেক রহমানের জন্য বিজয়ী উপহার হিসেবে দিতে পারব ইনশাল্লাহ।”

শোডাউন ও বক্তব্য শেষে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন

জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এসসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড় সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।’

বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাস্থ্য পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের যৌথ মঞ্চের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দেশে এই মুহূর্তে ‘গৃহযুদ্ধের ভাব বিরাজ করছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নাসীরুদ্দীন আরো বলেন, ‘ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা একা চলা আরম্ভ করেছে’।

স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ণ
স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু

২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) থেকে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ‘অবৈধভাবে’ দেওয়া আজীবন সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ডাকসুর দ্বিতীয় সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।

তিনি বলেন, ‘হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি ছিল অবৈধ এবং ডাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে। ২০১৯ সালে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে অগণতান্ত্রিকভাবে এটি দেওয়া হয়েছিল। আজকের সভায় সেই রেজুলেশনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ডাকসু কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সাধারণ সভা। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডাকসুর ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-১৫ আসনে শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিশাল শোডাউন বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না: নাসিরুদ্দীন স্বৈরাচার হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু ঢাবির টিএসসিতে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১ ভারতীয় দূতকে তলব, হাসিনার সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা বলা বন্ধের আহ্বান