খুঁজুন
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২

বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়েই হবে বাংলাদেশের নতুন নোটের নকশা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়েই হবে বাংলাদেশের নতুন নোটের নকশা

দেশে প্রচলিত সব ধরনের ব্যাংক নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশে ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের ব্যাংক নোটের নতুন ডিজাইন চেয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থবিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের উপসচিব এলিশ শরমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন নোটের জন্য নির্দিষ্ট নকশার প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করেছে। অনুরোধে নতুন মুদ্রার নকশা প্রবর্তনের তত্ত্বাবধানকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও ডিজাইন অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন ডিজাইন ও বৈশিষ্ট্যের নোট প্রচলনে কী ধরনের ডিজাইন করা সমীচীন হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও ডিজাইন অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ গ্রহণপূর্বক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্থবিভাগে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

বর্তমানে বাংলাদেশের ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। এছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও রয়েছে তার ছবি।

শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার মাত্র দু’দিন আগে ৫০০ ও ১০০০ টাকার ব্যাংক নোটে শেখ মুজিবের ছবি আরও বেশি স্পষ্ট করে ছাপাতে নতুন দুটি ডিজাইন এবং ২০ টাকা ও ১০০ টাকার নোটের মুদ্রণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিভিন্ন নোটের নতুন ডিজাইন করে সরকারের কাছে তা জমা দিতে ছয় মাস সময় চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, মুদ্রা ও ডিজাইন অ্যাডভাইজরি কমিটির নির্দেশিকা অনুসারে প্রতিটি নোটের জন্য চারটি ভিন্ন ডিজাইন তৈরি করা হবে। পরে এ কমিটির অনুমোদন নিয়ে ডিজাইনগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হবে। তবে নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আসতে ২০ থেকে ২২ মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান এক কর্মকর্তা।

এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
এবার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা

ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাতের মধ্যে এবার সিরিয়ায় একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মর্টার হামলা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাসাকাহ প্রদেশের কাসরুক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সোমবার ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসরুক অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হঠাৎ করে মর্টার হামলা চালানো হয়। তবে এ হামলা কে করেছে, হামলার ধরন বা এতে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ঘটনার পরপরই মার্কিন সেনারা পুরো ঘাঁটির চারপাশ ঘিরে ফেলে এবং ওই এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এলাকাজুড়ে সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টারের টহল লক্ষ্য করা গেছে।

প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
প্রথমবারের মতো ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার মিসাইল ব্যবহার করলো ইরান

ইসরায়েলে হামলায় ৪র্থ প্রজন্মের খাইবার শেকান মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এমন তথ্য। চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাতে সক্ষম অত্যাধুনিক এ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে খাইবার।

ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রথমবারের মতো ছুটছে ৪র্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক “খাইবার শেকান” ব্যালিস্টিক মিসাইল। আইআরজিসি’র ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটির পোশাকি নাম ‘খোররামশার-ফোর’।

মদিনার ঐতিহাসিক খাইবার মরু অঞ্চলের নামানুসারে রাখা এ মিসাইলটি উন্মোচিত হয় ২০২২ সালে। অন্তত ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি। আনুমানিক দেড় হাজার কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে এটি। ইরানের সবচেয়ে ভারি ওয়ারহেডগুলোর মধ্যেও অন্যতম এই খাইবার শেকান।

তেহরানের দাবি- কৌশলগতভাবে যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম খাইবার মিসাইল। সুনিপুণভাবে ফাঁকি দিতে পারে ইসরায়েলের আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এর মতো ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে।

উড়ন্ত অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় শক্তিশালী এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় শব্দের গতির চেয়ে আনুমানিক ১৫ গুণ বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল, খাইবার।

প্রায় চার দশক ধরে পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আছে ইরান। এই সময়ের মধ্যে দেশটি কীভাবে হাইপারসনিকের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল তা নিয়েই চলছে চুলচেরা গবেষণা।

বিনোদন পাড়ায় নতুন বিতর্ক

মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
মৌসুমী, নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূরসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আয়কর বকেয়া থাকার অভিযোগে ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ১৫ জুন সহকারী কর কমিশনার কাজী রেহমান সাজিদ মন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বেশ কয়েকজন শোবিজ তারকার নামও রয়েছে।

সময়মতো কর পরিশোধ না করার এই তালিকায় আছে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), শবনম পারভীন, পারভীন জাহান মৌসুমী, আহমেদ শরীফ ও নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যাঞ্চলের নাম।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে এই তারকাদের বকেয়া করের পরিমাণও জানানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কর বকেয়া আছে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজের। তার বকেয়া করের পরিমাণ ১ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ২৪১ টাকা। নুসরাত ফারিয়ার বকেয়া কর ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০১ টাকা এবং সাবিলা নূরের বকেয়া করের পরিমাণ ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৪২ টাকা।

এ ছাড়া শবনম পারভীনের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ১৯০ টাকা, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বকেয়া রয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬২৫ টাকা। আহমেদ শরীফের বকেয়া কর ৪ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৮ টাকা এবং নৃত্যাঞ্চলের বকেয়া রয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪২ টাকা।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বকেয়া কর পরিশোধের জন্য এই শিল্পীদের কাছে এরই মধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনেকে সময় নিয়েছেন। কর পরিশোধের পরই তাদের ব্যাংক হিসাব সচল হবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন অভিনেত্রী মৌসুমী ও আহমেদ শরীফ। অন্যরা দেশে থাকলেও এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি নুসরাত ফারিয়া।

সাবিলা নূরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক তারকা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, ব্যাংক হিসাব জব্দের কোনো খবর তারা পাননি। এখনো সচল আছে তাদের ব্যাংক হিসাব।