খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বকেয়া বেতন ইস্যুতে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউলের প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
বকেয়া বেতন ইস্যুতে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউলের প্রতারণা

প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের বেতন আটকে রেখে তা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও পাওনাদারদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে প্রতারক এমডি সামিউল ইসলাম। স্টাফদের বেতন আটকে রাখা, মহিলা স্টাফদের শরীরে হাত দেয়া, সবাইকে মানসিক টর্চার করা, ব্যাংক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, স্টাফদের বেতন থেকে আয়কর কেটে রাখলেও সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়াসহ ভয়ংকর সব অপরাধে অভিযুক্ত তাফরিদ কটন মিলসের এমডি সামিউল ইসলাম।

বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রচার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, থানা-পুলিশ, কলকারখানা পরিদর্শক এবং শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পর টনক নড়ে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলামের। দীর্ঘদিনের নাটকের পর আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) উত্তরা পশ্চিম থানায় দুপুর সাড়ে বারোটায় আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছিলো মাফিয়া এমডি সামিউল ইসলাম।

এমডি সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ইয়ত্তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা স্বৈরাচারসুলভ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে অভিযুক্ত তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলামের বিষয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ব্যাংক এশিয়া তাফরিদ কটন মিলের হবিগঞ্জ ফ্যাক্টরি নিলামে তোলার জন্য পত্রিকায় সার্কুলার প্রদান করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট থেকে কৌশলে সরকারি কর আদায় করেন কিন্তু কখনো জমা করেননি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ও চাকরিজীবী নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই যখন তখন কর্মীদের ছাটাই, মানসিক এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন এই সামিউল ইসলাম।

শুধু তাই নয়। তার হাত থেকে রেহাই পাইনা মহিলা স্টাফও। অফিসের মহিলা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ এবং কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই এযাবতকালে ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি।

এমডি সামিউল ইসলাম কৌশলে শুধু স্টাফদের বেতন আটকে রাখতেন তা-ই নয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পাওনাদারদের টাকাও আটকে রাখতেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংক চেক ব্যবহার করে পাওনাদরদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতেন। আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রেখে নিয়মিত হুমকি, অশালীন আচরণ এককথায় মাফিয়ার ভূমিকায় ছিলেন সামিউল।

তবে গত পাঁচই আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর সামিউলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করে অত্যাচারে জর্জরিত স্টাফরা। রাজধানীর একটি হোটেলে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সর্বমহলে দাবি জানাই।

হামলা, মামলা, হুমকি, চাকরিচ্যুতির ভয়ে আতঙ্কিত হয়েও সামিউলের বিরুদ্ধে এর আগেও সবাই সোচ্চার হতে চেয়েছে, করেছে প্রতিবাদ। কিন্তু মাফিয়া সামিউল সবসময়ই কৌশল গ্রহণ করে। আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভিতর থেকে দু’এক জনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি অথবা লোভ দেখিয়ে আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এমনকি এবারের আন্দোলনকেও সামিউল কৌশলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বানচাল করতে চেয়েছে। যার অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে।

সবশেষ আন্দোলনরত স্টাফদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে আজ সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানায় বসতে চেয়েছিলো এমডি সামিউল ইসলাম। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। নাটকের এই ইপিসোডে প্রতারক সামিউল তার অফিসের এ্যাডমিন থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জানান, তিনি আজ বসতে পারবেন না, এমনকি টাকাও দিতে পারবপন না। উল্টো পাওনাদার, স্টাফদের বিরুদ্ধে তুলেছেন নানা অভিযোগ। অর্থাৎ আগের নাটকের একই পুনরাবৃত্তি।

এবিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাওনাদার স্টাফরা। তারা বাধ্য হয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়কদের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সমন্বয়কেরাও এমডি সামিউলকে আজ রাতের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলে। সেই সাথে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এখন দেখার বিষয়- বঞ্চিত স্টাফরা তাদের পাওনা বকেয়া বেতন পান নাকি আবারো তাদেরকে দারে দারে ঘুরতে হয়।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার নয় মাসের মাথায় গত ১২ মে দলটি, এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।