খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

আগস্ট পর্যন্ত ইআরডির হিসাব

বেড়েই চলেছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
বেড়েই চলেছে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

নেতিনাচক হারে কমছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের পরিমাণ। বিপরীত দিকে বেড়েই চলেছে ঋণ পরিশোধের চাপ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) আগস্ট পর্যন্ত করা এক প্রতিবেদনের এসব তথ্য জানা গেছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল রয়েছে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার এবং সুদ হচ্ছে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৫ লাখ ডলার।

এর মধ্যে আসল ২৫ কোটি ৪১ লাখ এবং সুদ ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। তুলনামূলকভাবে এই আগস্ট মাসে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি ডলার। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, এখন বেশ কিছু বড় বড় ঋণের রেয়াতকাল শেষ হয়েগেছে। ফলে পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগামী বছরগুলোতে এই পরিশোধের চাপ আরও বাড়বে।

ইআরডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্ট মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে কোনো ঋণ নেই। আছে শুধু অনুদান। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১০ কোটি ৯০ লাখ এবং অনুদান ছিল ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ডলার।

এদিকে গত আগস্ট মাসে কমেছে অর্থছাড়ের পরিমাণও। উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ছাড় করেছে ৪৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ এবং অনুদান ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ থেকে ছাড় হয় ৭২ কোটি ৭২ লাখ ডলার আর অনুদান ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ডলার।

এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সঙ্গে আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উন্নয়ন সহযোগীরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। ফলে ওই সময়ে অর্থছাড় কম হয়েছে।

আসছে বড় বিনিয়োগ

বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

মোঃ মাহফুজুর রহমান, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৫:০৩ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো আজ রোববার (২০ এপ্রিল) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়।

বৈঠকে উভয়পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো পর্যালোচনা করেন এবং তা আরও সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আলোচনায় বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত উঠে আসে। উভয় পক্ষই এ খাতগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হন।

এর আগে সকালে এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে চীন। এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডের সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি টীকা চায়নার থেকে কিনেছে বাংলাদেশ। ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি হাসপাতাল করতে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়া, একটি ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি নিয়েও আলোচনা চলছে।

বিনামূল্যে সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ প্রদান

ক্যান্টনমেন্ট থানায় শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন’র আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
ক্যান্টনমেন্ট থানায় শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন’র আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তরের পক্ষ থেকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সেলাই মেশিন ও কর্মসংস্হানের জন্য নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন প্রদান করেছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা মো. মহিব্বুল্লাহ।

ক্যান্টনমেন্ট থানা কর্তৃক আয়োজিত আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোগতাদের মাঝে সেলাই মেশিন ও আর্থিক পুঁজি প্রদান অনুষ্ঠানে মাও.মহিবুল্লাহ বলেন, এদেশে অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেই ক্ষেত্র সমুহ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে অসংখ্য শ্রমিকদের চাকুরি প্রদান ও কাজে লাগানো সম্ভব। আমরা লক্ষ্য করছি এক শ্রেনী এসকল ক্ষেত্র সমুহকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি করে মুষ্টিমেয় কিছু লোক তাদের আখের গোছানোর চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, কেবলমাত্র সৎ, যোগ্য লোকদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আসলে এসকল ক্ষেত্র শ্রমিকদের কল্যানে কাজে লাগানো যাবে, ইনশাআল্লাহ। আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মো. মহিব্বুল্লাহ বলেন, মহান আল্লাহ ধনিদের সম্পদে দুস্থ মানুষের অধিকার রেখেছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এদেশে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে কেউ অসহায় ও দরিদ্র থাকবেনা। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে একটি কল্যানমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকল মেহনতি মানুষকে শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের পতাকাতলে ঐক্য বদ্ধ থাকতে আহ্বান জানান তিনি।

থানা সভাপতি মোঃ নাজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম, থানার সাবেক সভাপতি আব্দুর রহমান, থানার অর্থ ও প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মোঃ মাহাবুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মোঃ কামরুল হাসান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

পরিশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ নাজিবুর রহমান সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাংবাদিক শাহীন খানের ওপর হামলার ঘটনায় দীর্ঘ এক মাস পার হলেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় সচেতন মহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজের সচেতন মহল ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

শাহীন খান রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজীপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খানের ছেলে। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আহত সাংবাদিকের ভাই শামীম উদ্দিন খান তার ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা  মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৫ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে গভীর নলকূপ দেখাশোনা কালে পাশ্ববর্তী শ্যামগোপ গ্রামের শাহ পরান (২৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), সজিব হোসেন (২০), শের আলী (৪৩), ইউসুফ আলী (৩৫) ও সুজন হোসেনসহ (২০) আরও ৭-৮ জন শাহীন খানকে লাঠিসোঁটা নিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামশ্রে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা নেয়ার পর গত শুক্রবার তাকে বাড়িতে আনা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এই হামলার ঘটনায় ১৬ মার্চ জড়িত বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মিথ্যা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তারা তদন্তপূর্বক এই মামলা প্রত্যাহার ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এদিকে অভিযুক্ত শাহ পরান গংদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ওই হামলার ঘটনায় আসামিরা জামিনে রয়েছে। এ জন্য তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনায় একই দিনে উভয়পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। যার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।