খুঁজুন
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন উৎপাদকেরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন উৎপাদকেরা

রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে এক রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এসব ডিম প্রতিটি বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পোলট্রিশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, পোলট্রিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা বিপিআইসিসির এক সভায় আজ বুধবার রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় ডিম বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা এই শর্তেই নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাপ্তান বাজারে এই ২০ লাখ ডিম বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। কাপ্তান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা বিক্রির কথা থাকলেও যেহেতু কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগে আড়তে ডিম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই প্রতিটি ডিম বিক্রি হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। আড়তদারেরা সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন, এমন শর্তেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাপ্তান বাজারে ১০ লাখ ও তেজগাঁওয়ের আড়তে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করবে তার মধ্যে রয়েছে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোলট্রি, পিপলস পোলট্রি, ডায়মন্ড এগ, নারিশ পোলট্রি, রানা ফিড।

মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

এস,এম কাশেম: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনায় দুই বংশের সংঘর্ষ-গুলিবর্ষণ, অস্ত্রসহ আটক ৫

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ বংশ ও সর্দার বংশের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

এ সময় উত্তেজিত অবস্থায় সর্দার বংশের একজন শেখ বংশের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

এ ঘটনায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

আটককৃতরা হলেন, কালিয়া পৌর এলাকার কুলসুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সরদারের ছেলে কালিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরদার মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে শুভ সরদার।

অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে সাইমুন সরদার, মৃত আকরাম সরদারের ছেলে নান্নু সরদার ও হবিবর সরদারের ছেলে দীপ সরদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে গত বুধবার আসর নামাজের পর মারধর করে সরদার বংশের রশিদ সরদার।

মারামারির ঘটনায় আজ জুমার নামাজের পর মসজিদের ভিতর ওই বিষয়ে কথা কাটির একপর্যায়ে সরদার এবং শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি টেটা, ১টি হকিস্টিক,৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি উদ্ধার করে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে চালানো অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসের সাফল্যকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও শক্তিশালী জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘বুনইয়ান-উন-মারসুস’-এ অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা অতুলনীয় নির্ভুলতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে ভারতের অপ্রীতিকর আগ্রাসন রুখে দিয়েছে।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শেহবাজের সঙ্গে শিয়ালকোটে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার, দেশটির সেনাপ্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

সেনাদের উদ্দেশে শেহবাজ শরিফ বলেন, জাতির অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের নৃশংস আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে শেহবাজ বলেছেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শেহবাজ।

শেহবাজ বলেন, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।

জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী পাঠাবে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সক্ষমতা আরও জোরদারে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত সামরিক ও পুলিশ ইউনিটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৪ মে) বার্লিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের নতুন এই প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে পুলিশ ইউনিটে ১৫ শতাংশ নারী শান্তিরক্ষী মোতায়েন, একটি এআই-ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্প সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান মিশনে ১ দশমিক ৮ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল স্থাপন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপ-নেতা, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এবং শান্তিরক্ষীদের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর কাঠামোগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর জোর দেন। তিনি শান্তিরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বশীল ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লাইবেরিয়া, পানামা, এসওয়াতিনি, গিনি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোর মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।