খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১

খুবিতে ভিসির দৌড়ে এগিয়ে আছেন যারা

খুবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ
খুবিতে ভিসির দৌড়ে এগিয়ে আছেন যারা

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হলেও এখনো ভিসি নিয়োগ হয়নি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় খুবির ভিসির দৌড়ে এগিয়ে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বিশ্বাস, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ খান, এবং নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

গণিত ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বিশ্বাস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে তার ২৫০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ ও ৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে। মেধাবী এই শিক্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের স্নাতকে ১ম শ্রেনীতে প্রথম ও ফ্যাকাল্টি প্রথম হয়ে প্রধানমন্ত্রী গোল্ড মেডেল লাভ করেন। পরে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে রেকর্ড মার্ক পেয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম স্থান অর্জন করেন। তিনি ভিক্ষু শিলাচার শাস্ত্রী গোল্ড মেডেল লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ইউরোপের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব পোর্তো, পর্তুগাল থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। দেশে ও বিদেশে ১০ জন শিক্ষার্থী তার অধীনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করছেন।

ড. বিশ্বাস বাংলাদেশ ম্যাথমেটিকাল সোসাইটির নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ম্যাথমেটিকাল বায়োলজি-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট সদস্য ছিলেন। গণিত ডিসিপ্লিনের প্রধান, সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, সহকারী হল প্রভোস্টসহ তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০২০ সালে তিনি ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।

রাশিয়ায় আয়োজিত‌ ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অফ ম্যাথমেটিসিয়ান সম্মেলন ২০২২-এ যোগদানের জন্য একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে তিনি সেবিসেভ গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। দেশে-বিদেশে প্রায় ৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কী-নোট স্পিকার, অতিথি শিক্ষক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও রিসার্চের জন্য ভিজিট করেছেন ২০টির অধিক দেশে। তিনি বাংলাদেশ গণিত সোসাইটি (বিএমএস), এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (এএসবি), ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্স অ্যান্ড ইটস অ্যাপ্লিকেশান ইউকে (আইএমএফ), ইউরোপিয়ান ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি (ইএমএস) এর মতো বেশ কয়েকটি পেশাদার সোসাইটি এবং গবেষণা সংস্থার সদস্য। এছাড়াও আইইওএম সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত “আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চার অ্যাওয়ার্ড ২০২২” পেয়েছেন এবং পেশায় ফলিত গণিত গবেষণা ও প্রকাশনার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার বা ওয়ার্কশপে স্পিকার হিসেবে ৮০টিরও বেশি বক্তৃতা দিয়েছেন। প্রফেসর হায়দার বিশ্বাস ২০১৭-২০২০ এর জন্য কাউন্সিল অফ এশিয়ান সায়েন্স এডিটরস (সিএএসই) এর সদস্য এবং ২০১৭ সাল থেকে অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড -এর সহযোগী সদস্য হিসাবে মনোনীত হন।

ড. বিশ্বাস গণিত ফোরাম খুলনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ২০১৩- ২০১৫ সালে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধর শিক্ষক ড. বিশ্বাস আন্দোলনের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় সর্বাত্মাক সহযোগিতা করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক, কর্মচারী নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি চান। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় অদম্য মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. হায়দার বিশ্বাস অন্যদের থেকে এগিয়ে।

আলোচনার আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ খান। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে ১৩০টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেন যেগুলোর সাইটেশন সংখ্যা ১১ হাজারের ওপরে। দীর্ঘ ৩২ বছরের শিক্ষকতা ও গবেষণা জীবনে ড. খান নোবলেজয়ী গবেষকদের সাথেও কাজ করেন। 

২৬ মে ২০১২ তারিখে ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশ নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে তার লেখা ‘সাদা ওয়াইন ও টেকসই গণতন্ত্র’ কলামটি সেসময় ড. ইউনূসের শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। পরে জাপান সরকারের মনবুশো বৃত্তিতে সাগা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি এবং টোকিও ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে প্রথম ও সাগা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন। 

তিনি সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি, হলের প্রভোস্ট, ডিন, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান ও রিসার্চ সেলের ডিরেক্টরসহ গুরুত্ব¡পূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। গবেষক হিসেবে তিনি জাপানের হাই এনার্জি এক্সেলেটর রিসার্চ অর্গানাইজেশনে (কেইকে) বেল কোলাবরেটর এবং ইতালির আবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স (আইসটিপি)-এর রেগুলার এসোসিয়েট  ছিলেন। 

নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের নামও উপাচার্য হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রধান, ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ইনিস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের পরিচালকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তিনি হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)-এর অধীনে একটি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক পরিচালিত কলেজ এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টে (সিইডিপি) কনসালটেন্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন। গবেষণার পাশাপাশি আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে তিনি কনসালটেন্সি সেবা দিয়েছেন।

বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ের আশ্বাসে ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের স্নাতকোত্তর সান্ধ্যকালীন কোর্সে পড়েন। অভিযুক্ত শিক্ষক বিবাহিত। তিনি ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান। পরে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ছাত্রীটি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছাত্রীর অভিযোগের পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৭ পূর্বাহ্ণ
সংস্কারে রহস্য থাকলে আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ শুনতে হবে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোথায় যেন ঢিলেঢালা ভাব- এভাবে চলবে না। আপনাদের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে চায়; সেক্ষেত্রে শুধু বলে রাখতে চাই- আমরা আন্দোলন থেকে চূড়ান্ত ইস্তফা দেইনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে কারও যদি অশুভ উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আমরা আন্দোলন ঝড়ের আর্তনাদ আপনাদের শুনাব। যদি নিজেরা শুধরে না যান, যদি সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে রহস্য থাকে তাহলে আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) প্রতিরোধের ঝড়ের বাক্য শুনাব। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠুভাবে সুষ্ঠুধারায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

বুধবার রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণ- সবার সমর্থনে সরকার। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে গণতন্ত্র ও জনগণ ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যাকারী যেন প্রত্যাবর্তন না হয়। এটাই জনগণ চেয়েছে। আজকের সরকারের মধ্যে কেউ কেউ একচোখা দৃষ্টিতে দেখে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৬/১৭ বছর নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের শিকার হয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, চোখ অন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার পুলিশ- সেই দল বিএনপি। কিন্তু কেন যেন মনে হয় উপদেষ্টারা একচোখে দেখার চেষ্টা করছেন।

জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কিন্তু সফলতার নামে, সংস্কারের নামে যদি নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে মানুষ আপনাদের সন্দেহ করবে। কী এমন ঘটনা আছে সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করতে পাচ্ছেন না। অথচ গণতন্ত্রের একটি উপাদান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা কেড়ে নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেননি। গ্রামের পর গ্রাম পুলিশ মাইকিং করে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেয়নি। আর এখন জনগণ উন্মুখ হয়ে আছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর তারা তো ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে। সুতরাং এটা যদি তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ঘোষণা না দেন, সময়ের কথা না বলেন তাহলে তো মানুষ ভিন্নভাবে দেখবে। জনগণের ইচ্ছা তারা তাদের পছন্দের দলকে ভোট দেবে। এটা কেন পরিষ্কার করছেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে তার বক্তব্যে ইচ্ছে করে ভাইরাল করে দেন। তিনি ভারতে আছেন। নিজেই লোক দিয়ে বক্তব্যে ভাইরাল করান। আর তার দলের নেতা ও তার পুলিশ প্রশাসনের কাউকে বিদেশে ঘুরতে, হাটতে দেখা যাচ্ছে। তারপরও যারা দেশে আছে তাদের হাতে তো বিএনপির নেতারাই খুন হচ্ছে। মূলত হত্যার নির্দেশ তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরও দিচ্ছেন। গোপালগঞ্জে দিদার হত্যা, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রকে হত্যা, এগুলো অশুভ ইঙ্গিত। শেখ হাসিনার আরেকটা ভয়ংকর পরিকল্পনা-এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার যদি শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাহলে কিন্তু কোনো সংস্কার করতে পারবেন না। কারণ এখনো শেখ হাসিনার ময়লার বস্তা পুলিশ প্রশাসন বহাল আছেন।

বাজারে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সিন্ডিকেট করতেন আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে। কারণ তিনি চাইতেন শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেট যেন সব সময় ভারি থাকে। পকেট যেন খালি না হয়। তাই বাজারের পর বাজার মার্কেট আওয়ামী লোকেরা দখল করে রাখত। ঢাকা শহরে এমন কোনো বাজার নেই যে বাজারে সিন্ডিকেট করেনি আওয়ামী লীগের লোকজনেরা। কিন্তু এখন তো তারা নেই। তাহলে মোটা চাল-মাঝারি চাল কেন কেজিতে ৩/৪ টাকা বেড়েছে। এখন কেন তেলের লিটারে ৬টাকা বেড়েছে, বয়লার মুরগি কেজিতে ১২ টাকা বেড়েছে- এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি। জনগণ চায় সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার। তাই বাজার মনিটরিং তীব্রতর করা হোক।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ভারতের সঙ্গে লড়াইটাও ঠিকমতো করতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়রে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজে টিকে থাকতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের।

কিন্তু এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ব্যাটে-বলে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ। ৮৬ রানের হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারীরা। ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ৬ ওভারে ৪৫ রান তুলতেই দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় ভারত।

তবে পাওয়ার প্লের পরই ভারতকে ছন্দে ফেরান নীতীশ কুমার এবং রিংকু সিং। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১০৮ রানের বিস্ফোরক জুটিতে শুরুর চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে হাঁটে ভারত।

৩ চার এবং ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন নীতীশ। ৫৩ রান আসে রিংকুর ব্যাটে। তাদের দুর্দান্ত দুই ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ৩২ রানের ঝোড়ো ক্যামিওতে রানপাহাড়ে চড়ে ভারত। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২১।

বাংলাদেশের পক্ষে ৫৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার সবকটি উইকেটই এসেছে ২০তম ওভারে। আর তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন সমান দুটি করে উইকেট।

২২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নখদন্তহীন ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আসা-যাওয়ার মিছিলে ১০০ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান। দলের অন্য ব্যাটারদের কেউ ২০ রানের ঘরেও পৌছাতে পারেননি।

ভারতের সাত বোলারের সবাই উইকেট পেয়েছেন। দুটি করে উইকেট গেছে নীতীশ ও বরুণ চক্রবর্তীর ঝুলিতে।