খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ, ১৪৩১

তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন উৎপাদকেরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন উৎপাদকেরা

রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে এক রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রি করবেন শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এসব ডিম প্রতিটি বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা।

এ তথ্য নিশ্চিত করে পোলট্রিশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, পোলট্রিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা বিপিআইসিসির এক সভায় আজ বুধবার রাতেই ২০ লাখ ডিম বিক্রির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় ডিম বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা এই শর্তেই নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় আনুষ্ঠানিকভাবে কাপ্তান বাজারে এই ২০ লাখ ডিম বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। কাপ্তান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা বিক্রির কথা থাকলেও যেহেতু কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগে আড়তে ডিম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই প্রতিটি ডিম বিক্রি হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। আড়তদারেরা সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন, এমন শর্তেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাপ্তান বাজারে ১০ লাখ ও তেজগাঁওয়ের আড়তে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করবে তার মধ্যে রয়েছে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোলট্রি, পিপলস পোলট্রি, ডায়মন্ড এগ, নারিশ পোলট্রি, রানা ফিড।

শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৪ অপরাহ্ণ
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান

রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করা শিক্ষকদের ওপর বাধ্য হয়ে জলকামান এবং মৃদু লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। তবে কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের আবারও শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে দেখা গেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষকরা। পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সুপারিশপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় ধাপ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ)”-এর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছিলেন। বেলা ১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। ১টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ২৯ মার্চ। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ২১ এপ্রিল। ১২ জুন ভাইভা সম্পন্ন হয়। আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৬,৫৩১ জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। সুপারিশপ্রাপ্ত হননি- এমন ৩১ জন হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ ফেব্রুয়ারি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬,৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছে। সবাই একপ্রকার মানসিক বিপর্যয় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর কত ধৈর্য ধরতে হবে? এভাবে আর কত দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে? এখন তাদের থাকার কথা নিজ নিজ কর্মস্থলে। অথচ তারা এখন রাস্তায়। তাদের জীবনের দায়ভার কে নেবে? তারা কার কাছে যথাযথ বিচার চাইবেন? এই মুহূর্তে তাদের দাবি, তারা অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে চান।

এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
এনআইডি তথ্য ফাঁস: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ ৫ প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ৫ প্রতিষ্ঠান হলো:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণ করে এমন পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে এনআইডি’র তথ্য ফাঁস করেছে যার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মো. আখতার আহমেদ জানান, পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি ইচ্ছেকৃত কিনা তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশ। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কিনা তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি অসুস্থ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ ইনামুল হক (৬৫) কারাবন্দীর মৃত্যু। নিহত ইনামুল হক বিস্ফোরক মামলার আসামি ছিলেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯:৩০ এর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

গত ১২ জানুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে, কারাগার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এসে (এম) আইসিইউ) এর ৫-নম্বর বেডে ভর্তি দেওয়া হয়।

কারারক্ষী মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন,
গত (১২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তাকে ভর্তি দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন,
এনামুল হক কেন্দ্রীয় কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার হাজতি হিসেবে ছিলেন, হাজতি নাম্বার ১৫৮৭/২৫। নিহতের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলা ঘাটাইল থানা সাং মধ্যপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের সন্তান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন,
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। ময়নাতদন্তের শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।