খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

বকেয়া বেতন ইস্যুতে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউলের প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
বকেয়া বেতন ইস্যুতে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউলের প্রতারণা

প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের বেতন আটকে রেখে তা পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও পাওনাদারদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছে প্রতারক এমডি সামিউল ইসলাম। স্টাফদের বেতন আটকে রাখা, মহিলা স্টাফদের শরীরে হাত দেয়া, সবাইকে মানসিক টর্চার করা, ব্যাংক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, স্টাফদের বেতন থেকে আয়কর কেটে রাখলেও সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়াসহ ভয়ংকর সব অপরাধে অভিযুক্ত তাফরিদ কটন মিলসের এমডি সামিউল ইসলাম।

বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রচার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, থানা-পুলিশ, কলকারখানা পরিদর্শক এবং শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়ের করার পর টনক নড়ে তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলামের। দীর্ঘদিনের নাটকের পর আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) উত্তরা পশ্চিম থানায় দুপুর সাড়ে বারোটায় আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছিলো মাফিয়া এমডি সামিউল ইসলাম।

এমডি সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ইয়ত্তা নেই। দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসা স্বৈরাচারসুলভ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে অভিযুক্ত তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলামের বিষয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ব্যাংক এশিয়া তাফরিদ কটন মিলের হবিগঞ্জ ফ্যাক্টরি নিলামে তোলার জন্য পত্রিকায় সার্কুলার প্রদান করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তাফরিদ কটন মিলের এমডি সামিউল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট থেকে কৌশলে সরকারি কর আদায় করেন কিন্তু কখনো জমা করেননি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ও চাকরিজীবী নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই যখন তখন কর্মীদের ছাটাই, মানসিক এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন এই সামিউল ইসলাম।

শুধু তাই নয়। তার হাত থেকে রেহাই পাইনা মহিলা স্টাফও। অফিসের মহিলা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ এবং কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই এযাবতকালে ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি।

এমডি সামিউল ইসলাম কৌশলে শুধু স্টাফদের বেতন আটকে রাখতেন তা-ই নয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পাওনাদারদের টাকাও আটকে রাখতেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংক চেক ব্যবহার করে পাওনাদরদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতেন। আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রেখে নিয়মিত হুমকি, অশালীন আচরণ এককথায় মাফিয়ার ভূমিকায় ছিলেন সামিউল।

তবে গত পাঁচই আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর সামিউলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করে অত্যাচারে জর্জরিত স্টাফরা। রাজধানীর একটি হোটেলে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সর্বমহলে দাবি জানাই।

হামলা, মামলা, হুমকি, চাকরিচ্যুতির ভয়ে আতঙ্কিত হয়েও সামিউলের বিরুদ্ধে এর আগেও সবাই সোচ্চার হতে চেয়েছে, করেছে প্রতিবাদ। কিন্তু মাফিয়া সামিউল সবসময়ই কৌশল গ্রহণ করে। আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভিতর থেকে দু’এক জনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি অথবা লোভ দেখিয়ে আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। এমনকি এবারের আন্দোলনকেও সামিউল কৌশলে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বানচাল করতে চেয়েছে। যার অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে।

সবশেষ আন্দোলনরত স্টাফদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে আজ সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানায় বসতে চেয়েছিলো এমডি সামিউল ইসলাম। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। নাটকের এই ইপিসোডে প্রতারক সামিউল তার অফিসের এ্যাডমিন থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জানান, তিনি আজ বসতে পারবেন না, এমনকি টাকাও দিতে পারবপন না। উল্টো পাওনাদার, স্টাফদের বিরুদ্ধে তুলেছেন নানা অভিযোগ। অর্থাৎ আগের নাটকের একই পুনরাবৃত্তি।

এবিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাওনাদার স্টাফরা। তারা বাধ্য হয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সমন্বয়কদের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে সমন্বয়কেরাও এমডি সামিউলকে আজ রাতের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলে। সেই সাথে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এখন দেখার বিষয়- বঞ্চিত স্টাফরা তাদের পাওনা বকেয়া বেতন পান নাকি আবারো তাদেরকে দারে দারে ঘুরতে হয়।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৪০ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস

দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এই মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।

তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে সবাই সব দলের প্রতিপক্ষ। দলগতভাবে মতভেদের পার্থক্য থাকলেও দেশের প্রয়োজনে সবার ঐক্য একই থাকবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আর নির্বাচন হবে না এমনটা বিশ্বাস আমরা করি না।

কোনো অনৈক্য রয়েছে কিনা প্রশ্নে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনৈক্য কিছু নাই। স্বার্থের সংঘাত আছে, প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না। যদি কেউ অনৈক্য বলে, এটাকে আমি এমন করে বলবো, এমন সময় যদি কখনও আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাবো। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়ত আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজ স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে উনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পরে আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার যুদ্ধের বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এ দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব। এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৮ অপরাহ্ণ
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে।

এদিকে যমুনা সেতু ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা।

মহাসড়কের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদযাত্রায় গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে বুধবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১শ টাকা।

অপরদিকে ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই মোটরসাইকেলের জন্য ২টি করে বুথ রয়েছ।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর ৬টা ১১ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আজ ২৬ মার্চ, ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অবিস্মরণীয় দিন। একাত্তরের ২৬ মার্চেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয়েছিল।

পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করছিল। পরদিন ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।